ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo রাঙ্গামাটিতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo যৌথভাবে মানবজাতির আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে হবে : চিন পিংয়ের শীর্ষক প্রবন্ধ Logo ‘সি চিন পিংয়ের প্রিয় সাংস্কৃতিক উদ্ধৃতি উচ্চতর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দর্শন Logo চীন দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের জন্য মানবিক রোবট চালু করেছে Logo চীনা প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর Logo চীনের ভারত-পাকিস্তানকে সংযমী হওয়ার আহ্বান Logo যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্কারোপ আন্তর্জাতিক আর্থ-বাণিজ্য শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছে Logo আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্ম জয়ন্তী Logo শেরপুরে বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে জেলেদের মানববন্ধন

টেকনাফ প্রতিনিধি: সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে জেলেরা মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার সেন্টমার্টিন বাজারের এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইলিশের ভরা মৌসুমে সাগরে ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ করায় উপকূলীয় এলাকা কক্সবাজার সেন্টমার্টিন জেলেরা না খেয়ে দিন পার করছেন। অনেকে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে না দিতে পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ইলিশের ভরা মৌসুমে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছেন জেলেসহ বিপণন পেশায় নিয়োজিত উপকূলের সেন্টমার্টিনের জেলেরা মাছের ওপর নির্ভর করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা। সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১০ হাজার মানুষের আয়ের উৎস ২টি, টুরিজম ব্যবস্যা আর সাগরে মাছ ধরা বর্তমানে টুরিজম ব্যবস্যা একদম বন্ধ অন্য দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিনের মানুষ এমতবস্থায় সাগের ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ করে দিলে না খেয়ে মরবে সেন্টমার্টিনের মানুষ। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়ে এক মানববন্ধন করেছেন সেন্টমার্টিন জেলেরা।
এ সময় জেলেরা জানান, সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ করায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন কি অনেক জেলেরা না খেয়েও আছে। অধিকাংশ জেলে পরিবারই ধারদেনা করে চলছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সাধারণ জেলেদের আয়ের পথ না থাকায় তারা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করেছন সংশ্লিষ্টরা।
এ নিষেধাজ্ঞায় ট্রলার মালিকরাও জেলেদের দাদন দিয়ে পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। ট্রলার মালিক বেলাল জানান, ট্রলার ও জাল মেরামত এবং জেলেদের আগাম টাকা দিয়ে তারা এখন সাগরে মাছ ধরতে পারছেন না। নিষেধাজ্ঞার কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
সেন্টমার্টিনের এক জেলে জানান, অনেক দিন মাছ ধরতে না পারায় তাদের একমাত্র আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন, পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন। এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে না পরলে এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে।
সেন্টমার্টিন ফিশিং বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম জানান, তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে উপকূলে ফিরেছেন। সাগরে যেতে না পারায় চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেরা। এসময় জেলেরা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পেটে ভাত দিন না হয় সাগরে মাছ ধরা উম্মুক্ত করে দিন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন

SBN

SBN

সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে জেলেদের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০১:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

টেকনাফ প্রতিনিধি: সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে জেলেরা মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার সেন্টমার্টিন বাজারের এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইলিশের ভরা মৌসুমে সাগরে ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ করায় উপকূলীয় এলাকা কক্সবাজার সেন্টমার্টিন জেলেরা না খেয়ে দিন পার করছেন। অনেকে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে না দিতে পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ইলিশের ভরা মৌসুমে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছেন জেলেসহ বিপণন পেশায় নিয়োজিত উপকূলের সেন্টমার্টিনের জেলেরা মাছের ওপর নির্ভর করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা। সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১০ হাজার মানুষের আয়ের উৎস ২টি, টুরিজম ব্যবস্যা আর সাগরে মাছ ধরা বর্তমানে টুরিজম ব্যবস্যা একদম বন্ধ অন্য দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিনের মানুষ এমতবস্থায় সাগের ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ করে দিলে না খেয়ে মরবে সেন্টমার্টিনের মানুষ। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়ে এক মানববন্ধন করেছেন সেন্টমার্টিন জেলেরা।
এ সময় জেলেরা জানান, সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ করায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন কি অনেক জেলেরা না খেয়েও আছে। অধিকাংশ জেলে পরিবারই ধারদেনা করে চলছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সাধারণ জেলেদের আয়ের পথ না থাকায় তারা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করেছন সংশ্লিষ্টরা।
এ নিষেধাজ্ঞায় ট্রলার মালিকরাও জেলেদের দাদন দিয়ে পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। ট্রলার মালিক বেলাল জানান, ট্রলার ও জাল মেরামত এবং জেলেদের আগাম টাকা দিয়ে তারা এখন সাগরে মাছ ধরতে পারছেন না। নিষেধাজ্ঞার কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
সেন্টমার্টিনের এক জেলে জানান, অনেক দিন মাছ ধরতে না পারায় তাদের একমাত্র আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন, পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন। এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে না পরলে এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে।
সেন্টমার্টিন ফিশিং বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম জানান, তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে উপকূলে ফিরেছেন। সাগরে যেতে না পারায় চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেরা। এসময় জেলেরা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পেটে ভাত দিন না হয় সাগরে মাছ ধরা উম্মুক্ত করে দিন।