ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা Logo দেশব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি অভিযানে সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা Logo তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের এক বছরেও মিলেনি প্রকল্পের তথ্য Logo কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo বুড়িচ ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলা ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন Logo সরাইলে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল Logo কিশোরগঞ্জে অপারেশন থিয়েটারে২ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ Logo পবায় ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo ভালুকায় শিশুর গলায় দা ঠেকিয়ে ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট Logo বাংলাদেশি সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

১০ বছর ধরে সেতুর সংযোগ হয়নি, ভোগান্তিতে দুই গ্রামের মানুষ

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রায় ১০ বছর আগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর বিএডিসির ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় একটি কেটেল ক্রসিং (সেতু) নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেতুতে সুফল পাচ্ছেন না শুশুন্ডা ও নয়াকান্দি গ্রামের মানুষ।

জানা যায়, উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা গ্রামের সঙ্গে শুশুন্ডা নয়াকান্দি গ্রামের সংযোগ করতে দুই গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের উপরে সেতুটি নির্মাণ করে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। সেতুর দুই পাশে রয়েছে প্রচুর ফসলি জমি। ব্যক্তিগত স্বার্থে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্মাণের পর থেকে সেতুর দুই পাশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে নয়াকান্দি গ্রামের কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

শুশুন্ডা নয়াকান্দি গ্রামের কবির হাজী বলেন, দুই গ্রামের মানুষের চলাচল, জমি থেকে ফসল ও কৃষি যন্ত্রপাতি আনা নেয়ার জন্যই এই সেতুটি নির্মাণ করে দিয়েছিলো বিএডিসি। সেই সময় আমাদের গ্রামের কামাল সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের খুব কাছের লোক হওয়ায় সে তার জমির মাঝামাঝি সেতুটি নির্মাণ করান। তখন আমি সহ গ্রামের সবাই বাধা দিলেও কোন কাজ হয়নি। নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা নানা উপায়ে সেতুর দুই পাশে মাটি ফেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কামাল তা হতে দিচ্ছে না, তার দাবি সেতুটি নাকি সরকার একক ভাবে তাকে ব্যবহার করতে দিয়েছে। ১০ বছর আগে সেতু পেয়েও আমাদের দুই গ্রামের মানুষের সেই সাঁকোতেই ভরসা করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বহুবার মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে গেলেও কোন সমাধান পাইনি এখনো।

অভিযুক্ত কামাল উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সেতুটি নির্মাণ করার সময় বাজেট সংকট ছিলো। তাই ঠিকাদার দুই পাশের মাটি দেননি। আর কেউ যদি মাটি ফেলে এটার উপর দিয়ে চলাচল করেন, তাতে আমার কোন বাধা নেই।

এ বিষয়ে ঠিকাদার আলীর সাথে মুঠোফোনে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মুরাদনগর উপজেলা বিএডিসি কর্মকর্তা মোঃ কাউছার আল মামুন বলেন, কেউ যদি নিজস্ব স্বার্থে সেতু ব্যবহার করতে না দেয় তাহলে অবশ্যই সেটি অপরাধ। সেতু জনসাধারণের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয়। বিষয়টি আমার পুরোপুরি জানা নেই, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দীন ভূঞা জনী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, ভুক্তভোগি কেউ একজন লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

SBN

SBN

১০ বছর ধরে সেতুর সংযোগ হয়নি, ভোগান্তিতে দুই গ্রামের মানুষ

আপডেট সময় ০৮:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রায় ১০ বছর আগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর বিএডিসির ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় একটি কেটেল ক্রসিং (সেতু) নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেতুতে সুফল পাচ্ছেন না শুশুন্ডা ও নয়াকান্দি গ্রামের মানুষ।

জানা যায়, উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা গ্রামের সঙ্গে শুশুন্ডা নয়াকান্দি গ্রামের সংযোগ করতে দুই গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের উপরে সেতুটি নির্মাণ করে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। সেতুর দুই পাশে রয়েছে প্রচুর ফসলি জমি। ব্যক্তিগত স্বার্থে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্মাণের পর থেকে সেতুর দুই পাশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে নয়াকান্দি গ্রামের কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

শুশুন্ডা নয়াকান্দি গ্রামের কবির হাজী বলেন, দুই গ্রামের মানুষের চলাচল, জমি থেকে ফসল ও কৃষি যন্ত্রপাতি আনা নেয়ার জন্যই এই সেতুটি নির্মাণ করে দিয়েছিলো বিএডিসি। সেই সময় আমাদের গ্রামের কামাল সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের খুব কাছের লোক হওয়ায় সে তার জমির মাঝামাঝি সেতুটি নির্মাণ করান। তখন আমি সহ গ্রামের সবাই বাধা দিলেও কোন কাজ হয়নি। নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা নানা উপায়ে সেতুর দুই পাশে মাটি ফেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কামাল তা হতে দিচ্ছে না, তার দাবি সেতুটি নাকি সরকার একক ভাবে তাকে ব্যবহার করতে দিয়েছে। ১০ বছর আগে সেতু পেয়েও আমাদের দুই গ্রামের মানুষের সেই সাঁকোতেই ভরসা করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বহুবার মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে গেলেও কোন সমাধান পাইনি এখনো।

অভিযুক্ত কামাল উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সেতুটি নির্মাণ করার সময় বাজেট সংকট ছিলো। তাই ঠিকাদার দুই পাশের মাটি দেননি। আর কেউ যদি মাটি ফেলে এটার উপর দিয়ে চলাচল করেন, তাতে আমার কোন বাধা নেই।

এ বিষয়ে ঠিকাদার আলীর সাথে মুঠোফোনে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মুরাদনগর উপজেলা বিএডিসি কর্মকর্তা মোঃ কাউছার আল মামুন বলেন, কেউ যদি নিজস্ব স্বার্থে সেতু ব্যবহার করতে না দেয় তাহলে অবশ্যই সেটি অপরাধ। সেতু জনসাধারণের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয়। বিষয়টি আমার পুরোপুরি জানা নেই, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দীন ভূঞা জনী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, ভুক্তভোগি কেউ একজন লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।