ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুয়াংতোং পরিদর্শনে সি চিন পিং : সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে নতুন গতি আনতে হবে Logo চীন-জর্জিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব শক্তিশালী হচ্ছে : জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী Logo কিস্তির জন্য গৃহবধূর আংটি-বদনা নিয়ে গেলেন এনজিওকর্মী Logo লাকসামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবীতে বিসিএস প্রভাষকদের মানবন্ধন Logo কাচপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে ২ হাজার কেজি জাটকা জব্দ Logo মালদ্বীপে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo বিএনপির ৬২ জন কর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান Logo গলায়, নাকে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন, ব্রাহ্মণপাড়ায় কন্যা শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু Logo সেন্টমার্টিনে ১ টি অবৈধ আর্টিসনাল ট্রলিং বোট ও থাই জালসহ ১৯ জন আটক

সাবেক এমপি ডা. এস এ মালেকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা, লেখক, কলামিস্ট, সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেকের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে মুজাফ্ফর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এর সঞ্চালনায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য নাহিদ নূর আলো, সহ-প্রচার সম্পাদক, এইচ. এম মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নজরুল ইসলাম, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত ইসলাম ভূঁঞা, পরিবেশ ও বন সম্পাদক নেছার আহাম্মদ ভূঁইঞা, যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রবীন সদস্য এড. দিদার আলী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, লেখক ও কলামিস্ট স্বদেশ রায়, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, সুপ্রীম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ডা. এস এ মালেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় স্মরণীয় ঘটনা হচ্ছে ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি সব সময় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ডা. এস এ মালেক এর অভাব কোনদিনই পুরন হবার নয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে ৭৫ পরবর্তী তাঁর ভূমিকা স্মরণ করার মতো। স্বৈর শাসনের হাত থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি পার্লামেন্টরী সরকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করেছিলেন। সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতেন।
সাংবাদিক স্বদেশ রায় বলেন, ডা. এস এ মালেক অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ করতেন এবং বিশ্ব সভায় এই গণহত্যার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য জনমত গড়ে তুলতেন। তিনি সিভিল সোসাইটি ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ডা. এস এ মালেক ছিলেন মৃত্যুহীন প্রাণ। ৩৮ বছর আগে তার সাথে পরিচয়, তাকে অনুসরণ করলে বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ রাখা যাবে। মনে প্রাণে ধারণ করতে পারলে অনেক দুর এগিয়ে যাওয়া যাবে।
এ এম আমিনউদ্দিন বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে জনমত গড়ে তোলেন এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছেন। মরহুম ডা. এস এ মালেক এর ছোট মেয়ে আর্কিক্টেট অবণী মেহবুব বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডা. এস এ মালেক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাসীন করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সভাশেষে ডা. এস এ মালেকের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় মসজিদ এর খতিব এমদাদ উদ্দিন।

আপলোডকারীর তথ্য

কুয়াংতোং পরিদর্শনে সি চিন পিং : সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে নতুন গতি আনতে হবে

SBN

SBN

সাবেক এমপি ডা. এস এ মালেকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০১:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা, লেখক, কলামিস্ট, সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেকের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে মুজাফ্ফর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এর সঞ্চালনায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য নাহিদ নূর আলো, সহ-প্রচার সম্পাদক, এইচ. এম মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নজরুল ইসলাম, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত ইসলাম ভূঁঞা, পরিবেশ ও বন সম্পাদক নেছার আহাম্মদ ভূঁইঞা, যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রবীন সদস্য এড. দিদার আলী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, লেখক ও কলামিস্ট স্বদেশ রায়, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, সুপ্রীম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ডা. এস এ মালেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় স্মরণীয় ঘটনা হচ্ছে ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি সব সময় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ডা. এস এ মালেক এর অভাব কোনদিনই পুরন হবার নয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে ৭৫ পরবর্তী তাঁর ভূমিকা স্মরণ করার মতো। স্বৈর শাসনের হাত থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি পার্লামেন্টরী সরকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করেছিলেন। সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতেন।
সাংবাদিক স্বদেশ রায় বলেন, ডা. এস এ মালেক অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ করতেন এবং বিশ্ব সভায় এই গণহত্যার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য জনমত গড়ে তুলতেন। তিনি সিভিল সোসাইটি ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ডা. এস এ মালেক ছিলেন মৃত্যুহীন প্রাণ। ৩৮ বছর আগে তার সাথে পরিচয়, তাকে অনুসরণ করলে বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ রাখা যাবে। মনে প্রাণে ধারণ করতে পারলে অনেক দুর এগিয়ে যাওয়া যাবে।
এ এম আমিনউদ্দিন বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে জনমত গড়ে তোলেন এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছেন। মরহুম ডা. এস এ মালেক এর ছোট মেয়ে আর্কিক্টেট অবণী মেহবুব বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডা. এস এ মালেক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাসীন করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সভাশেষে ডা. এস এ মালেকের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় মসজিদ এর খতিব এমদাদ উদ্দিন।