চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গত (বুধবার) বিকেলে বেইজিংয়ে গণ-মহাভবনে রাষ্ট্রীয় সফররত শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমার দিশানায়েকের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। বৈঠকে জনাব সি জোর দিয়ে বলেন, দু’পক্ষের কৌশলগত উচ্চতা থেকে চীন-শ্রীলংকা সম্পর্ক মজবুত করা এবং চীন-শ্রীলংকা অভিন্ন কল্যাণের সমাজ তৈরি করা হবে।
সি চিন পিং বলেন, দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬৮ বছরে, দু’দেশের সম্পর্কের সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল উন্নয়ন বজায় ছিল এবং বিভিন্ন দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতার দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। দু’দেশের অভিন্ন চেষ্টায় উচ্চমানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীন আগের মতো শ্রীলংকার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সমর্থন দেবে এবং শ্রীলংকার সঙ্গে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা গভীরতর করতে, দেশ প্রশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে, দু’দেশের বিভিন্ন বিভাগের সংলাপ ও যোগাযোগ জোরদার করতে ইচ্ছুক। এ ছাড়া চীন শ্রীলংকার সঙ্গে জাতিসংঘের মতো বহুপক্ষীয় কাঠামোতে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করতে, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো মানবজাতির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মোকাবিলা করা, গ্লোবাল সাউথের উন্নয়নে অবিচল থাকা এবং আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে শক্তি যোগাতে চায়।
দিশানায়েকে বলেন, বিভিন্ন অবস্থায় শ্রীলংকা একচীন নীতিতে অবিচল থাকে। ডজন খানেক বছরে দেশটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরো বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানকে শ্রীলংকায় বিনিয়োগে স্বাগত জানান। শ্রীলংকা চীনের সঙ্গে বহুপাক্ষিক অবস্থানে সমন্বয় জোরদার করতে, একে অপরকে সমর্থন দিতে এবং অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করতে ইচ্ছুক।
বৈঠকের পর, দুই রাষ্ট্রপ্রধান বিআরআই সহযোগিতামূলক পরিকল্পনা ও কৃষিপণ্য চীনে রপ্তানি, জীবিকা এবং তথ্য, বেতার ও টেলিভিশনসহ বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক দলিল স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
সূত্র:প্রেমা-তৌহিদ-ছাই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।