
পূর্ব-চীনের শানতোং প্রদেশের ছুফু শহরে ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে চতুর্থ চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) ফোরাম। এই ফোরামে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং প্রযুক্তিগত ক্ষমতায়নের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
‘বিনিময়, পারস্পরিক শিক্ষা, প্রযুক্তি ক্ষমতায়ন: রূপান্তর ও উন্নয়নে সভ্যতার শক্তি’,এই প্রতিপাদ্যে সিএমজি এবং শানতোং প্রাদেশিক সরকার যৌথভাবে এই ফোরাম আয়োজন করে।
এবারের ফোরামে ৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ৩শত জন অতিথি অংশগ্রহণ করেন। এসব অতিথির, মধ্যে রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতা, মূলধারার গণমাধ্যমের প্রধান, কূটনীতিক, বিশেষজ্ঞ, পণ্ডিত এবং বহুজাতিক কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা। এবারের ফোরামে অতিথিরা অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ভাবেই এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
শানতোং প্রাদেশিক পার্টি কমিটির সচিব এবং প্রাদেশিক পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান লিন উ বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মিডিয়া উদ্ভাবনের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেন এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রথম সিএমজি ফোরামকে একটি অভিনন্দনপত্র পাঠিয়েছেন। তিনি মিডিয়া ইন্টিগ্রেশনের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার এবং একটি সর্ব-মিডিয়া যোগাযোগের ধরণ তৈরির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাও দিয়েছিলেন, যা আমাদের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পথ নির্দেশ করে। শানতোং একটি বিশাল জনসংখ্যা, শক্তিশালী অর্থনীতি এবং শক্তিশালী সংস্কৃতির প্রদেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, প্রদেশটি ‘আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সক্ষমতা বৃদ্ধি’ এবং ‘সভ্যতার মধ্যে বিনিময় এবং পারস্পরিক শিক্ষা গভীর করার’ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী আন্তরিকভাবে বাস্তবায়ন করে আসছে। শানতোং প্রদেশ আশা করে যে, এই ফোরামকে কাজে লাগিয়ে মিডিয়া বন্ধুদের সাথে একসাথে কাজ করবে, বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ, বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ এবং বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে, একটি সর্ব-মিডিয়া যোগাযোগের ধরন তৈরি ত্বরান্বিত করবে।
সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার বিভাগের উপমন্ত্রী এবং চায়না মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক শেন হাইসিয়োং বলেছেন যে, প্রথম সিএমজি ফোরামে প্রেসিডেন্ট সি’র অভিনন্দনপত্রের চেতনার আলোকে, সিএমজি টানা চার বছর ধরে এই ফোরামের আয়োজন করে আসছে। আমরা সর্বদা একই মূল উদ্দেশ্য মেনে চলেছি, যা হল উন্মুক্ততা এবং সহনশীলতা দিয়ে সভ্যতার সংলাপের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং সময়ের আলোয় সভ্যতার সহাবস্থানের পথ আলোকিত করা। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বারবার সমতা, পারস্পরিক শিক্ষা, সংলাপ এবং অন্তর্ভুক্তির উপর ভিত্তি করে সভ্যতার একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। চীনের প্রস্তাবিত ‘বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ’ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক এবং সুদূরপ্রসারী অনুরণন জাগিয়েছে। সিএমজি সর্বদা সভ্যতার সংলাপকে নিজের লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে। সিএমজি সংলাপের সেতুবন্ধন তৈরির জন্য মিডিয়া যোগাযোগ ব্যবহার করার উপর জোর দেয় এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে সভ্যতার শক্তিকে ক্রমাগতভাবে সঞ্চারিত করার জন্য সকল দেশের বন্ধুদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে।
বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সংস্থার মহাপরিচালক ড্যারেন ট্যাং ফোরামে একটি অভিনন্দনপত্র পাঠিয়ে এর সাফল্য কামনা করেছেন। অভিনন্দন পত্রে তিনি বলেন, বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সংস্থা সুযোগ গ্রহণ এবং যৌথভাবে ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সিএমজি’র সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
ফোরামের বক্তৃতার সময় অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মূলধারার মিডিয়া সংস্থার প্রধানরা প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং সভ্যতার পারস্পরিক শিক্ষাসহ নানা বিষয় নিয়ে তাদের মতামত ভাগ করে নেন।
সূত্র :লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।