
মো: নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার
ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের ভিড়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও কলাতলী সমুদ্র সৈকত এবং ফয়েজ লেক চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা সাতজন শিশু তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতায় তারা সবাই নিরাপদে উদ্ধার হয়ে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যায়।
ফয়েজ লেক চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে পথ হারায় আফরোজা আক্তার (৮)। খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা দ্রুত খোঁজখুঁজি চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করেন।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে এসে হারিয়ে যায় শিশু মোঃ মাহিম (৬), পিতা মোহাম্মদ আমিনুল হক, মাতা মোছাঃ পারভীন আক্তার, সাং- মধ্যম ইলিশা, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম। খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের পতেঙ্গা জোনের ডিউটিরত অফিসার ও ফোর্স দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বীচ পয়েন্ট এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার পূর্বক জিডি মূলে তার মায়ের নিকট হস্তান্তর করেন।
একই স্থানে আরও তিন শিশু— মারিয়া আক্তার (৭), মাহমুদুল হাসান (৭) ও আনাস (৪)— হারিয়ে গেলে তাদেরকেও খুঁজে পেয়ে পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরিয়ে দেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এছাড়া পতেঙ্গা সৈকতে পরিবারসহ ঘুরতে আসা শিশু আলিফা (৬), পিতা মোহাম্মদ হাসান, সাং- পরীপাশা, থানা- বাউফল, জেলা- পটুয়াখালী হারিয়ে গেলে ট্যুরিস্ট পুলিশ দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পিতার কাছে হস্তান্তর করে।
এদিকে ১০ জুন ২০২৫ তারিখ ১৫.২০ ঘটিকায় কক্সবাজারের কলাতলী বীচ এলাকায় ডিউটিরত ট্যুরিস্ট পুলিশ আরেক হারানো শিশুকে উদ্ধার করেন। তৈয়বা নুসাইবা মায়রা (৫), পিতা মোঃ নাসির উদ্দীন, মাতা তানজিলা ইসলাম, সাং- ১ নং মিরপুর, দারুসসালাম, ঢাকা নামের শিশুটি তার পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে পুলিশ তাৎক্ষণিক তল্লাশি চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং পিতা মোঃ নাসির উদ্দীনের নিকট হস্তান্তর করেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এসব মানবিক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগে অভিভাবকরা সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, “হারিয়ে যাওয়া সন্তানের জন্য যে আতঙ্ক তৈরি হয়, তা দ্রুত কেটে গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে। আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।”
ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটন এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত টহল, নজরদারি এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের প্রতি অধিক সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদেরও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।