ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নোয়াখালীতে আনসার ভিডিপি ব্যাংকের কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার Logo খুলনায় আদালতের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে ২ জনকে হত্যা Logo ঝিনাইদহে খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ Logo ঝিনাইদহে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি Logo কুমিল্লায় ৯ দিনব্যাপী মেলায় বইপ্রেমীদের সমাগম Logo খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই : ফখরুল Logo মোংলায় প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ Logo ‎মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে কুটুক্তির অপরাধে বরুড়ায় গ্রেফতার ১ Logo কিশোরগঞ্জে চিকিৎসার অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ Logo চাঁদপুরে পুলিশ সুপারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনেই যাবে না: জিএম কাদের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ফাইল ছবি

সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনেই যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের আদর্শ পরিবেশ আওয়ামী লীগ কখনই তৈরি করতে দেবে না। সেই পরিবেশ তৈরি হলে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনেই যাবে না। যদি আদর্শ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হয়, তাহলে এমনিতেই সরকারের পতন হয়ে যাবে। অর্থনীতির প্রভাব লাগবে না।

দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে জিএম কাদের বলেন, দেশ বাকশালি কায়দায় চলছে। বাকশাল আইনের মাধ্যমে হয়েছিল। সবাইকে বাকশালের সদস্য করা হয়েছিল আইনগতভাবে। এখন আইনি কাঠামো না দিয়ে, নিজস্ব কায়দায় বাকশাল করা হয়েছে। আমি যা শুনেছি, আজকাল সেনাবাহিনীতে পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘তুমি আওয়ামী লীগের লোক কিনা?’ আওয়ামী লীগ না হলে এখন আর ব্যবসা দেওয়া হয় না, চাকরি দেওয়া হয় না। এর বাইরে একটি বিভাজন তৈরি করা হয়েছে, স্বাধীনতার পক্ষে এবং বিপক্ষে। আজকের দিনে যদি মূল্যায়ন করি, তাহলে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো চাইলে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিতে পারে। জাতীয় পার্টি ২০১৩ সালে নির্বাচনীকালীন সরকারে অংশ নিয়েছিল। এবারও অংশ নেবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ১০০ ভাগ কর্তৃত্ব। বর্তমান মন্ত্রিসভা এবং সংসদ সম্পূর্ণ পরিবর্তন হলেও হবে না। জাতীয় পার্টি অংশ নেবে কিনা, তা প্রস্তাব পাওয়ার পর ভাববে। দলে কিছু লোক আছেন তো, যারা মন্ত্রী হতে চান। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ গেলে, তাঁকে বহিষ্কার করা হবে।’

রওশন এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনে পৃথক প্রার্থী দিয়েছিলেন। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিতে যে অস্থিরতা তৈরি হয়, এটি কি তারই ইঙ্গিত?- এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, রওশন এরশাদ শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। কিছুই নিজে করতে পারেন না। তিনি আমাকে বারবার বলেছেন, ‘দল ভাঙব না’। তার পরও রওশন এরশাদকে দিয়ে নানা চিঠিপত্র সই করাচ্ছে কিছু লোক। আমাদের সন্দেহ, এটা সরকার করাচ্ছে। সরকার জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করে রাখতে চায়। যেন বিরোধিতা করতে না পারি। আসলে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশে আর কোনো দল থাকবে না। বিএনপিকে শেষ করবে। জাতীয় পার্টিকেও শেষ করবে। অনেকটা বাকশাল প্যাটার্ন।

গত জানুয়ারিতে রওশন এরশাদ এবং আপনার মধ্যে সরকারি মধ্যস্থায় সমঝোতা হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, আমি নিজেই সমঝোতা করেছিলাম। ওরা (সরকারি সংস্থা) বলল, ‘স্যার আমরা নিয়ে যাই’। ওরা কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল। কিছু লোক পয়সার লোভে, মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য রওশন এরশাদকে দিয়ে বিভেদ তৈরি করছে। কিছুটা সরকার মদদ দিচ্ছে। এই সরকার সুযোগ পেলে কোনো দল রাখবে না। ইতোমধ্যে অনেক দলকে হজম করে ফেলেছে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি টিকে আছে। জাতীয় পার্টি দুর্বল, তাই আগে শেষ করতে চেষ্টা করবে। তারপর বিএনপিকে শেষ করার চেষ্টা করবে। শেষ পর্যন্ত এক দল এবং এক নেতা থাকবে। তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন।

