
ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা: দক্ষিণ আফ্রিকার ‘স্টার’, ‘কেপ টাইমস’, ‘মারকারি নিউজ’ ইত্যাদি সংবাদমাধ্যমে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ‘চীন-দক্ষিণ আফ্রিকা বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার যাত্রা শুভ হোক’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ২১ আগস্ট। একই দিনে তিনি পঞ্চদশ ব্রিকস শীর্ষসম্মেলনে অংশ নিতে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করেন।
সি চিন পিং নিবন্ধে লিখেছেন, এটা হবে তাঁর ষষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। প্রতিবার সফরে তার ভিন্ন অনুভূতি হয়। তবে, যা তাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে তা হল দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বন্ধুত্ব। তিনি চীন-দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্কের উচ্চ প্রশংসা করে বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি “স্বর্ণযুগে” প্রবেশ করেছে, যা গোটা বিশ্বেও প্রভাব ফেলছে।
তিনি লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা হল প্রথম আফ্রিকান দেশ যে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর যৌথ নির্মাণে চীনের সাথে সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা টানা ১৩ বছর ধরে আফ্রিকায় চীনের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার হয়ে আছে। তিনি দু’দেশের বাস্তবসম্মত সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘সহযোগিতার কেক বড় থেকে আরও বড় হচ্ছে’, যা প্রশংসনীয়।
সি চিন পিং নিবন্ধে লিখেছেন, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার উচিত পরস্পরের সমমনা সহকর্মী হওয়া এবং নিজস্ব জাতীয় অবস্থার সাথে মানানসই আধুনিকায়নের পথ অনুসরণে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করা। অবকাঠামো নির্মাণ, ডিজিটাল অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, জ্বালানিশক্তির রূপান্তর এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের সহযোগিতাও জোরদার করা উচিত। চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে। অভিন্ন স্বার্থের রক্ষক হওয়ার জন্য, দু’দেশকে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কণ্ঠস্বর হতে হবে, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারকাজকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে, এবং সবধরনের একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট সি আরও লিখেছেন, চীন ব্রিকস অংশীদারদের সাথে নিয়ে উন্মুক্ততা, সহনশীলতা ও জয়-জয় সহযোগিতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতে, প্রধান ইস্যুতে ঐকমত্য গড়ে তুলতে, স্বাধীন কূটনৈতিক ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে, এবং দৃঢ়ভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করতে ইচ্ছুক।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।