ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলে ৫০ শয্যার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তা কর্মচারী সংকটে চলছে। ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই ৫০ শয্যার অবকাঠামো হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে।প্রতিদিন হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকগণ।
অল্প সংখ্যক চিকিৎসক স্টাফ নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে কার্পুণতা করছেন না চিকিৎসক গণ। শরীর বলে কথা। একজন চিকিৎসক কতোজন রোগী কে বাচিকিৎসা সেবা দিতে পারেন। সেটার দেখার বিষয় রয়েছে।
জানা গেছে ২০১৮ সালে ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টি কে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হয় অবকাঠামোর দিক দিয়ে। বাস্তবে ৩১ শয্যা হসপিটাল এ রয়েছে। তবে হাসপাতালে ৩১ শয্যার জনবল ও নেই। অনেক স্টাফের পদ খালী রয়েছে। প্রতিদিন হাসাপাতালে বহির্বিভাগে ৮/৯ শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। সেবা দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। ক্লিনার ৫ জন থাকার কথা থাকলে ও রয়েছে ১ জন। বিশাল চারতলা ১ টি বিল্ডিংও দুতলা একটি বিল্ডিং রয়েছে। ১ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে কোন ভাবেই পরিস্কার করা সম্ভম নয় হসপিটাল টি কে। আয়া ৩ জনের জায়গায় রয়েছে ১ জন। ওয়ার্ডবয় ৩ জনের জায়গায় রয়েছে ১ জন। নৈশপ্রহরী ২ জনের পদই শূন্য রয়েছে। কোক ও সহকারী কোক ২ জনের পদই শূন্য রয়েছে। অফিস সহায়ক ৫ জনের পদই শূন্য রয়েছে। নিরাপত্তা প্রহরী ২ জনের পদই শূন্য রয়েছে। দাড়োয়ানের ১ টি পদ ও শূন্য রয়েছে। এক কথায় জনবল নাই বললে চলে।
উপজেলার সোনাইমুড়ী গ্রামে ২০ শয্যার একটি হসপিটাল রয়েছে। কাগজে কলমে হসপিটাল টি থাকলে ও বাস্তবে ঐ হাসপাতালের কোন কার্যক্রম নেই। ১ জন আয়া ১ জন ওয়ার্ড বয় ও কয়েকজন চিকিৎসক সোনাইমুড়ী হসপিটালের নিয়োগ থাকলে ও তাদের কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজে লাগিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল ইসলাম সোহেল এর আন্তরিকতার ফলে এ জনবল নিয়ে সিজার, হার্ণিয়া এ্যাপেন্ডিসসাইটিস অপারেশন শুরু করেছেন হসপিটালে।রোগীদের ঔষধ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। সুশীল সমাজ মনে করেন জনবল পরিপূর্ণ করে বাস্তবে ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলে বরুড়া উপজেলার মানুষের মৌলিক চাহিদা চিকিৎসা সেবা আরো ভালো ভাবে নিশ্চিত হওয়া যেতো।
এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল ইসলাম সোহেল বলেন, জনবল জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন। চেষ্টার কোন ত্রুটি করছি না। বিল্ডিং আছে জনবল নেই। জনবল হলে সেবার মান আরো ভালো করা যাবে। আমি সংশ্লিষ্ট সকলের সহোযোগিতা চাই।

আপলোডকারীর তথ্য

৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলে ৫০ শয্যার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আপডেট সময় ১০:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তা কর্মচারী সংকটে চলছে। ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই ৫০ শয্যার অবকাঠামো হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে।প্রতিদিন হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকগণ।
অল্প সংখ্যক চিকিৎসক স্টাফ নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে কার্পুণতা করছেন না চিকিৎসক গণ। শরীর বলে কথা। একজন চিকিৎসক কতোজন রোগী কে বাচিকিৎসা সেবা দিতে পারেন। সেটার দেখার বিষয় রয়েছে।
জানা গেছে ২০১৮ সালে ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টি কে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হয় অবকাঠামোর দিক দিয়ে। বাস্তবে ৩১ শয্যা হসপিটাল এ রয়েছে। তবে হাসপাতালে ৩১ শয্যার জনবল ও নেই। অনেক স্টাফের পদ খালী রয়েছে। প্রতিদিন হাসাপাতালে বহির্বিভাগে ৮/৯ শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। সেবা দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। ক্লিনার ৫ জন থাকার কথা থাকলে ও রয়েছে ১ জন। বিশাল চারতলা ১ টি বিল্ডিংও দুতলা একটি বিল্ডিং রয়েছে। ১ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে কোন ভাবেই পরিস্কার করা সম্ভম নয় হসপিটাল টি কে। আয়া ৩ জনের জায়গায় রয়েছে ১ জন। ওয়ার্ডবয় ৩ জনের জায়গায় রয়েছে ১ জন। নৈশপ্রহরী ২ জনের পদই শূন্য রয়েছে। কোক ও সহকারী কোক ২ জনের পদই শূন্য রয়েছে। অফিস সহায়ক ৫ জনের পদই শূন্য রয়েছে। নিরাপত্তা প্রহরী ২ জনের পদই শূন্য রয়েছে। দাড়োয়ানের ১ টি পদ ও শূন্য রয়েছে। এক কথায় জনবল নাই বললে চলে।
উপজেলার সোনাইমুড়ী গ্রামে ২০ শয্যার একটি হসপিটাল রয়েছে। কাগজে কলমে হসপিটাল টি থাকলে ও বাস্তবে ঐ হাসপাতালের কোন কার্যক্রম নেই। ১ জন আয়া ১ জন ওয়ার্ড বয় ও কয়েকজন চিকিৎসক সোনাইমুড়ী হসপিটালের নিয়োগ থাকলে ও তাদের কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজে লাগিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল ইসলাম সোহেল এর আন্তরিকতার ফলে এ জনবল নিয়ে সিজার, হার্ণিয়া এ্যাপেন্ডিসসাইটিস অপারেশন শুরু করেছেন হসপিটালে।রোগীদের ঔষধ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। সুশীল সমাজ মনে করেন জনবল পরিপূর্ণ করে বাস্তবে ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলে বরুড়া উপজেলার মানুষের মৌলিক চাহিদা চিকিৎসা সেবা আরো ভালো ভাবে নিশ্চিত হওয়া যেতো।
এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল ইসলাম সোহেল বলেন, জনবল জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন। চেষ্টার কোন ত্রুটি করছি না। বিল্ডিং আছে জনবল নেই। জনবল হলে সেবার মান আরো ভালো করা যাবে। আমি সংশ্লিষ্ট সকলের সহোযোগিতা চাই।