মোঃ সোহেল আমান
রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হার্ট ফাউন্ডেশন চক্ষু হাসপাতাল পাশে আবাসিক এলাকায় কসাইখানা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মানববন্ধনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালিগ্রাম এলাকায় কসাইখানা নির্মাণ না করে অন্য জায়গায় নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বালিগ্রাম এলাকায় রয়েছে জেলা চক্ষু হাসপাতাল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশন। তার পাশেই নবাবগঞ্জ জেলা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় ও সোনারমোড় বালিগ্রাম তালিমুল কোরআন নূরানী মাদরাসা। দুটি হাসপাতাল ও দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে আবাসিক এলাকায় কসাইখানা নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা। রোগী, স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে এখানে কসাইখানা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আগের দুইজন মেয়রকে এলাকাবাসী অভিযোগ দিলে তারা তা আমলে নিয়ে এই এখানে কসাইখানা না করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এরপরেও অন্য জায়গায় কসাইখানা নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বরং সেখানেই তা করা হচ্ছে। দাবি আদায় না হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে। অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। তবুও যদি দাবি আদায় না হয়, তাহলে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে।
বক্তারা দাবি করেন, পৌর কর্তৃপক্ষ যে কসাইখানা নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে, এতে চরম দুর্ভোগে পড়বে স্থানীয় বাসিন্দা, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এবং দুটি হাসপাতালের রোগীরা। এছাড়াও আশেপাশের পরিবেশ দূষিত হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে স্থানীয়রা। আমরা এই প্রকল্পের বিরোধীতা করছি না। আমরা চাই, আবাসিক এলাকা বাদ দিয়ে অন্য জায়গায় তা নির্মাণ করা হোক।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ০৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মিঠুন, বাংলাদেশ অন্ধ কল্যাণ সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ইমরান জাভেদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আয়াতনুর ইসলাম, নবাবগঞ্জ জেলা আর্দশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূর নাহার খাতুন। মানববন্ধনে বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থী শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয়রা অংশগ্রহণ করেন।