ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী পলাতক Logo শোক থেকে শক্তির অভ্যুদ্বয়: সার্বভৌমত্ব ও মুক্তির চূড়ান্ত লড়াই Logo ঘোড়া বর্ষের প্রতিপাদ্যে চীন-আরব সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন Logo একচীন নীতিতে পুনরায় সমর্থন জানাল তিন আরব দেশ Logo ম্যাকাও প্রধান নির্বাহীর কার্যপ্রতিবেদন শুনলেন প্রেসিডেন্ট সি Logo দাম ও মানের সমন্বয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এগিয়ে চীনা অটোমোবাইল Logo টানা নবম বছর গ্যাস উৎপাদনে চীনের মাইলফলক Logo শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা Logo বরুড়ায় মরহুম হাজী নোয়াব আলী স্মৃতি স্মরনে ডাবল ফ্রিজ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

শ্রীলংকা চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ জোরদার করতে চায়: দিশানায়েকে

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৯:১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে চীন সফর করেছেন। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) সিজিটিএনের সাংবাদিককে সে সময় তিনি একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন।

সাক্ষাৎকারে দিশানায়েকে বলেন, শ্রীলংকা চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর দু’দেশ বরাবরই সমঝোতা ও পরস্পরকে সমর্থন করে আসছে। চীন সরকার সর্বদা জনগণকে প্রথমে রেখে যে কোনো লক্ষ্য ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। শ্রীলংকার নতুন সরকারও চীনের মত জনগণের সেবা করার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। আমার এবারের চীন সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্পর্কে দিশানায়েকে বলেন, আমার মনে সি এমন একজন নেতা যিনি সর্বদা জনগণকে প্রথমে রাখেন, জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করেন, জনগণের স্বার্থে তার সমস্ত শক্তি উৎসর্গ করেন এবং জনগণের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) নেতৃত্বে চীন বিভিন্ন সময়ে কষ্ট, ক্লেশ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমান সমৃদ্ধি বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়াও নতুন জ্বালানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে চীন বিশ্বে সামনের সারিতে রয়েছে। নতুন জ্বালানি সম্পদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শ্রীলংকা আশা ও বিশ্বাস করে যে, চীন থেকে এ খাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেতে পারে।

দিশানায়েকে বলেন, বিশ্বের দারিদ্র্য বিমোচনের প্রক্রিয়ায় চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্রীলংকা চীনের দারিদ্র্য বিমোচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চায়। প্রেসিডেন্ট সি শ্রীলংকার কর্মকর্তাদেরকে চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে স্বাগত জানিয়েছেন। আমিও চীনা গ্রামগুলোয় গিয়ে পরিদর্শন করতে চাই। বর্তমান চীন হলো শ্রীলংকার সবচেয়ে বিশ্বস্ত অর্থনৈতিক অংশীদার। শ্রীলংকা চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ জোরদার করতে চায়। বিশেষ করে, চীনে শ্রীলংকার রপ্তানি বাড়াতে চান তিনি। বিশ্বাস করা যায়, দুই দেশ পারস্পরিকভাবে লাভজনক এবং আরও দৃঢ় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।

সবশেষে দিশানায়েকে সি চিন পিংয়ের উদ্যোগে বিশ্ব উন্নয়ন, বিশ্ব নিরাপত্তা ও বিশ্ব সভ্যতা প্রস্তাব এবং বিশ্বের বৈচিত্র্য সুরক্ষা প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা উদ্যোগগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক। তিনি মনে করেন, বিশ্বব্যাপী উদ্যোগগুলো বিশ্বের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে।
সূত্র: ছাই ইউয়ে মুক্তা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

শ্রীলংকা চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ জোরদার করতে চায়: দিশানায়েকে

আপডেট সময় ০৯:১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

সম্প্রতি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে চীন সফর করেছেন। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) সিজিটিএনের সাংবাদিককে সে সময় তিনি একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন।

সাক্ষাৎকারে দিশানায়েকে বলেন, শ্রীলংকা চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর দু’দেশ বরাবরই সমঝোতা ও পরস্পরকে সমর্থন করে আসছে। চীন সরকার সর্বদা জনগণকে প্রথমে রেখে যে কোনো লক্ষ্য ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। শ্রীলংকার নতুন সরকারও চীনের মত জনগণের সেবা করার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। আমার এবারের চীন সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্পর্কে দিশানায়েকে বলেন, আমার মনে সি এমন একজন নেতা যিনি সর্বদা জনগণকে প্রথমে রাখেন, জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করেন, জনগণের স্বার্থে তার সমস্ত শক্তি উৎসর্গ করেন এবং জনগণের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) নেতৃত্বে চীন বিভিন্ন সময়ে কষ্ট, ক্লেশ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমান সমৃদ্ধি বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়াও নতুন জ্বালানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে চীন বিশ্বে সামনের সারিতে রয়েছে। নতুন জ্বালানি সম্পদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শ্রীলংকা আশা ও বিশ্বাস করে যে, চীন থেকে এ খাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেতে পারে।

দিশানায়েকে বলেন, বিশ্বের দারিদ্র্য বিমোচনের প্রক্রিয়ায় চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্রীলংকা চীনের দারিদ্র্য বিমোচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চায়। প্রেসিডেন্ট সি শ্রীলংকার কর্মকর্তাদেরকে চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে স্বাগত জানিয়েছেন। আমিও চীনা গ্রামগুলোয় গিয়ে পরিদর্শন করতে চাই। বর্তমান চীন হলো শ্রীলংকার সবচেয়ে বিশ্বস্ত অর্থনৈতিক অংশীদার। শ্রীলংকা চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ জোরদার করতে চায়। বিশেষ করে, চীনে শ্রীলংকার রপ্তানি বাড়াতে চান তিনি। বিশ্বাস করা যায়, দুই দেশ পারস্পরিকভাবে লাভজনক এবং আরও দৃঢ় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।

সবশেষে দিশানায়েকে সি চিন পিংয়ের উদ্যোগে বিশ্ব উন্নয়ন, বিশ্ব নিরাপত্তা ও বিশ্ব সভ্যতা প্রস্তাব এবং বিশ্বের বৈচিত্র্য সুরক্ষা প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা উদ্যোগগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক। তিনি মনে করেন, বিশ্বব্যাপী উদ্যোগগুলো বিশ্বের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে।
সূত্র: ছাই ইউয়ে মুক্তা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।