চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র পলিট ব্যুরোর সদস্য ও কেন্দ্রীয় বৈদেশিক কার্যালয়ের পরিচালক ওয়াং ই এবং ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা ক্লেমেন্ট বিউন, গত (শনিবার) বেইজিংয়ে, ২৬তম চীন-ফ্রান্স কৌশলগত সংলাপে উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে দু’দেশ কৌশলগত দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা উন্নয়নের ব্যাপারে ব্যাপক মতৈক্য পৌঁছায়।
ওয়াং ই সংলাপে বলেন, দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৫০ বছর আগে। চীন ফ্রান্সের সাথে স্বাধীনতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া, দূরদর্শিতা ও পারস্পরিক সুবিধার চীন-ফরাসি চেতনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যাতে দু’দেশের সম্পর্ক সর্বদা চীন-ইইউ সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে এবং বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষের প্রগতিশীল শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দু’দেশের ঐতিহ্যগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে, পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নতুন উপাদান, উচ্চমানের সরঞ্জাম, সবুজ পরিবেশ সুরক্ষা ও বুদ্ধিমান স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন নতুন খাতে সহযোগিতা উন্নত করতে হবে; চীন-ফ্রান্স সাংস্কৃতিক পর্যটন বর্ষের সর্বোচ্চ সুফল অর্জন করতে হবে; দু’দেশের সংস্কৃতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, শিক্ষা, যুবসমাজ খাতে যোগাযোগ জোরদার করতে হবে; এবং দু’দেশকে যৌথভাবে বহুপক্ষবাদ সুরক্ষা করতে হবে।
জবাবে বিউন বলেন, ফ্রান্স চীনের সাথে ঐতিহ্যগত মৈত্রী ও দু’দেশের পারস্পরিক আস্থাকে মূল্যায়ন করে। ফ্রান্স ‘এক-চীননীতি’-তে অবিচল থাকবে। তার দেশ চীনের সাথে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ জোরদার করতে এবং আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিয়োগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, পারমাণিবক শক্তি, মহাকাশ, কৃষি পণ্য ও সবুজ উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ইচ্ছুক। অস্থির আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে ফ্রান্স জোটসংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্বের বিরোধিতা করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সংলাপে দু’দেশ বহুপক্ষীয় সমঝোতা, বিশ্বজুড়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য, টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি, ইউক্রেন সংঘাত, ইরানের পরমাণু সমস্যা এবং মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুও সংলাপে স্থান পায়।
সূত্র: ছাই ইউয়ে মুক্তা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।