ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফ্রান্স জমিয়তের সভাপতি মাওলানা খালেদ আহমদ জায়িমকে সংবর্ধনা Logo সাজেকে বৈসু উৎসবে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সেনাবাহিনীর সম্প্রীতির বার্তা Logo বাঘাইছড়িতে প্রথমবারের মতো পেয়াজ চাষে কৃষকের সাফল্য Logo কুমিল্লায় জামায়াত ইসলামের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত Logo কালীগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কুপিয়ে জখম : অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি Logo লাকসামে অবৈধভাবে অস্বাস্থ্যকর আচার তৈরিকারখানা সিলগালা Logo মোংলায় পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রীর দেওয়া আগুনে পুড়লো ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন Logo কলম সেনা Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo লালমনিরহাটের পাটগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব

সিলেটে পুলিশ সদস্য শাহজাহান এর বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীর অভিযোগ

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেট জজকোর্টে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার নন-জিআরও পুলিশ সদস্য শাহজাহান এর বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ চাওয়ার প্রতিকার চেয়ে ২ জুলাই দৈনিক আলোকিত সিলেট এর চীফ রিপোর্টার ও সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নূরুদ্দীন রাসেল একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এসএমপির পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) বরাবরে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন-কথিত লাইভার লাকি আহমেদ সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায় বারবার সতর্ক করার পরও তাহা না মানায় বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকা হইতে তাহাকে স্টাফ রিপোর্টার পদ হইতে বহিস্কার করেন কর্তৃপক্ষ। এই আক্রোশে কথিত লাকি তার নিজস্ব ফেসবুকে পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম রুমন কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন-অশ্লীল ও মানহানিকর শব্দ ও বাক্য প্রয়োগ করে একের পর এক পোস্ট করে দেশে বিদেশে ভাইরাল করিয়া দেন।

প্রতিকার চেয়ে আবুল কাশেম বাদী হয়ে মাননীয় সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত, সিলেটে ১৬৬/২৩ ইং মামলা দায়ের করেন এবং বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। উক্ত মামলায় নূরুদ্দীন রাসেল কে ২ নং স্বাক্ষী হিসেবে দেওয়া হয়। উক্ত মামলা করার ১ মাস পর বাদী ও সকল স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে কথিত লাইভার লাকি আহমেদ বাদী হয়ে সাইবার আদালত সহ বিভিন্ন আদালতে ও থানায় একের পর এক কাউন্টার মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা জিডি এন্ট্রি করিতে থাকেন। কথিত লাকি রাসেলের ছবি এআই সফটওয়ার ও সুপার এডিট করে বিকৃত করে ও অশ্লীল বাক্যলাপ লিখে লাকির নিজস্ব ফেসবুক সহ বিভিন্ন ভাইরাল গ্রুপে দফায়-দফায় পোস্ট করিলে রাসেল নিরুপায় হয়ে সাইবার আদালতে মামলা নং-৬৯/২৪ ইং দায়ের করেন,যাহা পিবিআইয়ে তদন্তাধীন।

এরই সূত্র ধরে লাকি আহমেদ বাদী হয়ে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক জিডি করেন,যাহার নং-৫১২,তারিখ-১০/০২/২৪ ইংরেজি। উক্ত জিডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেন। গত ৩০/০৬/২৪ ইং দুপুরে বর্ণিত বিবাদী দক্ষিণ সুরমা থানার নন-জিআরও শাহজাহান নূরুদ্দীন রাসেল এর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলেন যে, লাকি আহমেদ বাদী হয়ে জিডির প্রসিকিউশন আপনার পক্ষে আসছে, আপনি এক্ষুণি কোর্টে এসে আমার সাথে দেখা করেন ও জিডি একসেপ্ট করার জন্য খরচাপাতি দিন নয়তো বাদী নারাজি দিলে অন্য কোথাও তদন্ত দিলে আপনি ঝামেলায় পড়ে যাবেন। রাসেল উত্তরে বলেন যে, আমি আগামীকাল দেখা করবো। পরদিন অর্থাৎ ০১ জুলাই ২৪ ইং সোমবার সকাল দশটায় ও দুপুর অনুমান ১ ঘটিকার সময় দফায় দফায় তিনি ফোন করে উনার সাথে দেখা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন রাসেলকে। রাসেল বাসা নন-জিআরও শাহজাহান এর সাথে উনার অফিসে দেখা করেন।

