ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জরিপে সতর্কবার্তা: বিভাজনের পথে এগোচ্ছে তাইওয়ান প্রশাসন Logo বেইজিং নারী শীর্ষ-সম্মেলনে সি চিন পিংয়ের ঐতিহাসিক আহ্বান Logo বিআরআই দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধি Logo বিশ্বজুড়ে প্রশংসা চীনের নারী উন্নয়ন মডেল: সিজিটিএন জরিপ Logo ফতুল্লায় ৮৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়িসহ ২ জন পাচারকারী আটক Logo মোটরসাইকেল ওভারটেক করায় মোংলায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত ছোটন বাহিনীর ১ সহযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo দুই নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি Logo বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৩ শিক্ষক ও এক সহকারীর বিদায়ী সংবর্ধনা

হজের সফরে নামাজের বিধান

হজের সফরে কখন? কোথায়? কত রাকাত নামাজ পড়তে হয় ইত্যাদি নিয়ে অনেকে সংশয়ে পড়ে যান।

এমনকি মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের মাঠেও এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই আগে সফর সম্পর্কিত কিছু মাসআলা জানা দরকার-

(ক) আটচল্লিশ (৪৮) মাইল দূরত্বগামী যাত্রীকে শরিয়তে মুসাফির বলা হয়।
(খ) নিজের এলাকা অতিক্রম করা মাত্রই মুসাফির হয়ে যাবেন এবং মুসাফিরের বিধান মতো চলতে হবে।

(গ) মুসাফির হয়ে কোথাও গিয়ে ১৫ দিন বা তার ঊর্ধ্বে অবস্থানের নিয়ত করলে ‘মুকিম’ হয়ে যাবেন, এর কমে মুকিম হবে না।

(ঘ) অনুরূপ ভিন্ন ভিন্ন দুই স্থানে ১৫ দিন থাকার নিয়ত করলে মুকিম হবে না বরং মুসাফির থেকে যাবে। যেমন কেউ মক্কা
মোকাররমায় ১০ দিন এবং মিনায় ৫ দিন থাকার নিয়ত করল, এতে সে মুকিম হবে না বরং মুসাফিরই থেকে যাবে।

সুতরাং যে হাজিরা মক্কায় এমন সময় পৌঁছেন যে ৮ জিলহজ (হজের প্রথম দিন) পর্যন্ত ১৫ দিন হয় না, তারা যদি মক্কায় ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশি দিন একামাতের (অবস্থান) নিয়ত করেন তাহলে সে নিয়ত ছহিহ হবে না; বরং মুসাফিরই থেকে যাবেন, কারণ তারা ১৫ দিনের মধ্যে মিনা-আরাফাতে অবশ্যই যাবেন, যেতে হবে। তাই এ অবস্থায় তাদের মুকিম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন ব্যক্তিদের মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় কসর করতে হবে।
কসরের মাসআলা

মুসাফির সফর অবস্থায় কোনো মুকিম (স্থানীয়) ইমামের পেছনে নামাজের নিয়ত না করলে, তার জন্য চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়া জরুরি। এটাকে কসরের নামাজ বলে।

মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী পড়লে বা তার মতো মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে, নামাজ কসর করা জরুরি। এক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ পড়া ঠিক নয়।

মুসাফির ব্যক্তি স্থানীয় ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে। (আল মাবসুত, সারাখসি ১/২৪৩)।

আর মাগরিব, বিতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে। এগুলোর কসর নেই। তেমনিভাবে সুন্নত নামাজেরও কসর হয় না। তাই সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জরিপে সতর্কবার্তা: বিভাজনের পথে এগোচ্ছে তাইওয়ান প্রশাসন

SBN

SBN

হজের সফরে নামাজের বিধান

আপডেট সময় ০৯:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

হজের সফরে কখন? কোথায়? কত রাকাত নামাজ পড়তে হয় ইত্যাদি নিয়ে অনেকে সংশয়ে পড়ে যান।

এমনকি মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের মাঠেও এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই আগে সফর সম্পর্কিত কিছু মাসআলা জানা দরকার-

(ক) আটচল্লিশ (৪৮) মাইল দূরত্বগামী যাত্রীকে শরিয়তে মুসাফির বলা হয়।
(খ) নিজের এলাকা অতিক্রম করা মাত্রই মুসাফির হয়ে যাবেন এবং মুসাফিরের বিধান মতো চলতে হবে।

(গ) মুসাফির হয়ে কোথাও গিয়ে ১৫ দিন বা তার ঊর্ধ্বে অবস্থানের নিয়ত করলে ‘মুকিম’ হয়ে যাবেন, এর কমে মুকিম হবে না।

(ঘ) অনুরূপ ভিন্ন ভিন্ন দুই স্থানে ১৫ দিন থাকার নিয়ত করলে মুকিম হবে না বরং মুসাফির থেকে যাবে। যেমন কেউ মক্কা
মোকাররমায় ১০ দিন এবং মিনায় ৫ দিন থাকার নিয়ত করল, এতে সে মুকিম হবে না বরং মুসাফিরই থেকে যাবে।

সুতরাং যে হাজিরা মক্কায় এমন সময় পৌঁছেন যে ৮ জিলহজ (হজের প্রথম দিন) পর্যন্ত ১৫ দিন হয় না, তারা যদি মক্কায় ১৫ দিন বা এর চেয়ে বেশি দিন একামাতের (অবস্থান) নিয়ত করেন তাহলে সে নিয়ত ছহিহ হবে না; বরং মুসাফিরই থেকে যাবেন, কারণ তারা ১৫ দিনের মধ্যে মিনা-আরাফাতে অবশ্যই যাবেন, যেতে হবে। তাই এ অবস্থায় তাদের মুকিম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন ব্যক্তিদের মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় কসর করতে হবে।
কসরের মাসআলা

মুসাফির সফর অবস্থায় কোনো মুকিম (স্থানীয়) ইমামের পেছনে নামাজের নিয়ত না করলে, তার জন্য চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়া জরুরি। এটাকে কসরের নামাজ বলে।

মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী পড়লে বা তার মতো মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে, নামাজ কসর করা জরুরি। এক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ পড়া ঠিক নয়।

মুসাফির ব্যক্তি স্থানীয় ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে। (আল মাবসুত, সারাখসি ১/২৪৩)।

আর মাগরিব, বিতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে। এগুলোর কসর নেই। তেমনিভাবে সুন্নত নামাজেরও কসর হয় না। তাই সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বে।