ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী Logo খুনিদের বিচার আর দেশের সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না- ডাঃ শফিকুর রহমান Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট Logo দ্রব্যমূল্য সহনীয় রেখে দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করতে হবে- সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম

সিরাজদিখানে ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পিটি করার সময় ৩০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পিটি করার সময় অতিরিক্তি গরমে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রোববার (৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির হাফছা, ফাতেমা, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী আছিয়া আক্তার, নুসরাত, আয়শা, নাফিজা, সাদিয়া, কবিতা, মনিকা সহ মোট ১৩ শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। তারা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এতো গরমে স্বাভাবিকভাবে মানুষ যেখানে টিকতে পারছে না সেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পিটি করোনোর কী প্রয়োজন ছিল।

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিন উদ্দিন বলেন, গরমে আমাদের স্কুলে প্রতিটি ক্লাসেই শ্রেণি শিক্ষক দিয়ে পিটি করানো হয়। কিন্তু রোববার সিরাজদিখান থানা পুলিশের একজন অফিসার শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বাহিরে নিয়ে ইভটিজিং ও মাদকবিরোধী কথা বলার জন্য গেলে কিছু শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

অসুস্থ শিক্ষার্থী নাফিজা আক্তারের বাবা গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা নিজেরাই গরমে ঘরে থাকতে পারি না অথচ সমাবেশ করার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঠে নিয়েছে।

সিরাজদিখান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসুস্থতার ঘটনা আমাকে জানিয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি ছিল।

মুন্সীগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত বলেন, ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিদিন পিটি হয়। আজ পিটি চলাকালে আমাদের কাজের অংশ হিসেবে সিরাজদিখান থানার এএসআই কামরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মোবাইল ব্যবহারে সতর্কতা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতার বিষয়ে ৪ থেকে ৫ মিনিট অলোচনা করেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও জৈনসার ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু বলেন, সিরাজদিখান থানার কামরুল ইসলাম নামে একজন অফিসার আমাদের বিদ্যালয়ে এসে সচেতনতামূলক কথা বলার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঠে বের করে ছিলেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা নিয়ে বিকেলের মধ্যে সবাই বাড়ি ফিরে গেছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল

SBN

SBN

সিরাজদিখানে ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পিটি করার সময় ৩০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

আপডেট সময় ০৯:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পিটি করার সময় অতিরিক্তি গরমে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রোববার (৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির হাফছা, ফাতেমা, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী আছিয়া আক্তার, নুসরাত, আয়শা, নাফিজা, সাদিয়া, কবিতা, মনিকা সহ মোট ১৩ শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। তারা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এতো গরমে স্বাভাবিকভাবে মানুষ যেখানে টিকতে পারছে না সেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পিটি করোনোর কী প্রয়োজন ছিল।

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিন উদ্দিন বলেন, গরমে আমাদের স্কুলে প্রতিটি ক্লাসেই শ্রেণি শিক্ষক দিয়ে পিটি করানো হয়। কিন্তু রোববার সিরাজদিখান থানা পুলিশের একজন অফিসার শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বাহিরে নিয়ে ইভটিজিং ও মাদকবিরোধী কথা বলার জন্য গেলে কিছু শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

অসুস্থ শিক্ষার্থী নাফিজা আক্তারের বাবা গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা নিজেরাই গরমে ঘরে থাকতে পারি না অথচ সমাবেশ করার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঠে নিয়েছে।

সিরাজদিখান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসুস্থতার ঘটনা আমাকে জানিয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি ছিল।

মুন্সীগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত বলেন, ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিদিন পিটি হয়। আজ পিটি চলাকালে আমাদের কাজের অংশ হিসেবে সিরাজদিখান থানার এএসআই কামরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মোবাইল ব্যবহারে সতর্কতা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতার বিষয়ে ৪ থেকে ৫ মিনিট অলোচনা করেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও জৈনসার ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু বলেন, সিরাজদিখান থানার কামরুল ইসলাম নামে একজন অফিসার আমাদের বিদ্যালয়ে এসে সচেতনতামূলক কথা বলার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঠে বের করে ছিলেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা নিয়ে বিকেলের মধ্যে সবাই বাড়ি ফিরে গেছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।