
মো ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি
বিকাল ৪.৩০ টায় দেশের মোট ৬৬ টি সরকারী ও আধা সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ থেকে প্রায় ৮০ জন প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ ডিসেম্বর ২৪ ইং কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ এর সভাপতিত্ত্বে উপস্থিত ছিলেন ড জাকির হোসেন, রাজেকুজ্জামান রতন, সাকিল আখতার চৌধুরী, তাসলিমা আখতারসহ প্রমুখ।
সভায় সংগঠনের প্রতিনিধিগণ তাদের কর্মঘন্টার বৈষম্য, বেতন বৈষম্য, মাতৃত্বকালীন ছুটি, বোনাস এবং ইঙ্ক্রিমেন্ট এর ক্ষেত্রে বৈষম্য, প্রতিনিয়ত চাকরীচ্যুত সহ বিভিন্ন ক্রকমের হয়রানি সহ বিভিন্ন দুর্দশার কথা। করোনাকালীন সময়ে তাদের জীবন বাজি রেখে পরিশ্রম করলেও তারা ঠিকমতো পান নি কোনো সম্মানি, না কোনো সম্মানা। তাদের নেই কোনো বেতনের নিশ্চয়তা, নেই জীবনে কোনো স্বাচ্ছন্দ। তাদের বিপর্যস্ত জীবনে তারা পান না কোনো সহায়তা।
তারা তাদের লিখিত সুপারিশ কমিশনের কাছে জমা দেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আউটসোর্সিং প্রথা ও ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করা, আউটসোর্সিং ও দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগ, ছুটির বিধান বাস্তবায়ন সহ প্রভৃতি।
সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আউটসোর্সিং শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে, কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, আজ তারা এখানে না আসলে তিনি তাদের এতো দুরাবস্থা, বৈষম্যের কথা জানতে পারতেন না। তিনি আরও বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো যাতে রিপোর্টে আমরা সকলের সুপারিশের প্রতিফলন ঘটাবো। একজন সরকারী অধিদপ্তরে চাকুরী করেও মাতৃত্বকালীন ছুটি পায় না, বিয়ে ভেঙে যায়, এর চেয়ে বেশি বৈষম্য আর হতে পারে না। অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে মানুষ পেশাগত জীবনযাপন করছে, যা শ্রম আইন লঙ্ঘন, মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা সুপারিশ করবো, সেই সুপারিশ নিয়ে এগিয়ে যাবো।
একই সাথে দুপুর ১৩.৩০ এ শ্রম সংস্কার কমিশনের সাথে বাংলাদেশে কর্মপরিবেশের উন্নয়ন ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ রাজধানীর শ্রম ভবনে শ্রম সংস্কার কমিশন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)—এর মধ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রম সংস্কার কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। ‘সবার জন্য নিরাপদ কাজ’ নিশ্চিত করতে ডাইফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”
ডাইফের মহাপরিদর্শক ওমর মোঃ ইমরুল মহসিন বলেন, “শ্রমখাত উন্নয়নে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সমন্বয় সাধন অত্যন্ত জরুরি। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শ্রম আইন ও বিধিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন অপরিহার্য।”
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় আপনার দৈনিক পত্রিকা/ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশের জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।