
মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক,
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিনে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বর্ণাঢ্য রেলিতে অংশগ্রহণ করেন গাইবান্ধা শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
১৮ অক্টোবর, বুধবার সকালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শহীদ শেখ রাসেল সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের প্রতি এই শ্রদ্ধা নিবন্ধন করেন তারা।
পরে আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর বগুড়া’র সহকারি পরিচালক খালেদা জাহানের সভাপতিত্বে গাইবান্ধা শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে দুপুর ১২ ঘটিকায় শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মিলাদ মাহফিলে দোয়া পাঠ করেন হাফেজ মাওলানা মোঃ এনামুল হক এনাম।
গাইবান্ধা শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের শ্রম কল্যাণ সংগঠক মোঃ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, বগুড়া’র সহকারী পরিচালক খালেদা জাহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পৌরশাখা ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাকির হায়দার ও গাইবান্ধা জেলা শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি মোঃ আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী।
বক্তারা বলেন ১৯৬৪ সালের ১৮ই অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত বঙ্গবন্ধুর ভবনে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো শিশু রাসেলও রক্ষা পাননি ঘাতকদের বুলেট থেকে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া শেখ রাসেলকেও। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের এবং নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।
এসময় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে কবিতা আবৃত্তি করেন শিশু মোঃ ইব্রাহিম হোসেন ও মোসাম্মৎ হুমায়রা খাতুন।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রম সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।