
মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়াঃ এটা কোনো পরিত্যক্ত বাড়ি নয়, কিংবা ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া কোনো স্মৃতি নয়। এটা স্বাধিনতা যুদ্বের আগে ভবনটি তৈরী করেন ডাঃ মোঃ রমজানআলী। ৬৫ বছর আগে এই ভবনটি করেন তিনি। দেশ স্বাধিন হওয়ার পর দেওড়া দক্ষিন ইউনিয়ন কাউন্সিল ভবন না থাকায় এই ঘরটি ডাঃ রমজান আলী ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিসের নামে দান করেন। এ অফিসে বর্তমানে ভূমি অফিস ও কাজ করছে। ১৯৯৬ সালে দেওড়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের একাংশ বরুড়া পৌরসভা রুপান্তরিত হওয়ায় পর একাংশ দেওড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে থেকে যায়। পরবর্তীতে গালিমমপুর ইউনিয়ন ভেঙ্গে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠন হলে তখন গালিমপুর ইউনিয়ন এর একটি অংশ ও দেওড়া দঃ ইউনিয়ন এর কয়েকটি গ্রাম মিলে শাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়। বর্তমানে এটা বরুড়া উপজেলার শাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এই জীর্নশীর্ণ এই ঘরটি।
এই ঘর টি নির্মান হয় ৬৫ বছর আগে হলে উদ্যেগ নেন নি কোন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পুনরায় ভবনটি করার জন্য। রমজান আলী চেয়ারম্যান তার মৃত্যুর পর তার ছেলে মনিরুজ্জমান মনির ইউনিয়ন ভবনের জন্য আরো ২৫ শতক সম্পত্তি দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে ও কি কারনে দলিল সম্পাদন হচ্ছেনা তা জানা যায় নি। তার পিতা রমজান আলী ১৩ শতক আগেই দান করে গেছেন ইউনিয়ন কাউন্সিল এর জন্য।
বরুড়া উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন হলে ও এখনো ভবন ঘরে উঠেনি শাকপুর ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিস।
যাহা নিয়ে প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে রাজনীতি চলে, আর কতো বা এই ভাবে চলবে সচেতন ইউনিয়ন বাসী তা জানতে চায়। আগামী ২৯ ডিসেম্বর ২২ ইং শাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়ন নির্বাচন আসলে খালের এপাড় ওপার ভাগ হয় স্হানীয় জনগণ। অফিসটি ইস্যু করে প্রার্থীরা ভোট চায়। নির্বাচিত হওয়ার পর কেহ আর খবর রাখেন না অফিস টির।
মোঃ কেফায়েত উল্লাহ নামে ইউনিয়ের এক বাসিন্দা বলেন নিজেদের ইউনিয়ন পরিষদ পরিচয় দিতেও লজ্জা হয়, এতো এতো ক্ষমতা নিয়ে একটা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন করতে পারে না।
একই নিয়নের আরেক বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা জুয়েল বলেন, লক্ষীপুর গ্রামে অফিস টি হলে ভালো হবে। শুনেছি জায়গা ও তারা দিতে চায়। উদ্যেগ নিলে অফিস টি হয়। কেন উদ্যেগ নেওয়া হয় না জানি না।
সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ রমজান আলীর নাতিন এডভোকেট শাকিলা জামান বলেন, আমরা জায়গা দিতে রাজি আছি। আমার চাচা( মনির কাকা) একাধিক বার বলেছেন অফিস করলে জায়গা দিবেন। কেন অফিস হচ্ছে না তা বোধগম্য নয়।