ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরাইলে ২০ বছর পরে বেদখল জায়গার দখল হস্তান্তর

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের চুন্টা ইউনিয়নের ৪ নং ঘাগড়াজোর ওয়ার্ডে বেদখলি জমি সরাইল এর ডিক্রি ৩/২০০৪ পারিবারিক আদালত প্রকৃত মালিকদের কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা নাজির মো: আওলাদ হোসেন উপস্থিত হয়ে সরাইলে তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তোফা মিয়ার দখলে থাকা ১০ দাগে ৪৯ শতাংশ জমি প্রকৃত মালিক মৃত জুরু মিয়ার পরিবার কে দখল হস্তান্তর করেন।

এসময় জেলা সিভিল কোর্ট কমিশনার শিশির কুমার সিংহ ও সরাইল থানার উপ পরিদর্শক নূর নবী সংগীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

জুরু মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম, ছেলে হান্নান মিয়া, মান্নান মিয়া,সুমন ও মেয়ে রেখা বেগম তাদের জমি ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে পরেন।

হান্নান মিয়া বলেন, আমার পিতা দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ মামলা চালিয়ে যায়। আমার পিতা অনেকবার মামলার রায় পায় তবুও বিবাদী পক্ষ পুনরায় আপিল করে। আজকে ১৯ বছর পরে আদালত আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়, আমরা খুশি। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো আমার পিতা এইটা দেখে যেতে পারলো না।

জেলা নাজির আওলাদ হোসেন বলেন, সরাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিং ৩/২০০৪ মোকদ্দমার দখলি কার্যক্রমে হাজির হয়েছি।নালিশের ভূমিতে লাল নীশানা গেড়ে দিয়েছি। ডিক্রি দার পক্ষ জমি বুঝে পেয়ে দখল কাগজে স্বাক্ষর করেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরাইলে ২০ বছর পরে বেদখল জায়গার দখল হস্তান্তর

আপডেট সময় ০৮:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের চুন্টা ইউনিয়নের ৪ নং ঘাগড়াজোর ওয়ার্ডে বেদখলি জমি সরাইল এর ডিক্রি ৩/২০০৪ পারিবারিক আদালত প্রকৃত মালিকদের কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা নাজির মো: আওলাদ হোসেন উপস্থিত হয়ে সরাইলে তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তোফা মিয়ার দখলে থাকা ১০ দাগে ৪৯ শতাংশ জমি প্রকৃত মালিক মৃত জুরু মিয়ার পরিবার কে দখল হস্তান্তর করেন।

এসময় জেলা সিভিল কোর্ট কমিশনার শিশির কুমার সিংহ ও সরাইল থানার উপ পরিদর্শক নূর নবী সংগীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

জুরু মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম, ছেলে হান্নান মিয়া, মান্নান মিয়া,সুমন ও মেয়ে রেখা বেগম তাদের জমি ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে পরেন।

হান্নান মিয়া বলেন, আমার পিতা দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ মামলা চালিয়ে যায়। আমার পিতা অনেকবার মামলার রায় পায় তবুও বিবাদী পক্ষ পুনরায় আপিল করে। আজকে ১৯ বছর পরে আদালত আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়, আমরা খুশি। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো আমার পিতা এইটা দেখে যেতে পারলো না।

জেলা নাজির আওলাদ হোসেন বলেন, সরাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিং ৩/২০০৪ মোকদ্দমার দখলি কার্যক্রমে হাজির হয়েছি।নালিশের ভূমিতে লাল নীশানা গেড়ে দিয়েছি। ডিক্রি দার পক্ষ জমি বুঝে পেয়ে দখল কাগজে স্বাক্ষর করেছে।