ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরো ১০ দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে,

সিলেটে জেলা ও উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

সিলেট সংবাদদাতা

সিলেটে আরোও ১০ দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সময় যত গড়াচ্ছে উজানের ঢল ও বৃষ্টিতে সিলেটে ও সুনামগঞ্জ সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল আরো ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। সিলেটে ৭ লাখ মানুষ পানি বন্ধীয় হয়ে পড়েছেন।

এদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় অন্তত ২০০ গ্রামের মানুষ নতুন করে পানিবন্দী। ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি মঙ্গলবার (১৮জুন) সন্ধ্যা থেকে অবনতির দিকে। শহরের পানি কমলেও বিভিন্ন আবাসিক এলাকা এখনো তলিয়ে আছে। বর্তমানে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া কুশিয়ারা, সারি ও সারি গোয়াইন নদীর পানিও বিপৎসীমার উপরে বইছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) পর্যন্ত সিলেটে ১ হাজার ৩২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৬ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট মহানগরের ২১টি ওয়ার্ডে গ্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। সুুনামগঞ্জে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার ও সিলেটে ২ হাজার ৮শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে, সিলেট ও সুনামগঞ্জের সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বিশ্বনাথ উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করেছে প্রশাসন।

এদিকে, সিলেট বিভাগে আরো ১০ দিন মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে ওই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সিলেটে পানি বাড়ার সাথে সাথে ইতোমধ্যে জেলা শহরের সাথে উপজেলার শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আরো ১০ দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে,

সিলেটে জেলা ও উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

আপডেট সময় ০১:০৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

সিলেট সংবাদদাতা

সিলেটে আরোও ১০ দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সময় যত গড়াচ্ছে উজানের ঢল ও বৃষ্টিতে সিলেটে ও সুনামগঞ্জ সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল আরো ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। সিলেটে ৭ লাখ মানুষ পানি বন্ধীয় হয়ে পড়েছেন।

এদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় অন্তত ২০০ গ্রামের মানুষ নতুন করে পানিবন্দী। ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি মঙ্গলবার (১৮জুন) সন্ধ্যা থেকে অবনতির দিকে। শহরের পানি কমলেও বিভিন্ন আবাসিক এলাকা এখনো তলিয়ে আছে। বর্তমানে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া কুশিয়ারা, সারি ও সারি গোয়াইন নদীর পানিও বিপৎসীমার উপরে বইছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) পর্যন্ত সিলেটে ১ হাজার ৩২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৬ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট মহানগরের ২১টি ওয়ার্ডে গ্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। সুুনামগঞ্জে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার ও সিলেটে ২ হাজার ৮শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে, সিলেট ও সুনামগঞ্জের সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বিশ্বনাথ উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করেছে প্রশাসন।

এদিকে, সিলেট বিভাগে আরো ১০ দিন মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে ওই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সিলেটে পানি বাড়ার সাথে সাথে ইতোমধ্যে জেলা শহরের সাথে উপজেলার শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।