ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বিএনপি নেতা ফেরদৌস আলম মৃধা নিজস্ব অর্থায়নের বলদী গ্রামের বেহাল রাস্তা গুলো পূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেন Logo সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণ করে সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া জসিম উদ্দিনকে সংবর্ধনা Logo মুরাদনগরে খামারগ্রাম প্রবাসী সংগঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল Logo বুড়িচং বাকশীমূল স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo খুলনায় যুবককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা Logo সিলেট জেলা যুবদলের নেতা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ Logo ফুলবাড়ীতে প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবি Logo বরুড়ার দলুয়া তুলাগাও দাখিল মাদ্রাসার ৫৪ তম বার্ষিক বড় খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo ফুলবাড়ীতে কানাহার ডাঙ্গা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বি.করিমের বিরুদ্ধে দখলবাজী ও হয়রানির অভিযোগ

পুলিশের সাবেক সহকারী পুলিশ মহা পরিদর্শক সৈয়দ বজলুল করিম ( বি.করিম) একজন মহা দূর্নীতিবাজ। চাকরী জীবনে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল বিত্ত -বৈবভের মালিক হন। বিপদগ্রস্থ বহু ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ব্যাক্তিদের ট্রাপে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কারো কাছ থেকে জমি, কারো কাছ থেকে ফ্ল্যাট, কারো কাছ থেকে গাড়ী, আবার কারো কারো কাছ থেকে কারি কারি টাকা এভাবে হাতিয়ে নিয়ে নিজে মালিক হয়েছেন- শত শত বিঘা জমি, ফ্ল্যাট ও কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্সের।
এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে দূদকের তদন্তে। বঙ্গবন্ধু একান্ত ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা একসময় দাপিয়ে বেরিয়েছেন প্রশাসনের বিভিন্ন তদবির বানিজ্যে। জানা যায় ১৯৯৬ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে “ জনতার মঞ্চ” এ যে ক’জন সরকারী কর্মকর্তা যোগ দিয়েছিলেন তিনি তাঁদের মাঝে অন্যতম বলে জানা যায়।

তাঁর এহেন অঢেল সম্পদের উৎস কি ?
তা জানতে এবং ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে অপ্রদর্শিত সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০০২ সালে দূদক তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
টাকার অপ্রদর্শিত সম্পদের হিসাব পায় দূদক। মামলার হাজিরা দিতে কোর্টে গেলে জামিন না দিয়ে জেলখানায় প্রেরন করে।

তৎকালীন নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ সময় বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম- এর রিপোর্ট নিম্নরুপ

ঢাকা, মার্চ ০২ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাবেক সহকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ বজলুল করিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এটি দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এম. আখতার হামিদ ভূঁইয়া।
২০০২ সালের ৩১ অক্টোবর রমনা থানায় তৎকালীন দুনীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা আবদুস সোবহান মামলাটি করেন।
মামলায় আয় বহির্ভূত ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা অর্জন এবং ১ কোটি ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭৫ টাকা গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এসকে/২০৪১ঘ
রাষ্ট্রীয় সনদপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ সাবেক পুলিশের এআইজি বি করিম এখনো নিয়মিত চাঁদাবাজিী দুর্নীতি, ভয় প্রদর্শনসহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। জোরপূর্বক জায়গা দখল, অর্থ আত্নসাৎ, পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানো যার নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে হয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায়- গাজীপুরের ভবানীপুরে যৌথ মালিকানায় গড়ে উঠা রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে বি.করিম একজন প্লট মালিক। কিন্তু তিনি তার প্লটটি এহতেশামুল হক শামেল নামের একজন দুরন্ধর প্রতারক যিনি টাকা আত্নসাৎ ও প্রতারণার মামলায় বর্তমানে পলাতক তার কাছে বিক্রি করে দেন। কথিত রয়েছে এই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শামেল এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে রিসোর্টের অন্য মালিকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে তদবির করছেন এবং পুরো রিসোর্টটি গ্রাস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
রিসোর্টের একজন প্লট মালিক আজিজুর রহমান বলেন- আমি গত ১০ বৎসর যাবদ এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত। এখানে আমার একটি প্লট রয়েছে। যা আমি ভোগদখলে আছি। কিন্তু সম্প্রতি বি.করিম সাহেব আমার এই প্লটটি গ্রাস করার জন্য আমাকে মিথ্যা মামলা ফাঁসায়। একসময় তিনি এখানে মালিক ছিলেন। কিন্তু তিনি তার প্লট বিক্রি করে এখন শামেলের বেতন ভূক্ত কর্মচারি হয়ে আমাদের হয়রানি করছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়- এই বি. করিম দূর্নীতিই যার পেশা। দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি চাকরীরত অবস্থায় শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ঢাকা শহরে অসংখ্য প্লট, ফ্ল্যাট,এবং বাড়ীর মালিক। গাজীপুরের এসপি থাকাকালীন অবৈধভাবে শত শত বিঘা জমির মালিক হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর রয়েছে নামে- বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে কোটি টাকার এফ ডি আর। ২০০৯ সালে দূদকের মামলায় জেল খেটেছেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ-অপ্রদর্শিত সম্পদের অভিযোগ প্রমানিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়াও অগ্রনী ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালীন চাঞ্চল্যকর কোটি টাকার ঋন জালিয়াতী মামলার চার্জসীটভুক্ত আসামী ও তিনি।
তাঁর ঐতিহাসিক হাস্যকর উক্তি“ ঈমানদারের সাথে থাইক- বেঈমানের সাথে থাইক না” অমুক দূর্নীতিবাজ, তমুক প্রতারক- অথচ তিনি নিজে রাষ্ট্রীয় সনদপ্রাপ্ত দূর্নীবাজ!!
এই দুর্নীতিবাজ বি.করিমের বিরুদ্ধে আমাদের একটি অনুসন্ধানী টিম কাজ করছে। শীঘ্রই ধারাবাহিক ভাবে তার মুখোশ উন্মোচন করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

