ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ উদ্বোধন

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু
ফেনী জেলা প্রতিনিধি

দেশে ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে রয়েছে চারটি জেলা মসজিদ বাকিগুলো উপজেলা মডেল মসজিদ।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মসজিদ উদ্বোধন করবেন। জেলা মডেল মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেনী, গোপালগঞ্জ, নোয়াখালী ও কুমিল্লা। বাকিগুলো উপজেলা মডেল মসজিদ।

উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষমান ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর এলাকায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মনোরম পরিবেশ ও বিস্তৃত জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেনী জেলা মডেল মসজিদ। মসজিদটি অপরূপ নির্মাণ শৈলী আর কারুকাজের কারণে সবার কাছে একটি আকর্ষণীয় ধর্মীয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে মসজিদটি নির্মাণ করেছে মেসার্স আরএসসিএল এন্ড আরএফ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক, ডিবিসি নিউজ এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর দান করা ৪৩ শতাংশ জমির ওপর ফতেহপুর গ্রামে নির্মিত হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।

দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণ কালিন ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা এবং সময় লেগেছে চার বছর চার মাস।

ফেনীস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক মীর মুহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহ জানান, বর্তমান সরকারের মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কনসেপ্ট এর আলোকে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এ ধরণের মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। মডেল মসজিদের রয়েছে ১০তলা বিশিষ্ট মিনার, অর্নামেন্ট গ্লাস, মসজিদের মাঝে বরাবর গম্বুজ, ঝাড়বাতি, এয়ারকন্ডিশন ও কিতাব সেলফ এবং সম্মুখে প্রশস্ত জায়গা।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, মসজিদের নিচতলায় রয়েছে: কার পার্কিং, মরদেহ ধোয়ার ঘর, প্রতিবন্ধীদের নামাজের স্থান, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, বই বিক্রয় কেন্দ্র ও প্রতিবন্ধী কর্নার। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে: মূল নামাজের স্থান, মিটিং হল, অফিস স্পেস, খোলা জায়গা, মৃতদেহের কফিন রাখা ও জানাজার নামাজের স্থান। তৃতীয় তলায় রয়েছে: পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা নামাজের স্থান, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ইমাম মুয়াজ্জিন ও শিক্ষকদের বাসস্থান, অতিথি খানা, সাধারণ স্টাফদের অফিস রুম, অজুখানা ও টয়লেট ইত্যাদি।

এ ছাড়া চতুর্থ তলায় রয়েছে: ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র ইসলামিক লাইব্রেরী, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইসলামিক গবেষণা, শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা দেশ-বিদেশি মেহমান এবং পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা ইত্যাদি।

ফেনী জেলা মডেল মসজিদ পরিচালনায় আছে একটি শক্তিশালী পরিচালনা পরিষদ। উক্ত পরিচালনা পরিষদ মসজিদ পরিচালনাসহ সার্বিক বিষয় সিদ্ধান্ত নিবেন এবং দায়িত্ব পালন করবেন।

ফেনী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন জানান, ফেনী জেলা মডেল মসজিদ এর নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে এই মসজিদে নামাজসহ সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালিত হবে।

মসজিদের জন্য ব্যয়বহুল ভূমিদাতা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্ভাবিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্রটি নির্মাণের ফলে এখানে মুসল্লিদের জন্য নামাজ আদায়, ধর্মীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দ্বীনি দাওয়াতি পরিচালনা নিমিত্তে ভৌত অবকাঠামো সুবিধাদি সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি মনে করি মুসলমানদের জনজীবনে ইসলামিক জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণের মাধ্যমে ইসলামিক মূল্যবোধের পরিচর্যা ও প্রসার হবে এই মসজিদকে কেন্দ্র করে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেনীতে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ উদ্বোধন

আপডেট সময় ১২:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু
ফেনী জেলা প্রতিনিধি

দেশে ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে রয়েছে চারটি জেলা মসজিদ বাকিগুলো উপজেলা মডেল মসজিদ।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মসজিদ উদ্বোধন করবেন। জেলা মডেল মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেনী, গোপালগঞ্জ, নোয়াখালী ও কুমিল্লা। বাকিগুলো উপজেলা মডেল মসজিদ।

উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষমান ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর এলাকায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মনোরম পরিবেশ ও বিস্তৃত জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেনী জেলা মডেল মসজিদ। মসজিদটি অপরূপ নির্মাণ শৈলী আর কারুকাজের কারণে সবার কাছে একটি আকর্ষণীয় ধর্মীয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে মসজিদটি নির্মাণ করেছে মেসার্স আরএসসিএল এন্ড আরএফ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক, ডিবিসি নিউজ এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর দান করা ৪৩ শতাংশ জমির ওপর ফতেহপুর গ্রামে নির্মিত হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।

দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণ কালিন ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা এবং সময় লেগেছে চার বছর চার মাস।

ফেনীস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক মীর মুহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহ জানান, বর্তমান সরকারের মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কনসেপ্ট এর আলোকে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এ ধরণের মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। মডেল মসজিদের রয়েছে ১০তলা বিশিষ্ট মিনার, অর্নামেন্ট গ্লাস, মসজিদের মাঝে বরাবর গম্বুজ, ঝাড়বাতি, এয়ারকন্ডিশন ও কিতাব সেলফ এবং সম্মুখে প্রশস্ত জায়গা।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, মসজিদের নিচতলায় রয়েছে: কার পার্কিং, মরদেহ ধোয়ার ঘর, প্রতিবন্ধীদের নামাজের স্থান, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, বই বিক্রয় কেন্দ্র ও প্রতিবন্ধী কর্নার। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে: মূল নামাজের স্থান, মিটিং হল, অফিস স্পেস, খোলা জায়গা, মৃতদেহের কফিন রাখা ও জানাজার নামাজের স্থান। তৃতীয় তলায় রয়েছে: পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা নামাজের স্থান, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ইমাম মুয়াজ্জিন ও শিক্ষকদের বাসস্থান, অতিথি খানা, সাধারণ স্টাফদের অফিস রুম, অজুখানা ও টয়লেট ইত্যাদি।

এ ছাড়া চতুর্থ তলায় রয়েছে: ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র ইসলামিক লাইব্রেরী, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইসলামিক গবেষণা, শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা দেশ-বিদেশি মেহমান এবং পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা ইত্যাদি।

ফেনী জেলা মডেল মসজিদ পরিচালনায় আছে একটি শক্তিশালী পরিচালনা পরিষদ। উক্ত পরিচালনা পরিষদ মসজিদ পরিচালনাসহ সার্বিক বিষয় সিদ্ধান্ত নিবেন এবং দায়িত্ব পালন করবেন।

ফেনী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন জানান, ফেনী জেলা মডেল মসজিদ এর নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে এই মসজিদে নামাজসহ সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালিত হবে।

মসজিদের জন্য ব্যয়বহুল ভূমিদাতা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্ভাবিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্রটি নির্মাণের ফলে এখানে মুসল্লিদের জন্য নামাজ আদায়, ধর্মীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দ্বীনি দাওয়াতি পরিচালনা নিমিত্তে ভৌত অবকাঠামো সুবিধাদি সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি মনে করি মুসলমানদের জনজীবনে ইসলামিক জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণের মাধ্যমে ইসলামিক মূল্যবোধের পরিচর্যা ও প্রসার হবে এই মসজিদকে কেন্দ্র করে।