ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo উইলিয়াম লাইয়ের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া: যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল চীন Logo ফ্রান্স ও চীনের ফার্স্ট লেডির সাথে অভিনেতাদের বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময় Logo সভ্যতার বিনিময়ে নতুন মাত্রা: সি চিন পিং-ম্যাকখোঁ বৈঠক Logo ব্রিকস, বেল্ট অ্যান্ড রোড ও বৈশ্বিক শাসন গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ উন্মোচন Logo ৬ ডিসেম্বর: রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, গেরিলা অভিযান, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আর বিজয়ের অমর ইতিহাস Logo মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারীকে আটক Logo কটিয়াদীতে নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার Logo ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন পার্কের বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কবে হবে? Logo মোংলার রাব্বি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকদের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু Logo কালীগঞ্জে ডাক্তারের দেয়া ঔষধ পরিবর্তন করার অভিযোগ জালাল ফার্মেসী’র বিরুদ্ধে

সভ্যতার বিনিময়ে নতুন মাত্রা: সি চিন পিং-ম্যাকখোঁ বৈঠক

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৯:২৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতু শহরের তু চিয়াং ইয়ানে ৫ ডিসেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকখোঁ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করেন।

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকখোঁকে তু চিয়াং ইয়ান জলসেচ প্রকল্পের ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, তু চিয়াং ইয়ান হলো বিশ্বজুড়ে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে, এমন একমাত্র প্রাচীন জলসেচ প্রকল্প। এটি মানবজাতি ও প্রকৃতির মধ্যে সুষম সহাবস্থানের অন্যতম সফল ও প্রাচীনতম অনুশীলন। এর নির্মাণ প্রক্রিয়া চীনাদের আত্ম-উন্নতির চেতনা, অধ্যবসায় এবং অগ্রগামী চেতনার সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটায়। তিনি বলেন, “প্রতিবার আমি তু চিয়াং ইয়ানে এসে পূর্বপুরুষদের ভৌগোলিক অবস্থা অনুযায়ী বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জলের পরিচালনা এবং এর মাধ্যমে জনগণের লাভবান হওয়ার মহত্ত্ব অনুভব করতে পারি। এ থেকে দেশ পরিচালনার অনেক জ্ঞান অর্জন করা যায়। ফ্রান্সেরও অনুরূপ চেতনা রয়েছে, তাই চীন ও ফ্রান্স অন্য দেশের চেয়ে একে অপরের প্রতি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং সম্মান করতে পারে।”

জবাবে ম্যাকখোঁ বলেন, দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত জলসেচ প্রকল্পটি এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা চীনা জনগণের প্রজ্ঞা ও কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি আরও যোগ করেন, চীন ও ফ্রান্সের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং দুই দেশের সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ সৃষ্টি করবে।

মতবিনিময়ের সময় সি চিন পিং বলেন, চীন ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা কেবল দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ‘করমর্দন’ নয়, বরং এটি দুটি মহান সভ্যতার সংমিশ্রণ। তিনি বিশ্বাস করেন, চীন ও ফ্রান্স সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে যৌথভাবে বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং মানবজাতির উন্নয়নে আরও বড় অবদান রাখতে পারবে।

দুই রাষ্ট্রপ্রধানই ঘনিষ্ঠ আদান-প্রদান ও যোগাযোগ বজায় রাখতে এবং যৌথভাবে চীন-ফ্রান্স সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন।

সূত্র : শুয়েই-তৌহিদ-জিনিয়া-চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

উইলিয়াম লাইয়ের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া: যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল চীন

SBN

SBN

সভ্যতার বিনিময়ে নতুন মাত্রা: সি চিন পিং-ম্যাকখোঁ বৈঠক

আপডেট সময় ০৯:২৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতু শহরের তু চিয়াং ইয়ানে ৫ ডিসেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকখোঁ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করেন।

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকখোঁকে তু চিয়াং ইয়ান জলসেচ প্রকল্পের ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, তু চিয়াং ইয়ান হলো বিশ্বজুড়ে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে, এমন একমাত্র প্রাচীন জলসেচ প্রকল্প। এটি মানবজাতি ও প্রকৃতির মধ্যে সুষম সহাবস্থানের অন্যতম সফল ও প্রাচীনতম অনুশীলন। এর নির্মাণ প্রক্রিয়া চীনাদের আত্ম-উন্নতির চেতনা, অধ্যবসায় এবং অগ্রগামী চেতনার সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটায়। তিনি বলেন, “প্রতিবার আমি তু চিয়াং ইয়ানে এসে পূর্বপুরুষদের ভৌগোলিক অবস্থা অনুযায়ী বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জলের পরিচালনা এবং এর মাধ্যমে জনগণের লাভবান হওয়ার মহত্ত্ব অনুভব করতে পারি। এ থেকে দেশ পরিচালনার অনেক জ্ঞান অর্জন করা যায়। ফ্রান্সেরও অনুরূপ চেতনা রয়েছে, তাই চীন ও ফ্রান্স অন্য দেশের চেয়ে একে অপরের প্রতি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং সম্মান করতে পারে।”

জবাবে ম্যাকখোঁ বলেন, দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত জলসেচ প্রকল্পটি এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা চীনা জনগণের প্রজ্ঞা ও কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি আরও যোগ করেন, চীন ও ফ্রান্সের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং দুই দেশের সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ সৃষ্টি করবে।

মতবিনিময়ের সময় সি চিন পিং বলেন, চীন ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা কেবল দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ‘করমর্দন’ নয়, বরং এটি দুটি মহান সভ্যতার সংমিশ্রণ। তিনি বিশ্বাস করেন, চীন ও ফ্রান্স সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে যৌথভাবে বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং মানবজাতির উন্নয়নে আরও বড় অবদান রাখতে পারবে।

দুই রাষ্ট্রপ্রধানই ঘনিষ্ঠ আদান-প্রদান ও যোগাযোগ বজায় রাখতে এবং যৌথভাবে চীন-ফ্রান্স সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন।

সূত্র : শুয়েই-তৌহিদ-জিনিয়া-চায়না মিডিয়া গ্রুপ।