ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিজ জেলায় নাগরিক সংবর্ধনা পেলেন মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান Logo কয়রায় ৩২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ Logo রূপগঞ্জে ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ Logo নিকলীর ছেলে হিমেলের ইংলিশ চ্যানেল জয় Logo প্রাথমিকের বৃত্তি পরিক্ষায় অন্তভ্থক্তির দাবীতে শেরপুরে মানববন্ধন Logo প্রাথমিকের বৃত্তি পরিক্ষায় অন্তভ্থক্তির দাবীতে কালীগঞ্জে মানববন্ধন Logo কালীগঞ্জে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে দিন ব্যাপী অ্যাডভান্স ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত Logo সুবর্ণচরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo নাশকতার আশঙ্কায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন Logo রূপসায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

খুলনায় ক্লিনিক মালিকের ভুল চিকিৎসায় স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

নাহিদ জামান, খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলায় ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে অবস্থিত আলোচিত হালিমা ক্লিনিকে আবারও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, ইতিপূর্বে একাধিক রোগী ভুল অপারেশনে মৃত্যুবরণ করেছে এই আলোচিত ক্লিনিকেটিতে।
এবার ফাতেমা খাতুন নামে ১১ বছর বয়সের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে বাদুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আত্মগোপন আত্মগোপন রয়েছে বলে জানা যায়। উক্ত বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। উক্ত বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ওই ছাত্রীর চাচা আলামিন মৌলঙ্গী জানান, গত ৩১ জুলাই সকালে উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের ভাই আলামিন মৌলঙ্গীর মেয়ে ফতেমা খাতুন পেটে ব্যথা নিয়ে হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোঃকামাল হোসেনের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে অ্যাপেন ডিসাইডিস হয়েছে বলে জানান এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ফাতেমা খাতুনের অ্যাপেনডিসাইডিস অপারেশনের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়। উক্ত অস্ত্রোপচারের সময় ভুলবশত মূত্রথলির নাড়ি কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এর ৪ দিন পর ৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেন ফাতেমা খাতুনকে আবারও ওটিতে নিয়ে যায় এবং ঘন্টা দুয়েক পরে ওটি থেকে বের করে রোগীর স্বজনদের কাছে ফাতেমা খাতুন গুরুতর অসুস্থ বলে অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়। স্বজনরা তখন দিশেহারা হয়ে খুলনা গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ফাতেমাকে ভর্তি করেন। কর্তৃপক্ষ ফাতেমার অবস্থা অবনতি দেখে আইসিউতে নিবিড় পর্যেবক্ষণে রাখে এবং একই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্কুলছাত্রী ফাতেমা খাতুনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ক্লিনিকে ছুটে আসলে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেন সহ স্টাফরা মেইন গেট বাদে প্রতিটা কক্ষ তালাবন্ধ করে সুকৌশলে নিহত শিশুর আত্মীয় স্বজনরা জানান ক্লিনিক এর সত্য অধিকারী মোঃ কামাল হোসেন এমবিবিএস সার্জারি অপারেশনের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অপারেশন করেন, সে রোগীদেরকে এই ভাবেই পরিচয় দিয়ে অপারেশন করান, সার্বক্ষণিক অপারেশন করানোর জন্য ঐ ক্লিনিকে এমবিবিএস কোন ডাক্তার নেই।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নিজ জেলায় নাগরিক সংবর্ধনা পেলেন মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান

SBN

SBN

খুলনায় ক্লিনিক মালিকের ভুল চিকিৎসায় স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:০৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

নাহিদ জামান, খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলায় ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে অবস্থিত আলোচিত হালিমা ক্লিনিকে আবারও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, ইতিপূর্বে একাধিক রোগী ভুল অপারেশনে মৃত্যুবরণ করেছে এই আলোচিত ক্লিনিকেটিতে।
এবার ফাতেমা খাতুন নামে ১১ বছর বয়সের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে বাদুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আত্মগোপন আত্মগোপন রয়েছে বলে জানা যায়। উক্ত বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। উক্ত বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ওই ছাত্রীর চাচা আলামিন মৌলঙ্গী জানান, গত ৩১ জুলাই সকালে উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের ভাই আলামিন মৌলঙ্গীর মেয়ে ফতেমা খাতুন পেটে ব্যথা নিয়ে হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোঃকামাল হোসেনের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে অ্যাপেন ডিসাইডিস হয়েছে বলে জানান এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ফাতেমা খাতুনের অ্যাপেনডিসাইডিস অপারেশনের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়। উক্ত অস্ত্রোপচারের সময় ভুলবশত মূত্রথলির নাড়ি কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এর ৪ দিন পর ৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেন ফাতেমা খাতুনকে আবারও ওটিতে নিয়ে যায় এবং ঘন্টা দুয়েক পরে ওটি থেকে বের করে রোগীর স্বজনদের কাছে ফাতেমা খাতুন গুরুতর অসুস্থ বলে অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়। স্বজনরা তখন দিশেহারা হয়ে খুলনা গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ফাতেমাকে ভর্তি করেন। কর্তৃপক্ষ ফাতেমার অবস্থা অবনতি দেখে আইসিউতে নিবিড় পর্যেবক্ষণে রাখে এবং একই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্কুলছাত্রী ফাতেমা খাতুনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ক্লিনিকে ছুটে আসলে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেন সহ স্টাফরা মেইন গেট বাদে প্রতিটা কক্ষ তালাবন্ধ করে সুকৌশলে নিহত শিশুর আত্মীয় স্বজনরা জানান ক্লিনিক এর সত্য অধিকারী মোঃ কামাল হোসেন এমবিবিএস সার্জারি অপারেশনের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অপারেশন করেন, সে রোগীদেরকে এই ভাবেই পরিচয় দিয়ে অপারেশন করান, সার্বক্ষণিক অপারেশন করানোর জন্য ঐ ক্লিনিকে এমবিবিএস কোন ডাক্তার নেই।