শাহজাহান জিডির কাগজের তদন্ত প্রতিবেদন ও নথি রাসেলের সামনে তুলে ধরেন এবং বলেন যে,”আমি লাকিকে ফোন দেইনি আপনাকে দিলাম, জিডি একসেপ্ট করাতে হবে নতুবা বাদী শুনলে সে নারাজি দিয়ে অন্য কোনো সংস্থায় নিয়ে যাবে, তখন আপনি বিপদে পড়বেন, খরচাপাতি ৪ হাজার টাকা লাগবে বলে দাবী করেন। রাসেল ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ জাহজাহান উত্তরে বলেন যে,আপনি বেশি বুঝেন,যান আপনার কাগজপত্রের দরকার নেই কথাগুলো তিনি রুঢ় আচরণ করতে থাকেন।

অভিযোগে ভূক্তভোগি আরো উল্লেখ করে বলেন, রাসেলের সামনেই পুলিশ সদস্য শাহজাহান ক্ষুব্ধ হয়ে লাকিকে ফোন করে বলেন তার অফিসে আসতে। রাসেল তাৎক্ষণিক ভাবে এসএমপি প্রসিকিউশন এর এসি রমজান আলীর কাছে গিয়ে বিষয়টি মৌখিক ভাবে প্রতিকা চান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোর্ট পরিদর্শক জিয়াউর রহমান। কিছুক্ষণ পরেই নন-জিআরও শাহজাহান কথিত লাকিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এসি সাহেবের রুমে পাঠান। ওই খানে লাকি উপস্থিত হয়ে রাসেলকে উদ্দেশ্য করে অফিসারদের সামনেই বেপরোয়া ভাবে গালিগালাজ ও তুই তুকারি করে কতাবার্তা ও অশালীন আচরণ করতে থাকেন। বিষয়টি আচমকা এরকম কান্ড দেখে এসি সাহেব ও কোর্ট পরিদর্শক বিব্রতবোধ করেন।

কিছুক্ষণ পর এসি সাহেবের নির্দেশে জিয়াউর রহমান রাসেলকে নিরাপত্তা দিয়ে রুম থেকে বাহিরে নিয়ে আসেন এবং তাৎক্ষণিক মান-সম্মানের ভয়ে রাসেল কোর্ট ত্যাগ করেন এবং লাকির আইনজীবী এডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য কে মোবাইলে অবহিত করেন বিষয়টি।

ভূক্তভোগী ন্যায় বিচার চেয়ে নন-জিআরও সদস্য শাহজাহান এর অসদাচরণ ও হয়রানির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

ফ্রান্স জমিয়তের সভাপতি মাওলানা খালেদ আহমদ জায়িমকে সংবর্ধনা

SBN

SBN

সিলেটে পুলিশ সদস্য শাহজাহান এর বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীর অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:২৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেট জজকোর্টে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার নন-জিআরও পুলিশ সদস্য শাহজাহান এর বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুষ চাওয়ার প্রতিকার চেয়ে ২ জুলাই দৈনিক আলোকিত সিলেট এর চীফ রিপোর্টার ও সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নূরুদ্দীন রাসেল একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এসএমপির পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) বরাবরে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন-কথিত লাইভার লাকি আহমেদ সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায় বারবার সতর্ক করার পরও তাহা না মানায় বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকা হইতে তাহাকে স্টাফ রিপোর্টার পদ হইতে বহিস্কার করেন কর্তৃপক্ষ। এই আক্রোশে কথিত লাকি তার নিজস্ব ফেসবুকে পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম রুমন কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন-অশ্লীল ও মানহানিকর শব্দ ও বাক্য প্রয়োগ করে একের পর এক পোস্ট করে দেশে বিদেশে ভাইরাল করিয়া দেন।

প্রতিকার চেয়ে আবুল কাশেম বাদী হয়ে মাননীয় সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত, সিলেটে ১৬৬/২৩ ইং মামলা দায়ের করেন এবং বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। উক্ত মামলায় নূরুদ্দীন রাসেল কে ২ নং স্বাক্ষী হিসেবে দেওয়া হয়। উক্ত মামলা করার ১ মাস পর বাদী ও সকল স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে কথিত লাইভার লাকি আহমেদ বাদী হয়ে সাইবার আদালত সহ বিভিন্ন আদালতে ও থানায় একের পর এক কাউন্টার মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা জিডি এন্ট্রি করিতে থাকেন। কথিত লাকি রাসেলের ছবি এআই সফটওয়ার ও সুপার এডিট করে বিকৃত করে ও অশ্লীল বাক্যলাপ লিখে লাকির নিজস্ব ফেসবুক সহ বিভিন্ন ভাইরাল গ্রুপে দফায়-দফায় পোস্ট করিলে রাসেল নিরুপায় হয়ে সাইবার আদালতে মামলা নং-৬৯/২৪ ইং দায়ের করেন,যাহা পিবিআইয়ে তদন্তাধীন।

