হাঙ্গেরির গণমাধ্যমে স্বাক্ষরযুক্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন সি চিন পিং। হাঙ্গেরিতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের রাষ্ট্রীয় সফর উপলক্ষ্যে ৮ মে হাঙ্গেরির জাতীয় সংবাদপত্রে ‘গোল্ডেন চ্যানেলে চীন-হাঙ্গেরি সম্পর্ককে নেতৃত্ব দিতে যৌথভাবে কাজ’ শিরোনামে একটি স্বাক্ষরযুক্ত নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রবন্ধে জনাব সি বলেছেন, চীন ও হাঙ্গেরির মধ্যে হাজার হাজার মাইল দূরত্ব থাকলেও দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ বছর চীন ও হাঙ্গেরি কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরে চীন ও হাঙ্গেরি আন্তরিক আচরণ করেছে, ভালো বন্ধু, জয়-জয় সহযোগিতায় ভাল অংশীদার এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখেছে।
উভয় পক্ষই পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে পারস্পরিক কল্যাণ ও জয়-জয় নীতি মেনে চলে নিরন্তর পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে ভয় না পেয়ে সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র বৈদেশিক বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় চালিয়েছে। দুই পক্ষ উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা স্থাপন করেছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইতিহাসের সেরা পর্যায়ে উঠেছে।
প্রবন্ধে জনাব সি আরো বলেন, বর্তমানে, চীন ও হাঙ্গেরি উভয়ই তাদের নিজ নিজ উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি, এ সফরের মাধ্যমে হাঙ্গেরির সাথে আমাদের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব বজায় থাকবে, পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা আরও গভীর হবে এবং চীন-হাঙ্গেরির ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উঠবে।
দু’দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব লালন করা এবং এগিয়ে নেওয়া উচিত, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি সুসংহত করা উচিত এবং একে অপরের মূল স্বার্থকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করা উচিত। উন্নয়ন কৌশলগুলির সংযোগ শক্তিশালী করা, বাস্তবসম্মত সহযোগিতার নতুন হাইলাইট তৈরি করা এবং একে অপরের উচ্চ-মানের উন্নয়ন পরিবেশন করা উচিত বলেও প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।
প্রবন্ধে আরো লেখা হয় যে, চীন ও হাঙ্গেরির সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জনমতের ভিত্তি মজবুত করা উচিৎ। নতুন যুগ এবং নতুন যাত্রায় চীন হাঙ্গেরিয়ান বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্বের নতুন গল্প লেখা, সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় আঁকা এবং যৌথভাবে দু’দেশের জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যত প্রত্যাশা করে চীন।
সূত্র: লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।