ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খুলনায় আদালতের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে ২ জনকে হত্যা Logo ঝিনাইদহে খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ Logo ঝিনাইদহে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি Logo কুমিল্লায় ৯ দিনব্যাপী মেলায় বইপ্রেমীদের সমাগম Logo খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই : ফখরুল Logo মোংলায় প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ Logo ‎মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে কুটুক্তির অপরাধে বরুড়ায় গ্রেফতার ১ Logo কিশোরগঞ্জে চিকিৎসার অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ Logo চাঁদপুরে পুলিশ সুপারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি

হজের সফরে নামাজের বিধান

হজের সফরে কখন? কোথায়? কত রাকাত নামাজ পড়তে হয় ইত্যাদি নিয়ে অনেকে সংশয়ে পড়ে যান।

এমনকি মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের মাঠেও এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই আগে সফর সম্পর্কিত কিছু মাসআলা জানা দরকার-

(ক) আটচল্লিশ (৪৮) মাইল দূরত্বগামী যাত্রীকে শরিয়তে মুসাফির বলা হয়।
(খ) নিজের এলাকা অতিক্রম করা মাত্রই মুসাফির হয়ে যাবেন এবং মুসাফিরের বিধান মতো চলতে হবে।

(গ) মুসাফির হয়ে কোথাও গিয়ে ১৫ দিন বা তার ঊর্ধ্বে অবস্থানের নিয়ত করলে ‘মুকিম’ হয়ে যাবেন, এর কমে মুকিম হবে না।

(ঘ) অনুরূপ ভিন্ন ভিন্ন দুই স্থানে ১৫ দিন থাকার নিয়ত করলে মুকিম হবে না বরং মুসাফির থেকে যাবে। যেমন কেউ মক্কা
মোকাররমায় ১০ দিন এবং মিনায় ৫ দিন থাকার নিয়ত করল, এতে সে মুকিম হবে না বরং মুসাফিরই থেকে যাবে।

সুতরাং যে হাজিরা মক্কায় এমন সময় পৌঁছেন যে ৮ জিলহজ (হজের প্রথম দিন) পর্যন্ত ১৫ দিন হয় না, তারা যদি মক্কায় ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশি দিন একামাতের (অবস্থান) নিয়ত করেন তাহলে সে নিয়ত ছহিহ হবে না; বরং মুসাফিরই থেকে যাবেন, কারণ তারা ১৫ দিনের মধ্যে মিনা-আরাফাতে অবশ্যই যাবেন, যেতে হবে। তাই এ অবস্থায় তাদের মুকিম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন ব্যক্তিদের মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় কসর করতে হবে।
কসরের মাসআলা

মুসাফির সফর অবস্থায় কোনো মুকিম (স্থানীয়) ইমামের পেছনে নামাজের নিয়ত না করলে, তার জন্য চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়া জরুরি। এটাকে কসরের নামাজ বলে।

মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী পড়লে বা তার মতো মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে, নামাজ কসর করা জরুরি। এক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ পড়া ঠিক নয়।

মুসাফির ব্যক্তি স্থানীয় ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে। (আল মাবসুত, সারাখসি ১/২৪৩)।

আর মাগরিব, বিতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে। এগুলোর কসর নেই। তেমনিভাবে সুন্নত নামাজেরও কসর হয় না। তাই সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় আদালতের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে ২ জনকে হত্যা

SBN

SBN

হজের সফরে নামাজের বিধান

আপডেট সময় ০৯:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

হজের সফরে কখন? কোথায়? কত রাকাত নামাজ পড়তে হয় ইত্যাদি নিয়ে অনেকে সংশয়ে পড়ে যান।

এমনকি মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের মাঠেও এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই আগে সফর সম্পর্কিত কিছু মাসআলা জানা দরকার-

(ক) আটচল্লিশ (৪৮) মাইল দূরত্বগামী যাত্রীকে শরিয়তে মুসাফির বলা হয়।
(খ) নিজের এলাকা অতিক্রম করা মাত্রই মুসাফির হয়ে যাবেন এবং মুসাফিরের বিধান মতো চলতে হবে।

(গ) মুসাফির হয়ে কোথাও গিয়ে ১৫ দিন বা তার ঊর্ধ্বে অবস্থানের নিয়ত করলে ‘মুকিম’ হয়ে যাবেন, এর কমে মুকিম হবে না।

(ঘ) অনুরূপ ভিন্ন ভিন্ন দুই স্থানে ১৫ দিন থাকার নিয়ত করলে মুকিম হবে না বরং মুসাফির থেকে যাবে। যেমন কেউ মক্কা
মোকাররমায় ১০ দিন এবং মিনায় ৫ দিন থাকার নিয়ত করল, এতে সে মুকিম হবে না বরং মুসাফিরই থেকে যাবে।

সুতরাং যে হাজিরা মক্কায় এমন সময় পৌঁছেন যে ৮ জিলহজ (হজের প্রথম দিন) পর্যন্ত ১৫ দিন হয় না, তারা যদি মক্কায় ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশি দিন একামাতের (অবস্থান) নিয়ত করেন তাহলে সে নিয়ত ছহিহ হবে না; বরং মুসাফিরই থেকে যাবেন, কারণ তারা ১৫ দিনের মধ্যে মিনা-আরাফাতে অবশ্যই যাবেন, যেতে হবে। তাই এ অবস্থায় তাদের মুকিম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন ব্যক্তিদের মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় কসর করতে হবে।
কসরের মাসআলা

মুসাফির সফর অবস্থায় কোনো মুকিম (স্থানীয়) ইমামের পেছনে নামাজের নিয়ত না করলে, তার জন্য চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়া জরুরি। এটাকে কসরের নামাজ বলে।

মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী পড়লে বা তার মতো মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে, নামাজ কসর করা জরুরি। এক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ পড়া ঠিক নয়।

মুসাফির ব্যক্তি স্থানীয় ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে। (আল মাবসুত, সারাখসি ১/২৪৩)।

আর মাগরিব, বিতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে। এগুলোর কসর নেই। তেমনিভাবে সুন্নত নামাজেরও কসর হয় না। তাই সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বে।