ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনা চিকিৎসাকর্মীরা আলজেরিয়ার জনগণের অনেক কল্যাণ সৃষ্টি করেছে

আলজেরিয়াতে অনেক শিশুর নাম “সিনোভা”, যার অর্থ “চীনা”। ১৯৬৩ সালে আলজেরিয়ায় প্রথম সাহায্যকারী চিকিৎসাদল পাঠায় চীন। সেই থেকে চীনা চিকিৎসাকর্মীরা দেশটিতে ২০.৭ লাখের বেশি নবজাতক প্রসব করিয়েছে এবং সবমিলিয়ে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি রোগীর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করেছে।

সম্প্রতি বেইজিংয়ে, বিদেশে চীনা চিকিৎসাদল পাঠানোর ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সভায় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিদেশে সাহায্যদানকারী চীনা চিকিৎসকদের কাজের স্বীকৃতি দেন এবং “মানবস্বাস্থ্যের অভিন্ন কল্যাণের সমাজ” নির্মাণে আরও বেশি অবদান রাখতে তাদের উৎসাহিত করেন।

গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকের শুরুর দিকে গণ প্রজাতন্ত্রী চীন ধনী ছিলো না। তবে, যখন আলজেরিয়া, যেটি তখন সবেমাত্র স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে, আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে জরুরি চিকিৎসা-সহায়তার আবেদন করে, তখন চীন সবার আগে সে আবেদন সাড়া দেয় এবং শ্রেষ্ঠ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল পাঠানোর ঘোষণা দেয়।

ইবোলার বিরুদ্ধে লড়াই থেকে হলুদ জ্বর, প্লেগ এবং জিকা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অনেক দেশকে সহায়তা করা এবং আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের নির্মাণে সহায়তা করা ও আন্তর্জাতিক মহামারীবিরোধী সহযোগিতা চালানো পর্যন্ত, বিগত ৬০ বছরে চীনের সাহায্যকারী চিকিৎসাদলগুলো স্থানীয় জনগণের জন্য অনেক কল্যাণ সৃষ্টি করেছে এবং তাদের দক্ষতা স্থানীয় সরকার ও জনগণের ভূয়সী প্রশংসাও পেয়েছে।

বিগত ৬০ বছরে বিদেশে চীনা সাহায্যকারী চিকিৎসাদলগুলোর সাফল্য চীনের দায়িত্ববোধের প্রতীক। বর্তমানে চীন চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন নিজের উন্নয়নের প্রতি মনোনিবেশ করার পাশাপাশি, অন্যান্য দেশকে সাহায্য করছে।
সূত্র : লিলি-আলিম,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

চীনা চিকিৎসাকর্মীরা আলজেরিয়ার জনগণের অনেক কল্যাণ সৃষ্টি করেছে

আপডেট সময় ০২:০৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

আলজেরিয়াতে অনেক শিশুর নাম “সিনোভা”, যার অর্থ “চীনা”। ১৯৬৩ সালে আলজেরিয়ায় প্রথম সাহায্যকারী চিকিৎসাদল পাঠায় চীন। সেই থেকে চীনা চিকিৎসাকর্মীরা দেশটিতে ২০.৭ লাখের বেশি নবজাতক প্রসব করিয়েছে এবং সবমিলিয়ে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি রোগীর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করেছে।

সম্প্রতি বেইজিংয়ে, বিদেশে চীনা চিকিৎসাদল পাঠানোর ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সভায় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিদেশে সাহায্যদানকারী চীনা চিকিৎসকদের কাজের স্বীকৃতি দেন এবং “মানবস্বাস্থ্যের অভিন্ন কল্যাণের সমাজ” নির্মাণে আরও বেশি অবদান রাখতে তাদের উৎসাহিত করেন।

গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকের শুরুর দিকে গণ প্রজাতন্ত্রী চীন ধনী ছিলো না। তবে, যখন আলজেরিয়া, যেটি তখন সবেমাত্র স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে, আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে জরুরি চিকিৎসা-সহায়তার আবেদন করে, তখন চীন সবার আগে সে আবেদন সাড়া দেয় এবং শ্রেষ্ঠ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল পাঠানোর ঘোষণা দেয়।

ইবোলার বিরুদ্ধে লড়াই থেকে হলুদ জ্বর, প্লেগ এবং জিকা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অনেক দেশকে সহায়তা করা এবং আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের নির্মাণে সহায়তা করা ও আন্তর্জাতিক মহামারীবিরোধী সহযোগিতা চালানো পর্যন্ত, বিগত ৬০ বছরে চীনের সাহায্যকারী চিকিৎসাদলগুলো স্থানীয় জনগণের জন্য অনেক কল্যাণ সৃষ্টি করেছে এবং তাদের দক্ষতা স্থানীয় সরকার ও জনগণের ভূয়সী প্রশংসাও পেয়েছে।

বিগত ৬০ বছরে বিদেশে চীনা সাহায্যকারী চিকিৎসাদলগুলোর সাফল্য চীনের দায়িত্ববোধের প্রতীক। বর্তমানে চীন চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন নিজের উন্নয়নের প্রতি মনোনিবেশ করার পাশাপাশি, অন্যান্য দেশকে সাহায্য করছে।
সূত্র : লিলি-আলিম,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।