ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo স্যান্ড্রা ফুডের ব্র্যাড অ্যাম্বাসেডর হলেন সূচনা Logo রূপসায় ওয়ার্ড কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা Logo লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার, হাতীবান্ধায় আটক-২ Logo রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় দ্বিতীয় দিনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo আমাদের উচিৎ বন্ধুত্ব লালন করা : যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সি চিন পিং Logo চীনের অভূতপূর্ব সাফল্য বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে :‘ওয়াকিং ইন চায়না’ ইভেন্ট Logo সিএমজি রাশিয়া-চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতু তৈরি করেছে Logo মস্কোর ক্রেমলিনে সি-পুতিন বৈঠক Logo মায়ানমারে পাচারকালে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ৬ পাচারকারী আটক Logo পলাশবাড়ী এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নড়াইলে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতুতে দুর্ভোগে স্থানীয়রা

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়ার শালনগর ইউনিয়নের বাতাসী ফুলবাড়িয়া গ্রামের সেতুটি পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে শতশত মানুষসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি দীর্ঘ এক বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা এই সেতু পার হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, এক বছর আগে একটি ট্রলি চলতে গিয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি। এরপর স্থানীয় লোকেরা কয়েকটি কাঠের তক্তা দিয়ে পারাপার করছেন। এছাড়া সেতুটিতে ঝুঁকি রয়েছে জেনেও মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে বাধ্য হয়েই চলছে পারাপার।

স্থানীয় কৃষক রুপাই সিকদার দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, আমি কৃষি কাজ করি, ফসল নিয়ে বাড়ি যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। গাড়ি চলাচল করতে পারে না। আমরা খুব সমস্যায় আছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি যাতে দ্রুত সেতুটি করে দেওয়া হয়।

মাদরাসা শিক্ষক খান হুসাইন আহমেদ দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, আমার এখান দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। আমিসহ এই এলাকার মানুষ অনেক ভোগান্তিতে রয়েছে। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি করছি সেতুটি যাতে দ্রুত করে দেওয়া হয়।

মো. সিরাজুল ইসলাম নামে আরও একজন দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকাকে বলেন, আমাদের এই সেতুটির জন্য প্রায় এক বছর ভুগতেছি। চলাচলের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। হেঁটে যেতেও খুব কষ্ট হয়৷ মাঠের ফসল বাড়িতে নেওয়াতে সমস্যা হবে।

ইউনিয়ন পরিষদকে জানানো হলেও কোনো গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লাবু মিয়া দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, প্রায় এক বছর আগে সেতুটি ভেঙে যায়। কাঠের তক্তা দিয়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পারাপার করা হচ্ছে। লোহাগড়া এলজিইডি অফিস থেকে সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে এলজিইডি লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ মো.জসীম দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের এই অর্থবছর শেষ হওয়ায় সেতুটির জন্য ফান্ড পাওয়া যায়নি। প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, আশা করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বাস্তবায়ন হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্যান্ড্রা ফুডের ব্র্যাড অ্যাম্বাসেডর হলেন সূচনা

SBN

SBN

নড়াইলে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতুতে দুর্ভোগে স্থানীয়রা

আপডেট সময় ০৬:০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়ার শালনগর ইউনিয়নের বাতাসী ফুলবাড়িয়া গ্রামের সেতুটি পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে শতশত মানুষসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি দীর্ঘ এক বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা এই সেতু পার হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, এক বছর আগে একটি ট্রলি চলতে গিয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি। এরপর স্থানীয় লোকেরা কয়েকটি কাঠের তক্তা দিয়ে পারাপার করছেন। এছাড়া সেতুটিতে ঝুঁকি রয়েছে জেনেও মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে বাধ্য হয়েই চলছে পারাপার।

স্থানীয় কৃষক রুপাই সিকদার দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, আমি কৃষি কাজ করি, ফসল নিয়ে বাড়ি যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। গাড়ি চলাচল করতে পারে না। আমরা খুব সমস্যায় আছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি যাতে দ্রুত সেতুটি করে দেওয়া হয়।

মাদরাসা শিক্ষক খান হুসাইন আহমেদ দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, আমার এখান দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। আমিসহ এই এলাকার মানুষ অনেক ভোগান্তিতে রয়েছে। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি করছি সেতুটি যাতে দ্রুত করে দেওয়া হয়।

মো. সিরাজুল ইসলাম নামে আরও একজন দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকাকে বলেন, আমাদের এই সেতুটির জন্য প্রায় এক বছর ভুগতেছি। চলাচলের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। হেঁটে যেতেও খুব কষ্ট হয়৷ মাঠের ফসল বাড়িতে নেওয়াতে সমস্যা হবে।

ইউনিয়ন পরিষদকে জানানো হলেও কোনো গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লাবু মিয়া দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, প্রায় এক বছর আগে সেতুটি ভেঙে যায়। কাঠের তক্তা দিয়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পারাপার করা হচ্ছে। লোহাগড়া এলজিইডি অফিস থেকে সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে এলজিইডি লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ মো.জসীম দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের এই অর্থবছর শেষ হওয়ায় সেতুটির জন্য ফান্ড পাওয়া যায়নি। প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, আশা করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বাস্তবায়ন হবে।