অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় দেশের শীর্ষ প্রতারক এহতেশামুল হক শ্যামলের প্রধান সহযোগি মোঃ শফিকুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়- গাজীপুরের রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলেজের ভিডিও এক ব্যবসায়ীকে দেখিয়ে প্রতারক এহতেশামুল হক শ্যামেল দাবি করেন, এটা তাঁর নিজের। এরপর সেখানে বিনিয়োগের কথা বলে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধাপে ধাপে অন্তত আট কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই কাজে তার মূল সহযোগী ছিলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম।
এই ধুরন্দর প্রতারক শফিকুল ইসলাম এসকল কাজে কখনো মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, আবার কখনো মন্ত্রীর স্ত্রীর বন্ধু পরিচয় দেন।
মামলার প্রধান আসামী এহতেশামুল হক শ্যামলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর। থাকেন ঢাকার বনানীতে। তাঁর বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন মুহাম্মদ আজিজুস সালেহীন ডলার নামের এই ব্যবসায়ী। মামলায় তিনি এহতেশামুল হক শ্যামেল ও শফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে আট কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণা ও হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন।
এই প্রতারক চক্র বিভিন্ন কোম্পানির নাম করে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেন। কখনো এক্সিস, হ্যাভিটেশান, তাজমহল আবাসনসহ নানান নামে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করেন।
মামলার বাদী ব্যবসায়ী আজিজুস সালেহীন বলেন, এহতেশামুল হক শ্যামেল ও শফিকুল ইসলাম ব্যবসার কথা বলে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।