ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাণীশংকৈলে মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে মাছ চাষ; হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার প্রায় ৩ হাজার পুকুরে বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। অধিকাংশ পুকুর গুলোতে প্রভাবশালীরা ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ পুকুরে মুরগির বিষ্ঠা (লিটার) দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এসব মাছ খেয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মুরগীর নোংরা ময়লা, লিটার বা বিষ্ঠা কিভাবে মাছের খাদ্য হয় তা মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।

এ অঞ্চলে মুরগির বিষ্ঠা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহার না করে সরাসরি খামার থেকে নিয়ে পুকুরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে, পুকুরের পানি দূষিত হওয়া সহ দূর্গন্ধ ছড়িয়ে এলাকার পরিবেশ মারাত্নক ভাবে নষ্ট হচ্ছে।

অপর দিকে রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে যত্রতত্র মাছ চাষীরা মুরগীর লিটার বস্তায় করে রেখে দিয়ে মাছ চাষে ব্যবহারের জন্যে স্তুপ করে রাখছে। বাতাস দূষিত হয়ে পুকুর পাড়ের/স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নানা রোগ বালাই ছড়াচ্ছে। এসব প্রভাবশালী মাছ চাষীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, নেকমরদ —কাতিহার মহাসড়ক, নেকমরদ—চেকপোস্ট সড়ক, চামারদিঘি সড়কসহ গ্রামগঞ্জের প্রায় অধিকাংশ পুকুরে ব্যাপক ভাবে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার করা হচ্ছে। মুরগির লিটার ব্যবহারের ফলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র— ছাত্রী সহ দুর্গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে প্রভাবশালী মৎস্য চাষীরা তাদের কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

এলাকার শিক্ষক ইয়াসিন আলী, নাজিম ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মুনতাসির আল মামুন, জয়নাল আবেদীন জানান, মুরগীর বিষ্ঠা দিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করে অসাধু মাছ চাষীরা দ্রুত মাছকে বড় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। এসব মাছ নিরাপদ নয় ও স্বাস্থ্য সম্মত নয় বলে তারা জানান। প্রশাসন এ বিষয়ে জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, শুনেছি মৎস্যচাষীরা মুরগির বিষ্ঠা ও বর্জ্য পদার্থ ব্যবহার করছে। বিভিন্ন সেমিনারে আমি নিজে মৎস্য চাষীদের এসব না ব্যবহার করার জন্যে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করেছি। তবুও তারা থামছে না। আইনি জটিলতার কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছিনা।

এসব প্রভাবশালী মাছ চাষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে মাছ চাষ; হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

আপডেট সময় ১১:০০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার প্রায় ৩ হাজার পুকুরে বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। অধিকাংশ পুকুর গুলোতে প্রভাবশালীরা ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ পুকুরে মুরগির বিষ্ঠা (লিটার) দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এসব মাছ খেয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মুরগীর নোংরা ময়লা, লিটার বা বিষ্ঠা কিভাবে মাছের খাদ্য হয় তা মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।

এ অঞ্চলে মুরগির বিষ্ঠা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহার না করে সরাসরি খামার থেকে নিয়ে পুকুরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে, পুকুরের পানি দূষিত হওয়া সহ দূর্গন্ধ ছড়িয়ে এলাকার পরিবেশ মারাত্নক ভাবে নষ্ট হচ্ছে।

অপর দিকে রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে যত্রতত্র মাছ চাষীরা মুরগীর লিটার বস্তায় করে রেখে দিয়ে মাছ চাষে ব্যবহারের জন্যে স্তুপ করে রাখছে। বাতাস দূষিত হয়ে পুকুর পাড়ের/স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নানা রোগ বালাই ছড়াচ্ছে। এসব প্রভাবশালী মাছ চাষীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, নেকমরদ —কাতিহার মহাসড়ক, নেকমরদ—চেকপোস্ট সড়ক, চামারদিঘি সড়কসহ গ্রামগঞ্জের প্রায় অধিকাংশ পুকুরে ব্যাপক ভাবে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার করা হচ্ছে। মুরগির লিটার ব্যবহারের ফলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র— ছাত্রী সহ দুর্গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে প্রভাবশালী মৎস্য চাষীরা তাদের কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

এলাকার শিক্ষক ইয়াসিন আলী, নাজিম ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মুনতাসির আল মামুন, জয়নাল আবেদীন জানান, মুরগীর বিষ্ঠা দিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করে অসাধু মাছ চাষীরা দ্রুত মাছকে বড় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। এসব মাছ নিরাপদ নয় ও স্বাস্থ্য সম্মত নয় বলে তারা জানান। প্রশাসন এ বিষয়ে জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, শুনেছি মৎস্যচাষীরা মুরগির বিষ্ঠা ও বর্জ্য পদার্থ ব্যবহার করছে। বিভিন্ন সেমিনারে আমি নিজে মৎস্য চাষীদের এসব না ব্যবহার করার জন্যে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করেছি। তবুও তারা থামছে না। আইনি জটিলতার কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছিনা।

এসব প্রভাবশালী মাছ চাষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।