মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে একটি রেস্টুরেন্টের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন দুই যুবক। ঘটনার পরপরই তাঁদের আটক করেছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। পুলিশ বলছে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে লেখা গল্প-কবিতা প্রকাশ না করায় ক্ষোভে তাঁরা এই কাজ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আলোচনায় আসতেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ওই দুই যুবক। তবে ঘটনার পরপরই তাঁদের আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আব্দুল হালিম (২৯) ও হালিম রাজ (৩৪)।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম ককটেল বিস্ফোরণ এবং আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শান্ত রেস্টুরেন্টের সামনে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, হালিম রাজ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে গল্প-কবিতা লেখেন। সেগুলো তিনি দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেও দিতে পারেননি। অবশেষে কিশোর নামে এক ব্যক্তিকে তাঁরা ৩৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু তিনিও হালিম রাজের কোনো গল্প-কবিতা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে পারেননি। এ জন্য আলোচনায় আসতেই হালিম রাজ ও তাঁর বন্ধু আব্দুল হালিম বারুদ দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
ওসি বলেন, ‘এগুলো ককটেল নয়, ভেতরে কোনো স্প্রিন্টার ছিল না। কিছু বারুদ ছিল। দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
ধানমন্ডি থানার ওসি আরও জানান, হালিম রাজের বাড়ি ময়মনসিংহ। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি ছোট থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখেন। তাঁর বন্ধু আব্দুল হালিম ঢাকায় থাকেন। তিনি ইউটিউবার। হালিম রাজ তাঁর কবিতা প্রকাশের জন্য আব্দুল হালিমের কাছে ঢাকায় আসেন। এরপর হালিম রাজ সবকিছু আব্দুল হালিমকে দেখান। তাঁকে কবিতা প্রকাশের জন্য অনুরোধ করেন। এরপর আব্দুল হালিম তাঁর বন্ধু রাজকে আশ্বস্ত করেন যে প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও জানান, পরে গত বছর আব্দুল হালিম এবং হালিম রাজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের সহপাঠী বলে পরিচয় দেওয়া কিশোরের কাছে যান। তাঁদের সঙ্গে কিশোর ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। তাঁরা কিশোরকে ৩৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু এক বছরে রাজের কোনো কবিতা প্রকাশ পায়নি। এতে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ইউটিউবে ঘেঁটে চকলেট বোম বানানো শেখেন এবং ম্যাচের বারুদ দিয়ে পাঁচটি চকলেট বোম বানান। রোববার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে তাঁরা শান্ত রেস্টুরেন্টের সামনে একটি চকলেট বোমা ফাটায়।