
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, গতকাল ১৪ই আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ইউননান প্রদেশের আননিংয়ে, কম্বোডিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখোন এবং থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিস সাঙ্গিয়াম্পংসা’র সাথে এক চা-চক্রে মিলিত হন।
এ সময় ওয়াং ই বলেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সীমান্ত-সংঘর্ষ অব্যাহত রাখতে চায় না; সংলাপ পুনরুদ্ধার ও সম্পর্ক উন্নয়নে দু’দেশই আন্তরিক। এবারের ল্যানচাং-মেকং সহযোগিতার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এর জন্য সুযোগ সরবরাহ করে।
ওয়াং ই আরও বলেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সংলাপ ও যোগাযোগ, ভুল বোঝাবুঝি নির্মূল, পুনরায় পারস্পরিক আস্থা প্রতিষ্ঠা, এবং স্বাভাবিক বিনিময় ও সহযোগিতাকে সমর্থন দেয় চীন। দু’পক্ষ সার্বিকভাবে কম্বোডিয়া-থাই সীমান্ত সাধারণ কমিটির বিশেষ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠিত মতৈক্যকে সমর্থন করে। এদিকে, আসিয়ান ভুমিকা পালন করে, “আসিয়ান পদ্ধতি”-র মাধ্যমে যথাসাধ্য সমস্যা সমাধানকে সমর্থন দেয়, এবং দু’পক্ষ দু’দেশের জনগণের দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে, যথাশীঘ্র সম্ভব সীমান্ত বন্দর পুনরায় খোলাকে সমর্থন দেয়।
চীন কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের ইচ্ছা অনুযায়ী, দু’দেশের সীমান্ত এলাকার মাইন অপসারণের মতো কাজে সমর্থন ও সাহায্য দিতে ইচ্ছুক।
কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় দু’পক্ষের মধ্যে যোগাযোগে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় চীনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং পরিস্থিতি প্রশমন ও সংলাপ ত্বরান্বিত করার জন্য চীনের গঠনমূলক ভুমিকার প্রশংসা করেন। দু’পক্ষ ইতিবাচকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে এবং সংলাপব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে বিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও সমাধান করতে চায় বলেও জানান দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সূত্র:প্রেমা-আলিম-ছাই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।