ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু, ফেনী

ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলায় পারুল আক্তার (৫০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে দাগনভুঁইয়া উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর বারাহীগুনি পাটোয়ারী বাড়ীতে এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ডটি ঘটে।

নিহত পারুল আক্তার ওই বাড়ির প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী ও জায়লস্কর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মরহুমার ভাই এমদাদ হোসেন সাইফুল জানান, নিহতের স্বামী ও বড় ছেলে প্রাবাসে থাকেন।তিন সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে ফেনী শহরে গিয়েছিলেন।একমাত্র মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে।পুত্রবধূ বাপের বাড়িতে বেড়াতে গেছে।বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন।

ঘটনার দিন দিবাগত রাত ১০টার পর নিহতের একমাত্র মেয়ে স্বামীর বাড়ী থেকে মাকে বার বার মোবাইলে কল দিয়ে মায়ের সাড়া না পেয়ে পিতার বাড়িতে ছুটে এসে ঘরের দরজা খোলা পায় এবং ভেতরে ঢুকে মায়ের গলায় কাপড় প্যাঁচানো মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় পুলিশকে বিষয়টি জানায়।

দাগনভূঁইয়া থানার ওসি আবদুল হাসিম হাত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন।তবে, রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কারা কেন এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেননি।

খবর পেয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার মো: জাকির হাসান এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন।তিনি বলেন,হত্যাকান্ডের বিষয়টি পুলিশ অত্যান্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।একই সাথে খুব শীঘ্রই এর ক্লু উদঘাটনে প্রয়োজনীয় সকল প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেনীতে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

আপডেট সময় ০২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু, ফেনী

ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলায় পারুল আক্তার (৫০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে দাগনভুঁইয়া উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর বারাহীগুনি পাটোয়ারী বাড়ীতে এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ডটি ঘটে।

নিহত পারুল আক্তার ওই বাড়ির প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী ও জায়লস্কর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মরহুমার ভাই এমদাদ হোসেন সাইফুল জানান, নিহতের স্বামী ও বড় ছেলে প্রাবাসে থাকেন।তিন সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে ফেনী শহরে গিয়েছিলেন।একমাত্র মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে।পুত্রবধূ বাপের বাড়িতে বেড়াতে গেছে।বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন।

ঘটনার দিন দিবাগত রাত ১০টার পর নিহতের একমাত্র মেয়ে স্বামীর বাড়ী থেকে মাকে বার বার মোবাইলে কল দিয়ে মায়ের সাড়া না পেয়ে পিতার বাড়িতে ছুটে এসে ঘরের দরজা খোলা পায় এবং ভেতরে ঢুকে মায়ের গলায় কাপড় প্যাঁচানো মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় পুলিশকে বিষয়টি জানায়।

দাগনভূঁইয়া থানার ওসি আবদুল হাসিম হাত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন।তবে, রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কারা কেন এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেননি।

খবর পেয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার মো: জাকির হাসান এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন।তিনি বলেন,হত্যাকান্ডের বিষয়টি পুলিশ অত্যান্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।একই সাথে খুব শীঘ্রই এর ক্লু উদঘাটনে প্রয়োজনীয় সকল প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।