ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম Logo মোংলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, তদন্তে বিএনপি Logo ভোট দিতে এসে প্রান হারালেন মোটর শ্রমিক সদস্য Logo অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের ‘হানিমুন পিরিয়ড’ শেষ হয়েছে – আবু হানিফ Logo কুমিল্লায়  জাতীয় গন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান Logo কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৪ আহত ৪ Logo ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ পেট্রোল পাম্প বন্ধ, ভোগান্তিতে জনসাধারণ Logo রাঙ্গামাটিতে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু Logo মুরাদনগরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবতীকে টেঁটা বিদ্ধ করলেন চাচা Logo শেরপুর সদর -১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম

আদালতের নির্দেশে বিগত ৭’মাস পর ছেলে পাচ্ছেন পিতার লাশ,

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নে গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত লাশটি ব্যবসায়ী মাহে আলম’র। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত করেছে লাশটি মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বুধবার (৮ নভেম্বর) এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের মধ্যে লাশ উত্তোলনপূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ প্রদান করেছে। আদেশের স্মারক নং ৯৬৫০(৫)/১।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়,হিলটন নাথ ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয়। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের ভুল দাবির প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা লাশটি তার কাছে হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে দাকোপ (খুলনা) থানা এবং মোংলা (বাগেরহাট) থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ‘গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন।

হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত “ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ, বিথীকা নাথের নয়। ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ়ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা।” অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৬ মাস ২৩ দিন পরে বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের (মোংলা) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোকন হোসেন মাহে আলম’র লাশটি উত্তোলনপূর্বক ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ প্রদান করেছেন। আদালত ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিস্ট মহলকে মাহে আলম’র লাশ হস্তান্তর করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন প্রায় ৭মাস নানা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে আদালত আমার পিতার লাশ উত্তোলনপূর্বক হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছে। এখন আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি বাবার লাশটি পাওয়ার পর মুসলিম রীতি অনুযায়ি দাফন সম্পন্ন করার জন্য। পাশাপাশি সুন্দরবনে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত একটি চিহ্নিত মহল আমার পিতার খুন এবং লাশ গুমের সাথে জড়িত; আমি আশা করছি তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে।

মাহে আলম’র লাশ উত্তোলন করে হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর ইমরান হোসেন জানান আমি ছুটিতে আছি। তাছাড়া মৌখিক ভাবে শুনলেও লাশ উত্তোলনের আদেশের কপি এখনও লিখিত ভাবে পাইনি। আদেশের লিখিত কপি পেলে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

SBN

SBN

আদালতের নির্দেশে বিগত ৭’মাস পর ছেলে পাচ্ছেন পিতার লাশ,

আপডেট সময় ০৫:০৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নে গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত লাশটি ব্যবসায়ী মাহে আলম’র। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত করেছে লাশটি মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বুধবার (৮ নভেম্বর) এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের মধ্যে লাশ উত্তোলনপূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ প্রদান করেছে। আদেশের স্মারক নং ৯৬৫০(৫)/১।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়,হিলটন নাথ ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয়। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের ভুল দাবির প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা লাশটি তার কাছে হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে দাকোপ (খুলনা) থানা এবং মোংলা (বাগেরহাট) থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ‘গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন।

হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত “ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ, বিথীকা নাথের নয়। ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ়ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা।” অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৬ মাস ২৩ দিন পরে বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের (মোংলা) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোকন হোসেন মাহে আলম’র লাশটি উত্তোলনপূর্বক ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ প্রদান করেছেন। আদালত ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিস্ট মহলকে মাহে আলম’র লাশ হস্তান্তর করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন প্রায় ৭মাস নানা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে আদালত আমার পিতার লাশ উত্তোলনপূর্বক হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছে। এখন আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি বাবার লাশটি পাওয়ার পর মুসলিম রীতি অনুযায়ি দাফন সম্পন্ন করার জন্য। পাশাপাশি সুন্দরবনে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত একটি চিহ্নিত মহল আমার পিতার খুন এবং লাশ গুমের সাথে জড়িত; আমি আশা করছি তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে।

মাহে আলম’র লাশ উত্তোলন করে হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর ইমরান হোসেন জানান আমি ছুটিতে আছি। তাছাড়া মৌখিক ভাবে শুনলেও লাশ উত্তোলনের আদেশের কপি এখনও লিখিত ভাবে পাইনি। আদেশের লিখিত কপি পেলে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।