ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জরিপে সতর্কবার্তা: বিভাজনের পথে এগোচ্ছে তাইওয়ান প্রশাসন Logo বেইজিং নারী শীর্ষ-সম্মেলনে সি চিন পিংয়ের ঐতিহাসিক আহ্বান Logo বিআরআই দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধি Logo বিশ্বজুড়ে প্রশংসা চীনের নারী উন্নয়ন মডেল: সিজিটিএন জরিপ Logo ফতুল্লায় ৮৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়িসহ ২ জন পাচারকারী আটক Logo মোটরসাইকেল ওভারটেক করায় মোংলায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত ছোটন বাহিনীর ১ সহযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo দুই নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি Logo বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৩ শিক্ষক ও এক সহকারীর বিদায়ী সংবর্ধনা

সিলেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখনও অস্থিতিশীল

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট

সিলেটে দীর্ঘ দিন ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তি থাকলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। অস্থিতিশীল বাজার এখনো হয়নি স্থিতিশীল। সরকার পতন হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণহীণ অসংখ্য পণ্যের দাম। এ অবস্থায় সিলেট মহানগরীতে বাজার মনিটরিং করছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীরা।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সহিংসতার মধ্যে কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছিল ৪০০ টাকার ওপরে। এখনো কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। তবে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদনস্থলেও কম দামে কাঁচামাল বিক্রি হচ্ছে। আবার পণ্য পরিবহনে গত কয়েক দিনে ব্যবসায়ীদের কোনো চাঁদা দিতে হচ্ছে না। এসব কারণে সবজির দাম কমেছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে বেশির ভাগ সবজির কেজি এখন ৫০-৭০ টাকার আশপাশে। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও যা ছিল ১০০ টাকার কাছাকাছি। সকালে বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেখা যায়, বিভিন্ন সবজি পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। আর লাউ, কাঁকরোল, করলা, বেগুন ও বরবটি কেনা যাচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৫০ টাকা ও সাদা ডিম ১৪৫ টাকা দরে কিনেছেন ক্রেতারা। অবশ্য আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম আগের মতোই নাগালের বাইরে রয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আদা (চায়না) ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও রসুন (আমদানি) ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত মাসে চালের দাম কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা করে বেড়েছিল। সেই দাম এখনো কমেনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বাজারে এক বেসরকারী চাকুরীজীবীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম তো সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এত দিন দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হতো। এখন শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। আশা করছি, দাম কমে আসবে।

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, রাস্তাঘাটে এখন চাঁদাবাজি নেই। তবে সহিংসতা ও ডাকাতির আশঙ্কায় পণ্য পরিবহনে রাজি হচ্ছেন না অনেক ট্রাকচালক। ফলে বিভিন্ন উৎপাদনস্থল বা মোকামে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। এখন আস্তে আস্তে দাম কমে আসবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জরিপে সতর্কবার্তা: বিভাজনের পথে এগোচ্ছে তাইওয়ান প্রশাসন

SBN

SBN

সিলেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখনও অস্থিতিশীল

আপডেট সময় ০২:১৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট

সিলেটে দীর্ঘ দিন ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তি থাকলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। অস্থিতিশীল বাজার এখনো হয়নি স্থিতিশীল। সরকার পতন হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণহীণ অসংখ্য পণ্যের দাম। এ অবস্থায় সিলেট মহানগরীতে বাজার মনিটরিং করছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীরা।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সহিংসতার মধ্যে কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছিল ৪০০ টাকার ওপরে। এখনো কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। তবে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদনস্থলেও কম দামে কাঁচামাল বিক্রি হচ্ছে। আবার পণ্য পরিবহনে গত কয়েক দিনে ব্যবসায়ীদের কোনো চাঁদা দিতে হচ্ছে না। এসব কারণে সবজির দাম কমেছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে বেশির ভাগ সবজির কেজি এখন ৫০-৭০ টাকার আশপাশে। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও যা ছিল ১০০ টাকার কাছাকাছি। সকালে বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেখা যায়, বিভিন্ন সবজি পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। আর লাউ, কাঁকরোল, করলা, বেগুন ও বরবটি কেনা যাচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৫০ টাকা ও সাদা ডিম ১৪৫ টাকা দরে কিনেছেন ক্রেতারা। অবশ্য আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম আগের মতোই নাগালের বাইরে রয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আদা (চায়না) ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও রসুন (আমদানি) ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত মাসে চালের দাম কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা করে বেড়েছিল। সেই দাম এখনো কমেনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বাজারে এক বেসরকারী চাকুরীজীবীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম তো সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এত দিন দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হতো। এখন শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। আশা করছি, দাম কমে আসবে।

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, রাস্তাঘাটে এখন চাঁদাবাজি নেই। তবে সহিংসতা ও ডাকাতির আশঙ্কায় পণ্য পরিবহনে রাজি হচ্ছেন না অনেক ট্রাকচালক। ফলে বিভিন্ন উৎপাদনস্থল বা মোকামে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। এখন আস্তে আস্তে দাম কমে আসবে।