ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীবরদীতে ভিজিডি কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ সুবিধাভোগি কার্ডধারীদের।

কার্ডধারিরা জানান, রানীশিমুল ইউনিয়নে ২৭০ জন সুবিধাভোগী গত ২ বছর ভিজিডি কার্ডের চালের সুবিধা ভোগ করেছেন। নিয়মানুযায়ী প্রতিমাসে চাল উত্তোলনের সময় প্রতি জন কার্ডধারিকে বাধ্যতামূলক ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় দিতে হয়েছে। এসব সঞ্চয়ের টাকা গ্রহণ করে ভায়াডাঙ্গা বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং এশিয়া। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসে কার্ডধারিদের মধ্যে চাল বিতরনের সময় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এশিয়া ব্যাংকের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা জানানো হলে তারা কার্ডধারিদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের টাকা গ্রহণ করেন।

কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ ব্যাংকের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে না জানিয়েই বিভিন্ন সময় চাল বিতরন করেন। এসময় কার্ডধারিদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের টাকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ নিজেই গ্রহন করেন। নিয়ম অনুযায়ী কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার কথা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তা না করে উক্ত টাকা পকেস্থ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, ২ বছরের চালের বরাদ্দ শেষে কার্ডধারীরা তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত নিতে গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ে।

জানা যায়, ভায়াডাঙ্গা এজেন্ট ব্যাংকিং এশিয়ার প্রতিনিধি মো,রোমান মিয়া তার স্বাক্ষর ব্যতীত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় এ ঘটনাটি ফাঁস হয়। দুপুর প্রর্যন্ত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত নিতে আসা কার্ড ধারীদের মধ্যে ৪৭টি সঞ্চয় আদায় বই জমা পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে। পরে উক্ত বইয়ের সঞ্চয় হিসাব করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবগত হন। ৩৫৪৭০ টাকার বিপরিতে তাদের কোন স্বাক্ষর নেই।

তারা উক্ত টাকা ফেরৎ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বাকি কার্ডধারিদের সঞ্চয় বইয়ের একই অবস্থা। এঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ফোনে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ও তিনি ফোন ধরেননি।

এজেন্ট ব্যাংকিং এশিয়ার পক্ষ থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাছুমা বেগমকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে কার্ডধারিদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শেখ জাবের আহমেদ বলেন বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বলেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীবরদীতে ভিজিডি কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা

আপডেট সময় ০২:০৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ সুবিধাভোগি কার্ডধারীদের।

কার্ডধারিরা জানান, রানীশিমুল ইউনিয়নে ২৭০ জন সুবিধাভোগী গত ২ বছর ভিজিডি কার্ডের চালের সুবিধা ভোগ করেছেন। নিয়মানুযায়ী প্রতিমাসে চাল উত্তোলনের সময় প্রতি জন কার্ডধারিকে বাধ্যতামূলক ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় দিতে হয়েছে। এসব সঞ্চয়ের টাকা গ্রহণ করে ভায়াডাঙ্গা বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং এশিয়া। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসে কার্ডধারিদের মধ্যে চাল বিতরনের সময় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এশিয়া ব্যাংকের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা জানানো হলে তারা কার্ডধারিদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের টাকা গ্রহণ করেন।

কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ ব্যাংকের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে না জানিয়েই বিভিন্ন সময় চাল বিতরন করেন। এসময় কার্ডধারিদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের টাকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ নিজেই গ্রহন করেন। নিয়ম অনুযায়ী কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার কথা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তা না করে উক্ত টাকা পকেস্থ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, ২ বছরের চালের বরাদ্দ শেষে কার্ডধারীরা তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত নিতে গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ে।

জানা যায়, ভায়াডাঙ্গা এজেন্ট ব্যাংকিং এশিয়ার প্রতিনিধি মো,রোমান মিয়া তার স্বাক্ষর ব্যতীত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় এ ঘটনাটি ফাঁস হয়। দুপুর প্রর্যন্ত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত নিতে আসা কার্ড ধারীদের মধ্যে ৪৭টি সঞ্চয় আদায় বই জমা পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে। পরে উক্ত বইয়ের সঞ্চয় হিসাব করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবগত হন। ৩৫৪৭০ টাকার বিপরিতে তাদের কোন স্বাক্ষর নেই।

তারা উক্ত টাকা ফেরৎ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বাকি কার্ডধারিদের সঞ্চয় বইয়ের একই অবস্থা। এঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ফোনে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ও তিনি ফোন ধরেননি।

এজেন্ট ব্যাংকিং এশিয়ার পক্ষ থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাছুমা বেগমকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে কার্ডধারিদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শেখ জাবের আহমেদ বলেন বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বলেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।