ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলা মামলায় পুনরায় তদন্তে নেমেছে পিবিআই Logo দৈনিক মুক্তির লড়াইয়ে সংবাদ প্রকাশের পর চান্দিনায় সরকারি খাল উদ্ধার Logo ​খুলনা বিভাগীয় তায়কোয়ানডো ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা চ্যাম্পিয়ন Logo ভবিষ্যৎ উন্নয়ন অংশীদারিত্বে আস্থা প্রকাশ দুই নেতার Logo ৫০ বছরের মৈত্রীর বন্ধনে নতুন অধ্যায় সূচনার আহ্বান সি চিন পিংয়ের Logo আবুজা ও লেবাননে চীনা শান্তিরক্ষীদের অবদানে জাতিসংঘের স্বীকৃতি Logo লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ী Logo বালিয়াডাঙ্গীতে কয়েক সেকেন্ডেই লন্ডভন্ড পাঁচ গ্রাম; ক্ষতিগ্রস্ত ৩শতাধিক পরিবার Logo কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিন মামলায় জরিমানা ও কারাদণ্ড Logo ঝিনাইদহে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলা মামলায় পুনরায় তদন্তে নেমেছে পিবিআই

এরশাদুল হক, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি এলাকায় নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন কালের নিউজ-এর সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।

ঘটনার পর আসামী সেলিম নামে একজনকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।প্রথমে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ তদন্ত করে মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়। তবে মামলার বাদী সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু অভিযোগ করেন— থানা পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা ও ভুয়া তদন্ত করেছে এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে তিনি আদালতে না-নারাজি আবেদন করেন।

বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত নতুন করে মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে পিবিআই মামলাটির তদন্তে নেমেছে এবং নতুনভাবে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে।

হামলার ঘটনা গত ২০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্ত এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় হোসেন খা (৪৫), মুনায়েম খা (৩৪), ফুরকান খা (৪০), আলমগীর (৩৫) সেলিম (২৮) সহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলাকারীরা শুধু তাকে মারাত্মকভাবে জখমই করেনি, বরং তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং নগদ তিন লক্ষ টাকা, একটি প্যানাসনিক ক্যামেরা ও একটি ভিভো স্মার্টফোন লুট করে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সাংবাদিক বাবুর দাবি, তিনি অনলাইন কালের নিউজ-এ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন এবং তা নাগরিক টেলিভিশনে প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর জের ধরেই তার উপর পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়।

ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে একজন সাংবাদিককে এমন নৃশংসভাবে হামলার শিকার হতে হওয়া গণমাধ্যমের জন্য বড় হুমকি। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

প্রথম তদন্তে থানা পুলিশ যেভাবে চার্জশিট দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলার বাদীসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। তাদের অভিযোগ, আসল অভিযুক্তদের বাঁচাতে পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা নিয়েছে।

তবে নতুন করে পিবিআই তদন্ত শুরু করায় সাংবাদিক মহল আশা করছে, প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে এবং হামলার সাথে জড়িতরা শাস্তি পাবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলা মামলায় পুনরায় তদন্তে নেমেছে পিবিআই

SBN

SBN

সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলা মামলায় পুনরায় তদন্তে নেমেছে পিবিআই

আপডেট সময় ১০:৩২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

এরশাদুল হক, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি এলাকায় নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন কালের নিউজ-এর সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।

ঘটনার পর আসামী সেলিম নামে একজনকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।প্রথমে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ তদন্ত করে মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়। তবে মামলার বাদী সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু অভিযোগ করেন— থানা পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা ও ভুয়া তদন্ত করেছে এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে তিনি আদালতে না-নারাজি আবেদন করেন।

বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত নতুন করে মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে পিবিআই মামলাটির তদন্তে নেমেছে এবং নতুনভাবে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে।

হামলার ঘটনা গত ২০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্ত এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় হোসেন খা (৪৫), মুনায়েম খা (৩৪), ফুরকান খা (৪০), আলমগীর (৩৫) সেলিম (২৮) সহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলাকারীরা শুধু তাকে মারাত্মকভাবে জখমই করেনি, বরং তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং নগদ তিন লক্ষ টাকা, একটি প্যানাসনিক ক্যামেরা ও একটি ভিভো স্মার্টফোন লুট করে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সাংবাদিক বাবুর দাবি, তিনি অনলাইন কালের নিউজ-এ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন এবং তা নাগরিক টেলিভিশনে প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর জের ধরেই তার উপর পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়।

ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে একজন সাংবাদিককে এমন নৃশংসভাবে হামলার শিকার হতে হওয়া গণমাধ্যমের জন্য বড় হুমকি। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

প্রথম তদন্তে থানা পুলিশ যেভাবে চার্জশিট দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলার বাদীসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। তাদের অভিযোগ, আসল অভিযুক্তদের বাঁচাতে পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা নিয়েছে।

তবে নতুন করে পিবিআই তদন্ত শুরু করায় সাংবাদিক মহল আশা করছে, প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে এবং হামলার সাথে জড়িতরা শাস্তি পাবে।