রফিকুল ইসলাম রফিক, গাইবান্ধা
দেশের ১২৫টি উপজেলায় এরই মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। এর ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় ধাপে ১৮৬টি উপজেলায় নির্মাণ করা হবে এই স্টেডিয়াম। দ্বিতীয় পর্যায়ে স্টেডিয়ামের জন্য বেছে নেওয়া এই ১৮৬টি উপজেলা বাছাই করা হয়েছে ৫৭টি জেলা থেকে।
স্টেডিয়াম নির্মাণ বাস্তবায়ন করতে ‘উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৮শ ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান পরিচালনাসহ খেলোয়াড়দের অনুশীলন করার জন্য অবকাঠামো সুবিধা বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এরই মধ্যে প্রকল্পটির ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ ছাড় সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় ২০৮ কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ছাড় করা হয়েছে।
জাতীয় জীবনে শৃঙ্খলা, সুস্বাস্থ্য, নেতৃত্ব ও চরিত্র গঠনে খেলাধুলার অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে ক্রীড়া কার্যক্রমে আগ্রহী করে প্রাণচাঞ্চল্য ও চিত্ত-বিনোদনের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতেও খেলাধুলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সে কারণেই বতর্মান উন্নয়নমূখি আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি উপজেলায় খেলার মাঠ নির্মাণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়। গাইবান্ধা-৩(পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর)আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. উম্মে কুলছুম ম্মৃতি’র চেষ্টায় গাইবান্ধা জেলার মধ্যে পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রথম শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ ছাড় করা হয়। এর অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ১২৫টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প ২০১৯ সালের ৩০ জুনে শেষ হয়েছে। এবারে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮৬টি উপজেলায় এই মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন, প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেলের ম্যুরাল স্থাপন, প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণ, গ্যালারি, কম্পিউটার সামগ্রী ও আসবাবপত্র কেনাকাটা, আরসিসি সারফেস ড্রেন নির্মাণ এবং গাছ লাগানো।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সহজ হবে। তাছাড়া এসব স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়রা অনুশীলন করতে পারবেন। তাতে করে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়বে। সার্বিকভাবে খেলাধুলার মান উন্নয়নে এই প্রকল্প সহায়ক হবে।