ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী Logo খুনিদের বিচার আর দেশের সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না- ডাঃ শফিকুর রহমান Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট Logo দ্রব্যমূল্য সহনীয় রেখে দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করতে হবে- সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম

কাপড় দোকানদার হলেন সাংবাদিক, অতিষ্ঠ জয়দেবপুরবাসী

মোঃ সিরাজুল ইসলাম। পিতার নাম-মোঃ আবুল হোসেন গ্রাম-পিরুজালী (ময়তাপাড়া), পেশায়-ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা। একসময় ফুটপাত থেকে হলেন দোকানদার। অথচ এখন রাতারাতি বনে গেলেন সাংবাদিক। নানা অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে ওঠেন নামধারী এই সাংবাদিক। কখনো সাংবাদিক, কখনো আইনের সহায়ক, আবার কখনোবা রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিংবা ব্যক্তির কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেলে সংবাদ প্রকাশের হুমকিসহ বিভিন্নভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে দাবড়ে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এ প্রান্তর থেকে ও প্রান্তর পর্যন্ত। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জয়দেবপুর উপজেলাবাসী। প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক অপরাধ করে বেড়াচ্ছেন।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের বিভিন্ন রিসোর্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাদাবির অভিযোগ রয়েছে। জয়দেবপুর থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সোর্স হিসেবেও কাজ করেন এই কথিত সাংবাদিক সিরাজ। নিজের কোন পত্রিকা না থাকলেও নামসর্বস্ব একটি ভুইপোড় অনলাইনের কার্ড কোমড়ে ঝুলিয়ে দিব্বি সাংবাদিকতার পরিচয় বহন করে চলেছেন।
টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থানায় জিডি ও মামলার বাদীও হন এই কথিত সাংবাদিক সিরাজ।

উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তার অপ-সাংবাদিকতার কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

এসব ভুয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা না নেয়া হলে সাংবাদিক সমাজ কলঙ্কিত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করলেন সুশীল সমাজ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ভুয়া সাংবাদিক সিরাজের নেই কোন একাডেমিক সনদ। নিউজ সম্পর্কে নেই কোনো ধারণা। এরপরও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করতে থাকেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক উপজেলার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রশাসন এসব ভুয়া ও নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

তার বিরুদ্ধে আরো অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ চলছে। বিস্তারিত আসছে…

অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল

SBN

SBN

কাপড় দোকানদার হলেন সাংবাদিক, অতিষ্ঠ জয়দেবপুরবাসী

আপডেট সময় ০৯:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

মোঃ সিরাজুল ইসলাম। পিতার নাম-মোঃ আবুল হোসেন গ্রাম-পিরুজালী (ময়তাপাড়া), পেশায়-ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা। একসময় ফুটপাত থেকে হলেন দোকানদার। অথচ এখন রাতারাতি বনে গেলেন সাংবাদিক। নানা অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে ওঠেন নামধারী এই সাংবাদিক। কখনো সাংবাদিক, কখনো আইনের সহায়ক, আবার কখনোবা রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিংবা ব্যক্তির কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেলে সংবাদ প্রকাশের হুমকিসহ বিভিন্নভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে দাবড়ে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এ প্রান্তর থেকে ও প্রান্তর পর্যন্ত। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জয়দেবপুর উপজেলাবাসী। প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক অপরাধ করে বেড়াচ্ছেন।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের বিভিন্ন রিসোর্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাদাবির অভিযোগ রয়েছে। জয়দেবপুর থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সোর্স হিসেবেও কাজ করেন এই কথিত সাংবাদিক সিরাজ। নিজের কোন পত্রিকা না থাকলেও নামসর্বস্ব একটি ভুইপোড় অনলাইনের কার্ড কোমড়ে ঝুলিয়ে দিব্বি সাংবাদিকতার পরিচয় বহন করে চলেছেন।
টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থানায় জিডি ও মামলার বাদীও হন এই কথিত সাংবাদিক সিরাজ।

উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তার অপ-সাংবাদিকতার কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

এসব ভুয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা না নেয়া হলে সাংবাদিক সমাজ কলঙ্কিত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করলেন সুশীল সমাজ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ভুয়া সাংবাদিক সিরাজের নেই কোন একাডেমিক সনদ। নিউজ সম্পর্কে নেই কোনো ধারণা। এরপরও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করতে থাকেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক উপজেলার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রশাসন এসব ভুয়া ও নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

তার বিরুদ্ধে আরো অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ চলছে। বিস্তারিত আসছে…