ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ কর্মস্থল শ্রমিকের মানবাধিকার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

২৭ ডিসেম্বর সারাকা দিবস। ১৯৯০ সালের ২৭ ডিসেম্বর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থিত সারাকা গার্মেন্টসে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কারখানার মালিকসহ ২৭জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ বছর সারাকা দিবসের ৩৩তম বার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্প রক্ষা জাতীয় মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক শোক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত করে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রফিকুল ইসলাম সুজন, শফিকুল ইসলাম, তপন সাহা, কামরুন্নাহার, সুমাইয়া ইসলাম, আল আমিন হোসাইন, সালেহা ইসলাম শান্তনা, মোঃ আব্বাস উদ্দিন, খায়রুল আলম মিন্টু প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিরাপদ কর্মস্থল শ্রমিকের মানবাধিকার। বাংলাদেশে তৈরী পোশাকশিল্পের বয়স ৫ দশক অতিবাহিত হলেও এই শিল্পে কর্মস্থলে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। এখনও বিভিন্ন গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডে শ্রমিকরা প্রাণ হারায়, পঙ্গু হয় শত শত শ্রমিক। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে উৎকণ্ঠা বাড়লেও শিল্পের মালিকরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। এতে করে বিদেশে তৈরী পোশাক শিল্পের ভাব-মূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, তৈরী পোশক শিল্পের বাজার যেহেতু আন্তর্জাতিক সে কারণে আন্তর্জাতিক মহলের উৎকণ্ঠাকে আমলে নিয়ে পোষাক শিল্পে শ্রমিকদের কর্মস্থলের এবং চাকুরীর নিরপত্তা, বাঁচার মতো মজুরী, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরী। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ৫ দশকে প্রায় দুইশটি অগ্নিকান্ডে দুই হাজারের অধিক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। এই নিহত শ্রমিক পরিবার প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ পায়নি। নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, নিহত শ্রমিক পরিবারের যথাযথ ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা এবং পঙ্গুদের পুনর্বাসন জরুরী। এই শিল্প রাষ্ট্রকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হচ্ছে তৈরী পোশাক শিল্প। ফলে তৈরী পোশাক শিল্পে সমস্যাকে রাষ্ট্রীয় আমলে নিয়ে তা সমাধাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদ কর্মস্থল শ্রমিকের মানবাধিকার

আপডেট সময় ০৬:০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

২৭ ডিসেম্বর সারাকা দিবস। ১৯৯০ সালের ২৭ ডিসেম্বর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থিত সারাকা গার্মেন্টসে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কারখানার মালিকসহ ২৭জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ বছর সারাকা দিবসের ৩৩তম বার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্প রক্ষা জাতীয় মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক শোক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত করে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রফিকুল ইসলাম সুজন, শফিকুল ইসলাম, তপন সাহা, কামরুন্নাহার, সুমাইয়া ইসলাম, আল আমিন হোসাইন, সালেহা ইসলাম শান্তনা, মোঃ আব্বাস উদ্দিন, খায়রুল আলম মিন্টু প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিরাপদ কর্মস্থল শ্রমিকের মানবাধিকার। বাংলাদেশে তৈরী পোশাকশিল্পের বয়স ৫ দশক অতিবাহিত হলেও এই শিল্পে কর্মস্থলে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। এখনও বিভিন্ন গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডে শ্রমিকরা প্রাণ হারায়, পঙ্গু হয় শত শত শ্রমিক। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে উৎকণ্ঠা বাড়লেও শিল্পের মালিকরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। এতে করে বিদেশে তৈরী পোশাক শিল্পের ভাব-মূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, তৈরী পোশক শিল্পের বাজার যেহেতু আন্তর্জাতিক সে কারণে আন্তর্জাতিক মহলের উৎকণ্ঠাকে আমলে নিয়ে পোষাক শিল্পে শ্রমিকদের কর্মস্থলের এবং চাকুরীর নিরপত্তা, বাঁচার মতো মজুরী, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরী। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ৫ দশকে প্রায় দুইশটি অগ্নিকান্ডে দুই হাজারের অধিক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। এই নিহত শ্রমিক পরিবার প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ পায়নি। নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, নিহত শ্রমিক পরিবারের যথাযথ ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা এবং পঙ্গুদের পুনর্বাসন জরুরী। এই শিল্প রাষ্ট্রকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হচ্ছে তৈরী পোশাক শিল্প। ফলে তৈরী পোশাক শিল্পে সমস্যাকে রাষ্ট্রীয় আমলে নিয়ে তা সমাধাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।