আপলোডকারীর তথ্য

নোয়াখালীতে আনসার ভিডিপি ব্যাংকের কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার

SBN

SBN

সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনেই যাবে না: জিএম কাদের

আপডেট সময় ০২:০১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনেই যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের আদর্শ পরিবেশ আওয়ামী লীগ কখনই তৈরি করতে দেবে না। সেই পরিবেশ তৈরি হলে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনেই যাবে না। যদি আদর্শ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হয়, তাহলে এমনিতেই সরকারের পতন হয়ে যাবে। অর্থনীতির প্রভাব লাগবে না।

দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে জিএম কাদের বলেন, দেশ বাকশালি কায়দায় চলছে। বাকশাল আইনের মাধ্যমে হয়েছিল। সবাইকে বাকশালের সদস্য করা হয়েছিল আইনগতভাবে। এখন আইনি কাঠামো না দিয়ে, নিজস্ব কায়দায় বাকশাল করা হয়েছে। আমি যা শুনেছি, আজকাল সেনাবাহিনীতে পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘তুমি আওয়ামী লীগের লোক কিনা?’ আওয়ামী লীগ না হলে এখন আর ব্যবসা দেওয়া হয় না, চাকরি দেওয়া হয় না। এর বাইরে একটি বিভাজন তৈরি করা হয়েছে, স্বাধীনতার পক্ষে এবং বিপক্ষে। আজকের দিনে যদি মূল্যায়ন করি, তাহলে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো চাইলে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিতে পারে। জাতীয় পার্টি ২০১৩ সালে নির্বাচনীকালীন সরকারে অংশ নিয়েছিল। এবারও অংশ নেবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ১০০ ভাগ কর্তৃত্ব। বর্তমান মন্ত্রিসভা এবং সংসদ সম্পূর্ণ পরিবর্তন হলেও হবে না। জাতীয় পার্টি অংশ নেবে কিনা, তা প্রস্তাব পাওয়ার পর ভাববে। দলে কিছু লোক আছেন তো, যারা মন্ত্রী হতে চান। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ গেলে, তাঁকে বহিষ্কার করা হবে।’

রওশন এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনে পৃথক প্রার্থী দিয়েছিলেন। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিতে যে অস্থিরতা তৈরি হয়, এটি কি তারই ইঙ্গিত?- এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, রওশন এরশাদ শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। কিছুই নিজে করতে পারেন না। তিনি আমাকে বারবার বলেছেন, ‘দল ভাঙব না’। তার পরও রওশন এরশাদকে দিয়ে নানা চিঠিপত্র সই করাচ্ছে কিছু লোক। আমাদের সন্দেহ, এটা সরকার করাচ্ছে। সরকার জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করে রাখতে চায়। যেন বিরোধিতা করতে না পারি। আসলে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশে আর কোনো দল থাকবে না। বিএনপিকে শেষ করবে। জাতীয় পার্টিকেও শেষ করবে। অনেকটা বাকশাল প্যাটার্ন।

গত জানুয়ারিতে রওশন এরশাদ এবং আপনার মধ্যে সরকারি মধ্যস্থায় সমঝোতা হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, আমি নিজেই সমঝোতা করেছিলাম। ওরা (সরকারি সংস্থা) বলল, ‘স্যার আমরা নিয়ে যাই’। ওরা কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল। কিছু লোক পয়সার লোভে, মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য রওশন এরশাদকে দিয়ে বিভেদ তৈরি করছে। কিছুটা সরকার মদদ দিচ্ছে। এই সরকার সুযোগ পেলে কোনো দল রাখবে না। ইতোমধ্যে অনেক দলকে হজম করে ফেলেছে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি টিকে আছে। জাতীয় পার্টি দুর্বল, তাই আগে শেষ করতে চেষ্টা করবে। তারপর বিএনপিকে শেষ করার চেষ্টা করবে। শেষ পর্যন্ত এক দল এবং এক নেতা থাকবে। তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন।