
মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু, ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিন ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।এর আগে রোববার (২০ আগস্ট) রাতে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রবিউল সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের বগাদানা গ্রামের মো: হেলাল উদ্দিনের ছেলে এবং
একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক।
পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা শেষ করে বের হয় তিন ছাত্রী। এ সময় তাদের পিছু নেন ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসান ও তাঁর সহযোগীরা।
একপর্যায়ে তারা নানাভাবে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন। প্রতিবাদ করলে ওই ছাত্রীদের চরথাপ্পড় ও লাথি মারেন তারা।
পরে ওই ছাত্রীরা দ্রুত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রবিউল ও তার সহযোগীরা অটোরিকশার পিছু নেন। অটোরিকশার গতি রোধ করে ছাত্রীদের নামিয়ে আবারও মারধর করেন তারা।
ছাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় রবিউল হাসানসহ চারজনের নামে মামলা করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন রবিউলের সহযোগী মো. তুষার, মো. মুরাদ ও মো. ফারুক।
অপরদিকে এ ঘটনায় সংবাদ প্রচারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসান ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিলেন। রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল পুলিশে নিকট ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 





















