
মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু,
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনী: ফেনী সোনাগাজীতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বখাটের বিরুদ্ধে তিন শিক্ষার্থী পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
আহতরা হলেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী সায়মা সুলতানা, ইসরাত জাহান প্রেমা ও তাসলিমা আক্তার শান্তা। অভিযুক্ত বখাটে রবিউল হাসান বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক। সে ওই ইউনিয়নের ছোট মাঝি বাড়ির হেলাল উদ্দিনের ছেলে। তবে স্থানীয়দের ভাষ্য দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে যাওয়ায় তর্কাতর্কির পর মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের কাজিরহাট বাজারের পাশে কালিমন্দিরের সামনে ঘটে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী সায়মা সুলতানা বাদি হয়ে শনিবার (১৯ আগষ্ট) তিনজনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসান ও তার সহযোগী মো:তুষার এবং মো:মুরাদ।
তবে স্থানীয়দের ভাষ্য সায়মা সুলতানার সাথে রবিউল হাসানের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত কয়েকমাস ধরে রবিউল এলাকায় মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাকে সুপথে ফেরাতে না পেরে সায়মা তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এতেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে সায়মাকে মারধর করে। তার বান্ধবিরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও শ্লীলতাহানি করেন। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টাও করে।
এদিকে ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মামুন তার নিজ নামীয় ফেসবুক আইডিতে শুক্রবার বিকালে এ বিষয়ে পোষ্ট করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা রাতই তার উপর হামলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক মামুন শনিবার বিকালে সোনাগাজী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবী তর্কাতর্কি হয়েছে তবে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। সাংবাদিককে হামলার চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে সে কোন সদুত্তর দেননি।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করছে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