এরই সূত্র ধরে লাকি আহমেদ বাদী হয়ে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক জিডি করেন,যাহার নং-৫১২,তারিখ-১০/০২/২৪ ইংরেজি। উক্ত জিডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেন। গত ৩০/০৬/২৪ ইং দুপুরে বর্ণিত বিবাদী দক্ষিণ সুরমা থানার নন-জিআরও শাহজাহান নূরুদ্দীন রাসেল এর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলেন যে, লাকি আহমেদ বাদী হয়ে জিডির প্রসিকিউশন আপনার পক্ষে আসছে, আপনি এক্ষুণি কোর্টে এসে আমার সাথে দেখা করেন ও জিডি একসেপ্ট করার জন্য খরচাপাতি দিন নয়তো বাদী নারাজি দিলে অন্য কোথাও তদন্ত দিলে আপনি ঝামেলায় পড়ে যাবেন। রাসেল উত্তরে বলেন যে, আমি আগামীকাল দেখা করবো। পরদিন অর্থাৎ ০১ জুলাই ২৪ ইং সোমবার সকাল দশটায় ও দুপুর অনুমান ১ ঘটিকার সময় দফায় দফায় তিনি ফোন করে উনার সাথে দেখা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন রাসেলকে। রাসেল বাসা নন-জিআরও শাহজাহান এর সাথে উনার অফিসে দেখা করেন।

শাহজাহান জিডির কাগজের তদন্ত প্রতিবেদন ও নথি রাসেলের সামনে তুলে ধরেন এবং বলেন যে,”আমি লাকিকে ফোন দেইনি আপনাকে দিলাম, জিডি একসেপ্ট করাতে হবে নতুবা বাদী শুনলে সে নারাজি দিয়ে অন্য কোনো সংস্থায় নিয়ে যাবে, তখন আপনি বিপদে পড়বেন, খরচাপাতি ৪ হাজার টাকা লাগবে বলে দাবী করেন। রাসেল ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ জাহজাহান উত্তরে বলেন যে,আপনি বেশি বুঝেন,যান আপনার কাগজপত্রের দরকার নেই কথাগুলো তিনি রুঢ় আচরণ করতে থাকেন।

অভিযোগে ভূক্তভোগি আরো উল্লেখ করে বলেন, রাসেলের সামনেই পুলিশ সদস্য শাহজাহান ক্ষুব্ধ হয়ে লাকিকে ফোন করে বলেন তার অফিসে আসতে। রাসেল তাৎক্ষণিক ভাবে এসএমপি প্রসিকিউশন এর এসি রমজান আলীর কাছে গিয়ে বিষয়টি মৌখিক ভাবে প্রতিকা চান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোর্ট পরিদর্শক জিয়াউর রহমান। কিছুক্ষণ পরেই নন-জিআরও শাহজাহান কথিত লাকিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এসি সাহেবের রুমে পাঠান। ওই খানে লাকি উপস্থিত হয়ে রাসেলকে উদ্দেশ্য করে অফিসারদের সামনেই বেপরোয়া ভাবে গালিগালাজ ও তুই তুকারি করে কতাবার্তা ও অশালীন আচরণ করতে থাকেন। বিষয়টি আচমকা এরকম কান্ড দেখে এসি সাহেব ও কোর্ট পরিদর্শক বিব্রতবোধ করেন।

কিছুক্ষণ পর এসি সাহেবের নির্দেশে জিয়াউর রহমান রাসেলকে নিরাপত্তা দিয়ে রুম থেকে বাহিরে নিয়ে আসেন এবং তাৎক্ষণিক মান-সম্মানের ভয়ে রাসেল কোর্ট ত্যাগ করেন এবং লাকির আইনজীবী এডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য কে মোবাইলে অবহিত করেন বিষয়টি।

ভূক্তভোগী ন্যায় বিচার চেয়ে নন-জিআরও সদস্য শাহজাহান এর অসদাচরণ ও হয়রানির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।