নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের সাঈদুল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ই জানুয়ারি) আনুমানিক রাত ১০ ঘটিকার সময় পারিবারিক কলহের জেরে অভিযুক্ত স্বামী সাঈদুল (৩৬) তার ছেলে সন্তানদ্বয় অর্নব (১২) ও সিয়াম (১০) এর সামনে হাত-পা বেধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রী আঁখি (৩২) কে হত্যা করে বলে জানা গেছে। এছারাও প্রায় ৬ মাস পূর্বে তুহিন (১৬) নামে অভিযুক্ত সাইদুল তার খালাতো ভাইকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে জানান এলাকাবাসী।
হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযুক্ত স্বামী সাঈদুল পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলাম (সুধা)’র ছেলে। নিহত আঁখি একই ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানান, হত্যাকারী সাঈদুল এলাকায় একজন মাদকব্যবসায়ী। প্রায়ই সে স্ত্রীকে মারধর করতো। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ তার ঘর থেকে ছেলেদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে এগিয়ে গেলে হাত-পা বাঁধা, পুরো মুখ রক্তাক্ত ও থেতলানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঘোষনা করেন।
সরেজমিনে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সাঈদুলের বাড়িতে গেলে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। একই সাথে নিহত আঁখির বাড়িতে স্বজনদের কান্নায় যেন আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে আসে।
নিহত আঁখি হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী দুই ছেলে অর্নব ও সিয়াম জানান, রাতে আমাদের মার সাথে বাবার কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মাকে হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো শুরু করে। মায়ের চিৎকারের আওয়াজ শুনে আমরা পাশের কক্ষ থেকে দৌড়ে গেলে বাবা আমাদেরকে ধাক্কাধাক্কি করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম সুমন জানান, গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠয়েছি। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।