মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার, কুমিল্লা
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে হঠাৎ বাংলাদেশে দাম বেড়ে যাওয়ার মত ঘটনা গত কয়েক বছরে একাধিকবার ঘটেছে। আটই ডিসেম্বরেই এর উদাহরণ দেখা যায় বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে। পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বিক্রেতারা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন প্রায় দ্বিগুণ।
৮৫ টাকা কেজিতে কুমিল্লায় মাইকিং করে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি। দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ) কুমিল্লার চকবাজারে ৮৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে পাইকারি দোকানিরা।
আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। সকাল থেকে কুমিল্লার চকবাজারের বিভিন্ন দোকানে মাইকিং করে ৮৫ টাকা দরে দেশি পেঁয়াজ মাইকিং করে বিক্রি শুরু করে দোকানিরা।
একদিনের ব্যবধানে প্রায় ১০০ টাকা কেজিতে কম পাওয়ায় লাইন ধরে পেঁয়াজ কিনতে দেখা যায় ক্রেতাদের।
দোকানিরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় কমছে পেঁয়াজের দাম। কোথাও কোন সঙ্কট নেই।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২৪ ঘন্টা আগেও একই বাজারে ১০০ টাকা বেশি কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। আর আজকে ৮৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে বিষয়টি সম্পূর্ণ দোকানদারের উপর নির্ভর করছে। তারা চাইলে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ আলাদা করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারেন।
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্যাহ খোকন জানান, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ১০০ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি করবো। নতুন পেঁয়াজ আসায় দাম কমে গেছে। এখন কেউ অতিরিক্ত পেঁয়াজ কেনার প্রয়োজন নেই।