ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপথ্যে যুবলীগ নেতা রাণা ও জুলহাস বাহিনী

সিলেটের রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর এক সময়ে মাদকের আখড়া খ্যাত সিলেট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় কিছু দিন অপরাধ প্রবণতা কম ছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধচক্র। আর নেতৃত্বে রয়েছে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক আব্দুল আলিম রানা ও মলম মার্টির সবর্দার কামরুল হাসান জুলহাস। এরা নিজেরাই রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় মাদকসেবী হিসেবে চিহ্নিত। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের কুল ঘেষা বাইপাস সড়কের মুখে এক যুবকের ৭ হাজার টাকা অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করেছে ৫ ছিনতাইকারি।

ভোক্তভোগি আব্দুল আলীম বিয়ানীবাজারের শেওলা এলাকার মৃত কুনু মিয়ার পুত্র। শেওলাতে তিনি নানার বাড়িতে বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার দীঘলবাক গ্রামে। আব্দুল আলীম জানান, তিনি ভোলাগঞ্জ থেকে সিলেট আসেন। পরবর্তীতে তিনি জুড়িতে যাওয়ার জন্য সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে আসলে ছিনতাইকারিরা তাকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা লুটে নেয়। অপর দিকে দক্ষিণ সুরমা জুড়ে আবারো বেপরোয়া ভিন্ন ভিন্ন চক্রের অপরাধীরা।

কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে গড়ে উঠা আবাসিক অনাবাসিক হোটেল গুলোতে স্থানীয় রাজনৈতিক গুঠি কয়েক নেতাদের মদদে চলছে অনৈতিক কার্যকলাপ। বাবনা, রেলওয়ে স্টেশন ক্বীনব্রীজ, পিরোজপুর, কদমতলীসহ আশপাশ এলাকায় অবস্থিত হোটেল গুলো মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় সচেতনমহল।

হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে পারাইরচক লালমাটি ও ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবেশি ছিনতাইকারীরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ রকম সিলেট জকিগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা থেকে উত্তর সুরমায় চলাচলকারী সিএনজিতে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির খপ্পরে পরে অনেকেই মুল্যবান জিনিষপত্র খোয়াচ্ছেন। দক্ষিণ সুরমায় রাত ১২ টার পর কিশোর গ্যাং এর উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। আবাসিক এলাকার ভেতরে উঠতি বয়সি তরুণরা গভীর রাতে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজিয়ে বেপরোয়া আচরণের কারণে স্থানীয়রা দিশেহারা।
কদমতলীসহ আরো কয়েকটি স্থানে গভীর রাত পর্যন্ত বাউল আসরের নামে চলে বেহায়াপনা ও উচ্চস্বরে গানবাজনা।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদী প্রচারণা চালালেও টনক নড়ে না কারো। সিলেট জেলা প্রশাসকের তাড়া খেয়ে উত্তর সুরমা থেকে বেশিরভাগ হকার এখন ভীড় করছেন দক্ষিণ সুরমায়। বাস টার্মিনাল, ক্বীণব্রীজ, ভার্থখলা, বাবনা, হুমায়ুন রশীদ চত্বর ও কদমতলীতে সরকারি রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠছে ভাসমান হকারদের দোকান।
কদমতলী পয়েন্টের বেশিরভাগ সড়কই এখন হকার, সবজি ও মাছ বিক্রেতাদের দখলে। এদের আবার মদদ দিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন বখাটে। সচেতনমহলের দাবি অচিরেই যদি জেলা প্রশাসক দক্ষিণ সুরমার দিকে নজর না দেন, তাহলে দক্ষিণ সুরমার অবস্থা আরো খারাপের দিকে ধাবিত হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে যুবলীগ নেতা রাণা ও জুলহাস বাহিনী

সিলেটের রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি

আপডেট সময় ০৫:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর এক সময়ে মাদকের আখড়া খ্যাত সিলেট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় কিছু দিন অপরাধ প্রবণতা কম ছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধচক্র। আর নেতৃত্বে রয়েছে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক আব্দুল আলিম রানা ও মলম মার্টির সবর্দার কামরুল হাসান জুলহাস। এরা নিজেরাই রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় মাদকসেবী হিসেবে চিহ্নিত। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের কুল ঘেষা বাইপাস সড়কের মুখে এক যুবকের ৭ হাজার টাকা অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করেছে ৫ ছিনতাইকারি।

ভোক্তভোগি আব্দুল আলীম বিয়ানীবাজারের শেওলা এলাকার মৃত কুনু মিয়ার পুত্র। শেওলাতে তিনি নানার বাড়িতে বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার দীঘলবাক গ্রামে। আব্দুল আলীম জানান, তিনি ভোলাগঞ্জ থেকে সিলেট আসেন। পরবর্তীতে তিনি জুড়িতে যাওয়ার জন্য সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে আসলে ছিনতাইকারিরা তাকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা লুটে নেয়। অপর দিকে দক্ষিণ সুরমা জুড়ে আবারো বেপরোয়া ভিন্ন ভিন্ন চক্রের অপরাধীরা।

কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে গড়ে উঠা আবাসিক অনাবাসিক হোটেল গুলোতে স্থানীয় রাজনৈতিক গুঠি কয়েক নেতাদের মদদে চলছে অনৈতিক কার্যকলাপ। বাবনা, রেলওয়ে স্টেশন ক্বীনব্রীজ, পিরোজপুর, কদমতলীসহ আশপাশ এলাকায় অবস্থিত হোটেল গুলো মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় সচেতনমহল।

হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে পারাইরচক লালমাটি ও ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবেশি ছিনতাইকারীরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ রকম সিলেট জকিগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা থেকে উত্তর সুরমায় চলাচলকারী সিএনজিতে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির খপ্পরে পরে অনেকেই মুল্যবান জিনিষপত্র খোয়াচ্ছেন। দক্ষিণ সুরমায় রাত ১২ টার পর কিশোর গ্যাং এর উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। আবাসিক এলাকার ভেতরে উঠতি বয়সি তরুণরা গভীর রাতে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজিয়ে বেপরোয়া আচরণের কারণে স্থানীয়রা দিশেহারা।
কদমতলীসহ আরো কয়েকটি স্থানে গভীর রাত পর্যন্ত বাউল আসরের নামে চলে বেহায়াপনা ও উচ্চস্বরে গানবাজনা।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদী প্রচারণা চালালেও টনক নড়ে না কারো। সিলেট জেলা প্রশাসকের তাড়া খেয়ে উত্তর সুরমা থেকে বেশিরভাগ হকার এখন ভীড় করছেন দক্ষিণ সুরমায়। বাস টার্মিনাল, ক্বীণব্রীজ, ভার্থখলা, বাবনা, হুমায়ুন রশীদ চত্বর ও কদমতলীতে সরকারি রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠছে ভাসমান হকারদের দোকান।
কদমতলী পয়েন্টের বেশিরভাগ সড়কই এখন হকার, সবজি ও মাছ বিক্রেতাদের দখলে। এদের আবার মদদ দিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন বখাটে। সচেতনমহলের দাবি অচিরেই যদি জেলা প্রশাসক দক্ষিণ সুরমার দিকে নজর না দেন, তাহলে দক্ষিণ সুরমার অবস্থা আরো খারাপের দিকে ধাবিত হবে।