ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লাকসামে নরপাটি ও ফতেপুর খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo ৮ বছর পর ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সম্মেলন, সভাপতি মির্জা ফয়সল, সম্পাদক পয়গা Logo কটিয়াদীতে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র নারীদের মাঝে চাল বিতরণ Logo জুলাই সনদ সংবিধান থেকে বড় নয় -এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান Logo শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন Logo বিয়ের দুই মাসের আগেই প্রেমিকা নিয়ে পালালেন স্বামী, অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা Logo শুধু ভালো ছাত্র নয়, ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে : জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা Logo বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় ও এফবিসিসিআই এর ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার Logo রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ Logo কুমিল্লা নগরীতে ভাড়া বাসা থেকে মা মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুরের শাহরাস্তি মডেল মহিলা আলিম মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম ও নবনিযুক্ত সুপার মো. মনিরুজ্জামানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশিদ এলাকায় অবস্থিত মাদ্রাসার সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নবগঠিত গভর্নিং বডির সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটি ব্যক্তিগত আধিপত্যে পরিচালনা করেছেন। এর অংশ হিসেবে পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছেন। তার স্ত্রী নাজমা আক্তার অফিস সহকারী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও যোগদানের পর থেকে একদিনের জন্যও অফিসে উপস্থিত হননি, অথচ নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করে যাচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, সভাপতির পরিবারের আটজন সদস্য বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত।
তারা আরও অভিযোগ করেন, সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিন দিনের মাথায় গোপনে অর্থের বিনিময়ে সুপার পদে মো. মনিরুজ্জামানকে নিয়োগ দেন। মনিরুজ্জামান গত ৭ সেপ্টেম্বর যোগদান করেছেন। অথচ তিনি এর পূর্বে কচুয়া উপজেলার ইউসুফ সফর আলী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার ছিলেন। যেখানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর স্থানীয়দের চাপে তাকে বিতাড়িত করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মনিরুজ্জামান একজন রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত। ফলে তার নিয়োগ প্রতিষ্ঠানকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে।

ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অনিয়ম প্রসঙ্গে অভিভাবক প্রতিনিধি খোরশেদ আলম বলেন, “একদিন অফিসে গিয়ে আমাকে হঠাৎ অভিভাবক সদস্য হিসেবে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। পরে বুঝতে পারি এটি পরিকল্পিত কৌশল। তাই আমি অনাস্থা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, “অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে এই কমিটি ও সুপার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না।”

মানববন্ধনে বক্তারা স্পষ্ট করে জানান, সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানের অপসারণ না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী সৈমদ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লাকসামে নরপাটি ও ফতেপুর খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

SBN

SBN

শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৮:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুরের শাহরাস্তি মডেল মহিলা আলিম মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম ও নবনিযুক্ত সুপার মো. মনিরুজ্জামানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশিদ এলাকায় অবস্থিত মাদ্রাসার সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নবগঠিত গভর্নিং বডির সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটি ব্যক্তিগত আধিপত্যে পরিচালনা করেছেন। এর অংশ হিসেবে পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছেন। তার স্ত্রী নাজমা আক্তার অফিস সহকারী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও যোগদানের পর থেকে একদিনের জন্যও অফিসে উপস্থিত হননি, অথচ নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করে যাচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, সভাপতির পরিবারের আটজন সদস্য বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত।
তারা আরও অভিযোগ করেন, সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিন দিনের মাথায় গোপনে অর্থের বিনিময়ে সুপার পদে মো. মনিরুজ্জামানকে নিয়োগ দেন। মনিরুজ্জামান গত ৭ সেপ্টেম্বর যোগদান করেছেন। অথচ তিনি এর পূর্বে কচুয়া উপজেলার ইউসুফ সফর আলী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার ছিলেন। যেখানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর স্থানীয়দের চাপে তাকে বিতাড়িত করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মনিরুজ্জামান একজন রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত। ফলে তার নিয়োগ প্রতিষ্ঠানকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে।

ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অনিয়ম প্রসঙ্গে অভিভাবক প্রতিনিধি খোরশেদ আলম বলেন, “একদিন অফিসে গিয়ে আমাকে হঠাৎ অভিভাবক সদস্য হিসেবে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। পরে বুঝতে পারি এটি পরিকল্পিত কৌশল। তাই আমি অনাস্থা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, “অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে এই কমিটি ও সুপার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না।”

মানববন্ধনে বক্তারা স্পষ্ট করে জানান, সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানের অপসারণ না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী সৈমদ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।