ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo নববর্ষ ঘিরে নানচিংয়ে ৬০টির বেশি বাণিজ্য ও পর্যটন অনুষ্ঠান Logo মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ডিজেলসহ ৯ পাচারকারী আটক Logo টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত নূরানী স্কলারশিপ–২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ Logo টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা Logo টাঙ্গাইলের সখিপুরে ডিবি (দক্ষিণ) টিমের অভিযানে ১০৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo ​৩১ দফার রূপকার: ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্য নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমিতে, তারেক রহমান Logo নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই: তারেক রহমান Logo সুনামগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আনন্দ-উৎসবে বড়দিন পালিত Logo যৌথ বাহিনীর অভিযানে কথিত জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা গ্রেফতার (ভিডিও)

অস্ট্রিয়া-চীনে সাধারণ মানুষের মৈত্রী দু’দেশকে একত্রে বেধে রেখেছে; অস্ট্রিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

ওয়াং তান হোং রুবি:

অস্ট্রিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী উলফগ্যাং শুসেল সম্প্রতি চীনের কুয়াং চৌ প্রদেশে ‘চীনকে বুঝুন” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের অবকাশে তিনি চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী উলফগ্যাং শুসেল বেশ কয়েকবার চীন সফর করেছেন। চীনকে ‘কল্যাণকর ভূমি’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পছন্দ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে তিনি প্রথমবারের মতো চীন সফর করেন। একটি উন্নয়নশীল দেশকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সমান অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হতে দেখেছেন তিনি। তার মতে চীনের এ সাফল্য অসাধারণ।

চীনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সৌভাগ্যও জড়িয়ে রয়েছে। চীন সফরশেষে দেশে ফেরার পরপরই তিনি অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। আরেকবার চীন সফরশেষে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরেই তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মর্মে সুখবর পান। তাই চীন সম্পর্কে তাঁর বিশেষ অনুভূতি রয়েছে। তিনি মনে করেন, অস্ট্রিয়া ও চীন যথাক্রমে ছোট ও বড় দেশ হলেও, দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি, সংগীত, অপেরা এবং জীবন-যাপনসহ নানান ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। দু’দেশের সাধারণ মানুষের মৈত্রী দু’দেশকে একত্রে বেধে রেখেছে।

বিশ্বজুড়ে চীনের প্রভাব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন নিয়ে সন্দেহ, এমনকি সমালোচনাও রয়েছে। চীন সম্পর্কে এ ভুল ধারণা কিভাবে দূর করা যায়? এ প্রশ্নের উত্তরে সাবেক অস্ট্রিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুল ধারণা দূর করতে চাইলে যোগাযোগ, যোগাযোগ এবং আরও যোগাযোগ চাই; সংলাপ, সংলাপ এবং আরও সংলাপ চাই। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক বছরে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ কমবেশি বিচ্ছিন্ন ছিল। এ সময় মানুষে-মানুষে আস্থা, মৈন্ত্রী ও সমঝোতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এখন এ অবস্থা উন্নত হয়েছে। এবার ‘চীনকে বুঝুন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন একটি ভালো উদাহরণ। এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা উন্মুক্ত ও আন্তরিকভাবে সংলাপ করেছেন, যা সবার জন্য নতুন অনুপ্রেরণা ও ধারণা সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

অস্ট্রিয়া-চীনে সাধারণ মানুষের মৈত্রী দু’দেশকে একত্রে বেধে রেখেছে; অস্ট্রিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:৪৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

ওয়াং তান হোং রুবি:

অস্ট্রিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী উলফগ্যাং শুসেল সম্প্রতি চীনের কুয়াং চৌ প্রদেশে ‘চীনকে বুঝুন” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের অবকাশে তিনি চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী উলফগ্যাং শুসেল বেশ কয়েকবার চীন সফর করেছেন। চীনকে ‘কল্যাণকর ভূমি’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পছন্দ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে তিনি প্রথমবারের মতো চীন সফর করেন। একটি উন্নয়নশীল দেশকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সমান অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হতে দেখেছেন তিনি। তার মতে চীনের এ সাফল্য অসাধারণ।

চীনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সৌভাগ্যও জড়িয়ে রয়েছে। চীন সফরশেষে দেশে ফেরার পরপরই তিনি অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। আরেকবার চীন সফরশেষে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরেই তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মর্মে সুখবর পান। তাই চীন সম্পর্কে তাঁর বিশেষ অনুভূতি রয়েছে। তিনি মনে করেন, অস্ট্রিয়া ও চীন যথাক্রমে ছোট ও বড় দেশ হলেও, দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি, সংগীত, অপেরা এবং জীবন-যাপনসহ নানান ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। দু’দেশের সাধারণ মানুষের মৈত্রী দু’দেশকে একত্রে বেধে রেখেছে।

বিশ্বজুড়ে চীনের প্রভাব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন নিয়ে সন্দেহ, এমনকি সমালোচনাও রয়েছে। চীন সম্পর্কে এ ভুল ধারণা কিভাবে দূর করা যায়? এ প্রশ্নের উত্তরে সাবেক অস্ট্রিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুল ধারণা দূর করতে চাইলে যোগাযোগ, যোগাযোগ এবং আরও যোগাযোগ চাই; সংলাপ, সংলাপ এবং আরও সংলাপ চাই। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক বছরে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ কমবেশি বিচ্ছিন্ন ছিল। এ সময় মানুষে-মানুষে আস্থা, মৈন্ত্রী ও সমঝোতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এখন এ অবস্থা উন্নত হয়েছে। এবার ‘চীনকে বুঝুন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন একটি ভালো উদাহরণ। এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা উন্মুক্ত ও আন্তরিকভাবে সংলাপ করেছেন, যা সবার জন্য নতুন অনুপ্রেরণা ও ধারণা সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।