পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহা পরিদর্শক সৈয়দ বজলুল করিম ( বি.করিম) একজন মহা দূর্নীতিবাজ। চাকরী জীবনে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল বিত্ত -বৈবভের মালিক হন। বিপদগ্রস্থ বহু ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ব্যাক্তিদের ট্রাপে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কারো কাছ থেকে জমি, কারো কাছ থেকে ফ্ল্যাট, কারো কাছ থেকে গাড়ী ,আবার কারো কারো কাছ থেকে কারি কারি টাকা এভাবে হাতিয়ে নিয়ে নিজে মালিক হয়েছেন- শত শত বিঘা জমি, ফ্ল্যাট ও কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্সের। এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে দূদকের তদন্তে। বঙ্গবন্ধু একান্ত ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা একসময় দাপিয়ে বেরিয়েছেন প্রশাসনের বিভিন্ন তদবির বানিজ্যে। জানা যায় ১৯৯৬ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে “ জনতার মঞ্চ” এ যে কজন সরকারী কর্মকর্তা যোগ দিয়েছিলেন তিনি তাঁদের মাঝে অন্যতম বলে জানা যায়। তাঁর এহেন অঢেল সম্পদের উৎস কি ? তা জানতে এবং ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে অপ্রদর্শিত সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০০২ সালে দূদক তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
টাকার অপ্রদর্শিত সম্পদের হিসাব পায় দূদক। মামলার হাজিরা দিতে কোর্টে গেলে জামিন না দিয়ে জেলখানায় প্রেরন করে।
তৎকালীন নিউজ ২৪ ডট কম- এর রিপোর্ট নিম্নরুপ
ঢাকা, মার্চ ০২ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাবেক সহকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ বজলুল করিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এটি দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এম. আখতার হামিদ ভূঁইয়া।
২০০২ সালের ৩১ অক্টোবর রমনা থানায় তৎকালীন দুনীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা আবদুস সোবহান মামলাটি করেন।
মামলায় আয় বহির্ভূত ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা অর্জন এবং ১ কোটি ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭৫ টাকা গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এসকে/২০৪১ঘ
রাষ্ট্রীয় সনদপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ সাবেক পুলিশের এআইজি বি করিম এখনো নিয়মিত চাঁদাবাজিী দুর্নীতি, ভয় প্রদর্শনসহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। জোরপূর্বক জায়গা দখল, অর্থ আত্নসাৎ, পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানো যার নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে হয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে।
দূর্নীতিই যার পেশা। জানা যায় দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি চাকরীরত অবস্থায় শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ঢাকা শহরে অসংখ্য প্লট, ফ্ল্যাট,এবং বাড়ীর মালিক। গাজীপুরের এস পি থাকাকালীন অবৈধভাবে শত শত বিঘা জমির মালিক হয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর রয়েছে নামে- বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে শত শত কোটি টাকার এফ ডি আর। ২০০৯ সালে দূদকের মামলায় জেল খেটেছেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ, অপ্রদর্শিত সম্পদের অভিযোগ প্রমানিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়াও অগ্রনী ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালীন চাঞ্চল্যকর হাজার কোটি টাকার ঋন জালিয়াতী মামলার চার্জসীটভুক্ত আসামী ও তিনি। তাঁর ঐতিহাসিক হাস্যকর উক্তি“ ঈমানদারের সাথে থাইক- বেঈমানের সাথে থাইক না” অমুক দূর্নীতিবাজ, তমুক প্রতারক- অথচ তিনি নিজে রাষ্ট্রীয় সনদপ্রাপ্ত দূর্নীবাজ!! হায় সেলুকাস।