ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী Logo খুনিদের বিচার আর দেশের সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না- ডাঃ শফিকুর রহমান Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট Logo দ্রব্যমূল্য সহনীয় রেখে দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করতে হবে- সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম

ফুলবাড়ীতে দুইশত বছরের পুরাতন কবরস্থান রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন

আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রায় দুইশত বছরের পুরাতন কবর স্থানের শতাধিক কবর কেটে পুকুর ভরাট করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন তিন গ্রামের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর (‌ঢেপার পুকুর) কবরস্থান চত্বরে দক্ষিণ বাসুদেবপুর (নয়াপাড়া), নুরপুর ও দাদপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

দুইশত বছরের পুরাতন কবরস্থানটি রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে দক্ষিণ বাসুদেবপুর (নয়াপাড়া), নুরপুর ও দাদপুর তিন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী অংশ গ্রহণ করে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, মঞ্জিল মোরশেদ, আব্দুর রহমান, আজগার আলী, বাবলু মিয়া, মোঃ আজিম, মাসুদ, মিজানুর রহমান, অহিনুর ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে দুপুর ১ টায় ওই তিন গ্রামের প্রায় শতশত এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পেশ করা হয়। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত্যু আফাজ উদ্দিনের ছেলেরা রাতের আধাঁরে শতাধিক কবর কেটে পুকুর ভরাট করেছেন।

বিষয়ে অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন মোশা বলেন, আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি এটি। সেখানে এলাকাবাসী কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। আমরা কোনো কবরস্থানের জায়গা কাটিনি। কবরস্থান বাদে আমাদের যতটুকু যায়গা ছিল সেটুকু কেটেছি। ইউএনও যদি এ বিষয় নিয়ে আমাকে ডাকে আমি আমার কাগজপত্র নিয়ে যাব।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। আইন অনুযায়ী কবরস্থান এবং শ্মশানের জায়গা কেউ নিজস্ব বলে দাবি করতে পারবে না। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর সেকারণে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে তহশীলদার পাঠানো হয়েছে। তহশীলদার রিপোর্ট দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানা যায় এই কবরস্থানের জায়গাটি ছিলো জমিদার নিলক চন্ডির। সেই সময় থেকেই এখানে কবর দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বছির উদ্দিন মন্ডল জমিদারের নিকট থেকে জমিটা কিনে নেন। বছির উদ্দিন জীবিত অবস্থায় তার পরিবারের লোকজনকে এবং পার্শ্ববর্তী তিন গ্রামের লোকজনও কবর দিতেন। বছির উদ্দিনের মৃত্যুর পরে তার তিন ছেলে তছির উদ্দিন মন্ডল, এজার উদ্দিন মন্ডল এবং আফাজ উদ্দিন মন্ডল জীবিতকালে এই কবরস্থানে কবরস্থ করতে কাউকে নিষেধ করেননি। এখন পর্যন্ত তাদের ছেলেরাও কবর দিতে নিষেধ না করলেও মৃত্যু আফাজ উদ্দিনের ছেলেরা রাতের অন্ধকারে অসৎ উদ্দেশ্যে শতাধিক কবর কেটে পুকুর ভরাট করেন। কবর কাটার এ নির্মম দৃশ্য দেখে স্বজনরা কান্নাকাটি করতে থাকেন।

এলাকাবাসীর দাবি দুই শত বছরের পুরাতন কবরস্জথানটি যেনো কবরস্থান হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়। যাতে ভবিষ্যতেও সেখানে নিশ্চিন্তে মৃত ব্যক্তিদের কবর দেয়া যায়।

আপলোডকারীর তথ্য

অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল

SBN

SBN

ফুলবাড়ীতে দুইশত বছরের পুরাতন কবরস্থান রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০২:১৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রায় দুইশত বছরের পুরাতন কবর স্থানের শতাধিক কবর কেটে পুকুর ভরাট করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন তিন গ্রামের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর (‌ঢেপার পুকুর) কবরস্থান চত্বরে দক্ষিণ বাসুদেবপুর (নয়াপাড়া), নুরপুর ও দাদপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

দুইশত বছরের পুরাতন কবরস্থানটি রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে দক্ষিণ বাসুদেবপুর (নয়াপাড়া), নুরপুর ও দাদপুর তিন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী অংশ গ্রহণ করে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, মঞ্জিল মোরশেদ, আব্দুর রহমান, আজগার আলী, বাবলু মিয়া, মোঃ আজিম, মাসুদ, মিজানুর রহমান, অহিনুর ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে দুপুর ১ টায় ওই তিন গ্রামের প্রায় শতশত এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পেশ করা হয়। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত্যু আফাজ উদ্দিনের ছেলেরা রাতের আধাঁরে শতাধিক কবর কেটে পুকুর ভরাট করেছেন।

বিষয়ে অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন মোশা বলেন, আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি এটি। সেখানে এলাকাবাসী কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। আমরা কোনো কবরস্থানের জায়গা কাটিনি। কবরস্থান বাদে আমাদের যতটুকু যায়গা ছিল সেটুকু কেটেছি। ইউএনও যদি এ বিষয় নিয়ে আমাকে ডাকে আমি আমার কাগজপত্র নিয়ে যাব।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। আইন অনুযায়ী কবরস্থান এবং শ্মশানের জায়গা কেউ নিজস্ব বলে দাবি করতে পারবে না। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর সেকারণে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে তহশীলদার পাঠানো হয়েছে। তহশীলদার রিপোর্ট দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানা যায় এই কবরস্থানের জায়গাটি ছিলো জমিদার নিলক চন্ডির। সেই সময় থেকেই এখানে কবর দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বছির উদ্দিন মন্ডল জমিদারের নিকট থেকে জমিটা কিনে নেন। বছির উদ্দিন জীবিত অবস্থায় তার পরিবারের লোকজনকে এবং পার্শ্ববর্তী তিন গ্রামের লোকজনও কবর দিতেন। বছির উদ্দিনের মৃত্যুর পরে তার তিন ছেলে তছির উদ্দিন মন্ডল, এজার উদ্দিন মন্ডল এবং আফাজ উদ্দিন মন্ডল জীবিতকালে এই কবরস্থানে কবরস্থ করতে কাউকে নিষেধ করেননি। এখন পর্যন্ত তাদের ছেলেরাও কবর দিতে নিষেধ না করলেও মৃত্যু আফাজ উদ্দিনের ছেলেরা রাতের অন্ধকারে অসৎ উদ্দেশ্যে শতাধিক কবর কেটে পুকুর ভরাট করেন। কবর কাটার এ নির্মম দৃশ্য দেখে স্বজনরা কান্নাকাটি করতে থাকেন।

এলাকাবাসীর দাবি দুই শত বছরের পুরাতন কবরস্জথানটি যেনো কবরস্থান হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়। যাতে ভবিষ্যতেও সেখানে নিশ্চিন্তে মৃত ব্যক্তিদের কবর দেয়া যায়।