
মোঃ কামরুজ্জামান সেন্টুঃ
৫৬ বছরে অনেক দল ক্ষমতায় এসেছে। তারা কে কি করেছে দেশের জনগণ দেখেছে। সবার আমলনামা-ই আপনাদের জানা। দেশের সরকার ক্ষমতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যে ক’জন মন্ত্রী – এমপি ইতোপূর্বে দায়িত্বে ছিলো তাদের কোন দূর্নীতি, অনিয়ম জনগণ দেখেনি। এতেই বুঝা যায় তারা কতোটা স্বচ্ছ ভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। জামায়াতে ইসলামীকে এক বার রাষ্ট্র ক্ষমতার সুযোগ দিয়ে দেখেন দেশের কতোটা পরিবর্তন করা সম্ভব হয়। আমরা মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, এমনকি মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ করে দিবো ইনশাল্লাহ।
মানুষ যেন দেখে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগের প্রথা আর নেই। আমরা জাতিকে নতুন স্বপ্ন দেখাবো, যেখানে মিথ্যাচার, লুটপাট, অত্যাচার ও দখলের রাজনীতি থাকবে না। এক মহান বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা আমাদের ঘরে ঘরে, দলের অফিসে অফিসে একটি পজেটিভ সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে চাই।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নিজমেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত কারো উপর কোন মত চাপিয়ে দিবে না। এদেশে নারীদের সম্পূর্ণ অধিকার দেয়া হবে। অমুসলিমরা নিরাপদ ভাবে তাদের সম্পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।
তিনি শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলেন, ইতিহাস পুনরাবৃত্তি ঘটে, ইতিহাস কোন জালেম কে ক্ষমা করে না, ফ্যাসিবাদ ফিরে আসে না। আমরা পদত্যাগ চেয়েছি আর আল্লাহ দেশ ত্যাগ করিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি- জামায়াত ইসলামীকে রাজাকার বলে অপবাদ দিচ্ছে। তাহলে বিশ বছরতো একসাথে মিছিল মিটিং করেছেন, আপনারাওতো তার ভাগিদার। আসুন সমালোচনা, পর্যালোচনা, মিথ্যাচারের প্রথা রাজনীতি থেকে পরিহার করি। আমাদের নিজেদের দলগুলোর ভেতরে যদি কোন সংস্কারের প্রয়োজন হয়, আমরা সেখানে ও সংস্কার করবো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও নজরুল ইসলাম সম্প্রতি বলেছেন জামায়াতের সাথে দুরত্ব নাই। তারা জাতীয় ঐক্য চান। ওনারা যে ঐক্যের কথা বলেছেন সেটাই সঠিক কথা। বিএনপি, ইসলামি মতাদর্শ, ডান, বাম, স্যেকুলার সবার সাথে আমরা সু-সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছি। আসুন দেশ গঠনে আমরা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি। সমালোচনা, পর্যালোচনা, মিথ্যাচারের রাজনীতি পরিহার করি। এছাড়া বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতির চেয়ে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন কে আমরা ভালো মনে করছি জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের ৬০ থেকে ৯০ টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু রয়েছে। এখানে প্রত্যেকটি মানুষের মতকে বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে বড় দল ও জনপ্রিয় এবং বুদ্ধিভিত্তিক ব্যক্তিরা সরকারে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াত আমীর মু. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও পৌর জামায়াত আমীর মাওঃ জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোঃ মোবারক হোসেন, কুমিল্লা মহানগর জামায়াত আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, চাঁদপুর জেলা আমীর মাও. বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সাবেক আমীর মাও. আব্দুর রহিম পাটোয়ারী, নায়েবে আমীর অ্যাড. মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারী অ্যাড. শাহজাহান মিয়া, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক মাওঃ আবুল হোসাইন প্রমুখ।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, হারুনুর রশিদ ওসমানী, জেলা শূরা সদস্য মাওঃ মীর হোসাইন, চাঁদপুর শহর আমীর অ্যাড. শাহজাহান খান, চাঁদপুর জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওঃ খলিলুর রহমান, নায়েবে আমীর বাদশা ফয়সাল, সেক্রেটারি মাওঃ মাঈনুদ্দিন, পৌর সেক্রেটারি প্রভাষক মাওঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মাওঃ মনজুর হোসেন, কুমিল্লা মহানগর শাখার শূরা সদস্য খোরশেদ আলম মজুমদার, চাঁদপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি কাউছার আলম, উপজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি প্রভাষক মাওঃ আমিনুল ইসলাম, পৌর সভাপতি মাওঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি সেফায়েত উল্লাহ ফিরোজ, পৌর সভাপতি জিহাদুল ইসলাম শামীম প্রমুখ।