ঢাকা ১২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম Logo ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় মুরাদনগরে দোয়া মাহফিল Logo রাণীনগরে ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo কালীগঞ্জে অপহরণের ১৬ ঘন্টা পর এক যুবককে উদ্ধার, তিন অপহরণকারী গ্রেফতার Logo শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার পর সীমান্তে বিজিবির কড়া নিরাপত্তা Logo দীগলটারীতে ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের পাঁচ শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ Logo নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু  Logo লাকসাম গোবিন্দপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশ Logo শাহরাস্তি পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবি

ফেনীতে শিক্ষার্থীকে বলৎকারের ঘটনায় শিক্ষককে গণপিটুনী

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনী

ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বলৎকারের ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গণপিটুনী দিয়েছে স্থানীয়রা।

ওই শিক্ষককে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর শেষে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) একটা সাদা কাগজে লিখিত নিয়ে ভবিষ্যতে এধরনের আর কোন কাজ করবেনা মর্মে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা মাদ্রাসার শিক্ষক কামরুল ইসলাম একজন ১২ বছরের ছাত্রকে বৃহস্পতিবার রাতে বলৎকার করেন। বলৎকারের পর কাউকে কিছু না বলতে কোরআন শপথ করানো হয়। মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল ফেনী সদর উপজেলার পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে।

বলাৎকারের খবর জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসা সুপার, মাদ্রাসার কমিটি, ছেলের পিতা ও স্থানীয় কয়েকজন একত্রিত হয়ে মাদ্রাসা কক্ষের ২য় তলায় ওই শিক্ষককে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করেন। শেষে একটা সাদা কাগজে লিখিত নিয়ে ভবিষ্যতে এধরনের কোন কাজ করবেনা মর্মে তাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই ছাত্রের পিতা ছেলেকে বলাৎকারের কথা স্বীকার করলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কেউ ঘটনাটি স্বীকার করেনি।

মাদ্রাসা সুপার আব্দুল হান্নান নিজেও বিষয়টি জানেননা বলে জানান। তিনি বলেন, তারা সম্পর্কে চাচা ভাতিজা, পড়ালেখা না করায় ভাতিজা কে মারধর করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসা কমিটির একজন জানান, ওই শিক্ষক ভবিষ্যতে এরকম কোন কাজ করবেননা বলে লিখিত অঙ্গীকার দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুঃ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তিনি লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। তবে লোক মারফতে জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

SBN

SBN

ফেনীতে শিক্ষার্থীকে বলৎকারের ঘটনায় শিক্ষককে গণপিটুনী

আপডেট সময় ০৬:০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনী

ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বলৎকারের ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গণপিটুনী দিয়েছে স্থানীয়রা।

ওই শিক্ষককে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর শেষে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) একটা সাদা কাগজে লিখিত নিয়ে ভবিষ্যতে এধরনের আর কোন কাজ করবেনা মর্মে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা মাদ্রাসার শিক্ষক কামরুল ইসলাম একজন ১২ বছরের ছাত্রকে বৃহস্পতিবার রাতে বলৎকার করেন। বলৎকারের পর কাউকে কিছু না বলতে কোরআন শপথ করানো হয়। মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল ফেনী সদর উপজেলার পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে।

বলাৎকারের খবর জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসা সুপার, মাদ্রাসার কমিটি, ছেলের পিতা ও স্থানীয় কয়েকজন একত্রিত হয়ে মাদ্রাসা কক্ষের ২য় তলায় ওই শিক্ষককে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করেন। শেষে একটা সাদা কাগজে লিখিত নিয়ে ভবিষ্যতে এধরনের কোন কাজ করবেনা মর্মে তাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই ছাত্রের পিতা ছেলেকে বলাৎকারের কথা স্বীকার করলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কেউ ঘটনাটি স্বীকার করেনি।

মাদ্রাসা সুপার আব্দুল হান্নান নিজেও বিষয়টি জানেননা বলে জানান। তিনি বলেন, তারা সম্পর্কে চাচা ভাতিজা, পড়ালেখা না করায় ভাতিজা কে মারধর করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসা কমিটির একজন জানান, ওই শিক্ষক ভবিষ্যতে এরকম কোন কাজ করবেননা বলে লিখিত অঙ্গীকার দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুঃ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তিনি লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। তবে লোক মারফতে জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।