SBN

SBN

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বি.করিমের বিরুদ্ধে দখলবাজী ও হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পুলিশের সাবেক সহকারী পুলিশ মহা পরিদর্শক সৈয়দ বজলুল করিম ( বি.করিম) একজন মহা দূর্নীতিবাজ। চাকরী জীবনে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল বিত্ত -বৈবভের মালিক হন। বিপদগ্রস্থ বহু ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ব্যাক্তিদের ট্রাপে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কারো কাছ থেকে জমি, কারো কাছ থেকে ফ্ল্যাট, কারো কাছ থেকে গাড়ী, আবার কারো কারো কাছ থেকে কারি কারি টাকা এভাবে হাতিয়ে নিয়ে নিজে মালিক হয়েছেন- শত শত বিঘা জমি, ফ্ল্যাট ও কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্সের।
এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে দূদকের তদন্তে। বঙ্গবন্ধু একান্ত ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা একসময় দাপিয়ে বেরিয়েছেন প্রশাসনের বিভিন্ন তদবির বানিজ্যে। জানা যায় ১৯৯৬ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে “ জনতার মঞ্চ” এ যে ক’জন সরকারী কর্মকর্তা যোগ দিয়েছিলেন তিনি তাঁদের মাঝে অন্যতম বলে জানা যায়।

তাঁর এহেন অঢেল সম্পদের উৎস কি ?
তা জানতে এবং ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে অপ্রদর্শিত সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০০২ সালে দূদক তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
টাকার অপ্রদর্শিত সম্পদের হিসাব পায় দূদক। মামলার হাজিরা দিতে কোর্টে গেলে জামিন না দিয়ে জেলখানায় প্রেরন করে।

তৎকালীন নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ সময় বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম- এর রিপোর্ট নিম্নরুপ

ঢাকা, মার্চ ০২ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাবেক সহকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ বজলুল করিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এটি দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এম. আখতার হামিদ ভূঁইয়া।
২০০২ সালের ৩১ অক্টোবর রমনা থানায় তৎকালীন দুনীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা আবদুস সোবহান মামলাটি করেন।
মামলায় আয় বহির্ভূত ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা অর্জন এবং ১ কোটি ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭৫ টাকা গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এসকে/২০৪১ঘ
রাষ্ট্রীয় সনদপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ সাবেক পুলিশের এআইজি বি করিম এখনো নিয়মিত চাঁদাবাজিী দুর্নীতি, ভয় প্রদর্শনসহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। জোরপূর্বক জায়গা দখল, অর্থ আত্নসাৎ, পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানো যার নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে হয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায়- গাজীপুরের ভবানীপুরে যৌথ মালিকানায় গড়ে উঠা রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে বি.করিম একজন প্লট মালিক। কিন্তু তিনি তার প্লটটি এহতেশামুল হক শামেল নামের একজন দুরন্ধর প্রতারক যিনি টাকা আত্নসাৎ ও প্রতারণার মামলায় বর্তমানে পলাতক তার কাছে বিক্রি করে দেন। কথিত রয়েছে এই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শামেল এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে রিসোর্টের অন্য মালিকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে তদবির করছেন এবং পুরো রিসোর্টটি গ্রাস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
রিসোর্টের একজন প্লট মালিক আজিজুর রহমান বলেন- আমি গত ১০ বৎসর যাবদ এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত। এখানে আমার একটি প্লট রয়েছে। যা আমি ভোগদখলে আছি। কিন্তু সম্প্রতি বি.করিম সাহেব আমার এই প্লটটি গ্রাস করার জন্য আমাকে মিথ্যা মামলা ফাঁসায়। একসময় তিনি এখানে মালিক ছিলেন। কিন্তু তিনি তার প্লট বিক্রি করে এখন শামেলের বেতন ভূক্ত কর্মচারি হয়ে আমাদের হয়রানি করছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়- এই বি. করিম দূর্নীতিই যার পেশা। দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি চাকরীরত অবস্থায় শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ঢাকা শহরে অসংখ্য প্লট, ফ্ল্যাট,এবং বাড়ীর মালিক। গাজীপুরের এসপি থাকাকালীন অবৈধভাবে শত শত বিঘা জমির মালিক হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর রয়েছে নামে- বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে কোটি টাকার এফ ডি আর। ২০০৯ সালে দূদকের মামলায় জেল খেটেছেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ-অপ্রদর্শিত সম্পদের অভিযোগ প্রমানিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়াও অগ্রনী ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালীন চাঞ্চল্যকর কোটি টাকার ঋন জালিয়াতী মামলার চার্জসীটভুক্ত আসামী ও তিনি।
তাঁর ঐতিহাসিক হাস্যকর উক্তি“ ঈমানদারের সাথে থাইক- বেঈমানের সাথে থাইক না” অমুক দূর্নীতিবাজ, তমুক প্রতারক- অথচ তিনি নিজে রাষ্ট্রীয় সনদপ্রাপ্ত দূর্নীবাজ!!
এই দুর্নীতিবাজ বি.করিমের বিরুদ্ধে আমাদের একটি অনুসন্ধানী টিম কাজ করছে। শীঘ্রই ধারাবাহিক ভাবে তার মুখোশ উন্মোচন করা হবে।